Tuesday 11 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখান পরিসংখ্যান ক্যাডারের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৮ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৪

ঢাকা: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডারকে প্রস্তাবিত সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের এক প্রতিবাদলিপিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের দাখিল করা প্রতিবেদনে বিদ্যমান সিভিল সার্ভিসগুলো পুনর্বিন্যাস করে বিভিন্ন সার্ভিস এবং এর কাঠামো পুনর্গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একমাত্র বিসিএস (পরিসংখ্যান)-ক্যাভারকে পুনর্গঠিত সার্ভিসগুলোর প্রস্তাবে প্রযোজ্য নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে এক নতুন জাগরণের সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি বৈষমাহীন ও আত্মনির্ভরশীল উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকারকে বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার সার্ভিস নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। সরকারের এ উদ্যোগকে সফল করতে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এ কর্মরত বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পেশাগত দক্ষতাকে সমুন্নত রেখে ইতোমধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় জনমত জরিপের কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করা হয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, একদিকে যখন বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের দক্ষ সদস্যরা দেশের এ সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল ও জনবান্ধব করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যস্ত রয়েছে, সে মুহূর্তে একটি অনাকাংক্ষিত সংবাদ পরিসংখ্যান পেশাজীবী এ সার্ভিসের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। ১৯৮০ সালে সৃজিত গুরুত্বপূর্ণ পেশাভিত্তিক এ ক্যাডার সার্ভিসকে অস্তিত্বহীন করার মতো অদূরদর্শী সুপারিশ আমাদেরকে ব্যথিত করেছে। সকল বৈষমা নিরসন ও গতিশীল জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরির জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টা ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী মূল চেতনার সঙ্গে এ সুপারিশ সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। মূলত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমে বিবিএস এ নিযুক্ত মেধাবী পরিসংখ্যানবিদদের সমন্বয়ে গঠিত এ সার্ভিসকে অবমূল্যায়ন করে আরেকটি নতুন বৈষম্য চাপিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সুপারিশ করার আগে মূল স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন কিংবা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কোনো প্রকার মতামত নেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেনি। এমনকি বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিখিত কিছু সংস্কার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলেও তা আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে একটি ঐতিহ্যবাহী সিভিল সার্ভিসকে অস্তিত্বহীন করার মতো সুপারিশ করে একটি দায়সারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

সারাবাংলা/জেজে/আরএস

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন

বিজ্ঞাপন

মেলার ১১ম দিনে নতুন বই এলো ৯১টি
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৯

আরো

সম্পর্কিত খবর