আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে গ্রেফতার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে বহিষ্কার
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৪ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৭
নরসিংদী: জেলার শিবপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করে গ্রেফতার হওয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবিদ হাসান জজ মিয়াকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ বহিষ্কার করার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল নরসিংদী জেলাধীন শিবপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মো. আবিদ হাসান জজ মিয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
উল্লেখ্য, ডেভিল হান্ট অপারেশনে শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি একাধিক মামলার আসামি নাদিম সরকারকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে তাকে ছাড়িয়ে আনতে দলবল নিয়ে থানায় আসেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জজ মিয়া। জজ মিয়া নিজেকে শিবপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পরিচয় দিয়ে হুমকি ধমকি দেন।
পরে থানার হাজতখানায় থাকা চেয়ারম্যান নাদিম সরকারের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। এ সময় কর্তব্যরত কনস্টেবল সবুজ মিয়া তাকে বাঁধা দেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল সবুজ মিয়াকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত হাজতখানার সামনে থেকে সবুজ মিয়াকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশের সদস্যরা এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে জজ মিয়া আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে জজ মিয়া বলেন, ‘এ থানায় চাকরি করলে তাকে চিনতে হবে, তার কথা শুনতে হবে।’ তা না হলে এখানে চাকরি করা যাবে না। এক পর্যায়ে নাদিম সরকারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যও হুমকি দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ঘটনায় আহত কনস্টেবল সবুজ মিয়া বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও মারধরের অভিযোগে শিবপুর থানায় মামলা করেন। পরে আজ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে জানান শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন।