মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে কাজ করার আহ্বান
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৪ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৩৫
ঢাকা: মহিষ আমাদের সম্পদ উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মহিষের মাংসে কোলেস্টেরল কম, তাই মহিষের মাংসকে জনপ্রিয় করতে হবে। দেশের নানা স্থানে মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়। মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কাজ করতে হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মহিষ পালনকারী খামারিদের সকল প্রকার সহাযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে হবে। মহিষ বৈষম্যের শিকার হওয়া একটি প্রাণী। তাই মহিষ পালনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে। অভিজ্ঞ মহিষ খামারিরা মহিষের হিটে আসা শনাক্ত করতে পারেন, মহিষ সংক্রান্ত নানাবিধ জ্ঞান ধারন করেন। তাদের জ্ঞানকে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকাশ করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প শেষে গবেষণা কার্যক্রমগুলোকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো কোন গ্যাপ না থাকে ‘
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা যদি খাদ্যে আমিষের যোগানের ক্ষেত্রে এমনকি দুধের দুধে ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে চাই সেক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাইনা। দেশের গরু, ছাগল, মহিষ, হাস,মুরগীর যদি উন্নয়ন না করতে পারি তাহলে কিসের উন্নয়ন। আসলে উন্নয়নের ধারণার পরিবর্তন হওয়া উচিৎ। যারা মহিষ পালন করেন তাদের প্রতি যদি কোন সহায়তা করতে না পারি তাহলে কিসের উন্নয়ন।’
তিনি বলেন, ‘এধরণের গবেষণা হচ্ছে বলেই আমরা মহিষ সম্পর্কে জানতে পারছি। একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাদের আচরণ কি হবে তা নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানকে তারা কিভাবে দেখে। সেক্ষেত্রে বিএলআরআই এর প্রতি গবেষকদের আবেগ, ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
প্রাণিজ আমিষের ক্ষেত্রে বিএলারআই এর গবেষণার ফলাফল জনগণকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এধরণের গবেষণার ফলাফল ছোট পরিসরে নয় বরং আরো বড় পরিসরে হওয়া উচিৎ।’
তিনি বলেন, ‘আমি অতিথি হয়ে নই, বরং সঙ্গে থাকতে চাই। সঙ্গে থাকার সুযোগ হতে বঞ্চিত হতে চাই না। পাশাপাশি তিনি বিএলআরআই এর নানাবিধ সংকট নিরসনে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও ব্যক্ত করেন।’
বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদফ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিএলআরআই এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান। এরপর মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরেন উক্ত প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ও বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. তালুকদার নুরুন্নাহার এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক।বিএরআরআই এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত অধ্যাপক ও শিক্ষকগণ এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা প্রতিনিধিরা।
সারাবাংলা/জেআর/এসআর