বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ আবাসিক হলের নাম উদ্বোধন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৭
রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তনের পর নতুন করে হলের নাম উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় ২৪ হল’ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী হল’ নতুনভাবে নামকরণ করার পর উদ্বোধন করা হলো।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, শহিদ ফেলানী খাতুনের বাবা নূর ইসলাম ও মাতা জাহানারা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দুটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণ উদ্বোধন করেন।
‘শহীদ ফেলানী হলে’র নতুন নাম উদ্বোধন করেন শহিদ ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম। এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘শহিদ ফেলানী বাংলাদেশের সেইসব নিরপরাধ মানুষদের একজন, যাদেরকে সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের গুলিতে মেরে ফেলা হয়েছে। সেই অগণিত মৃত মানুষের প্রতিনিধি ফেলানী খাতুনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ করার প্রস্তাব ও তা কার্যকর করার জন্য শিক্ষার্থী ও সিন্ডিকেট সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। এই নামকরণের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ফেলানীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে যাবে।’

‘শহীদ ফেলানী হলে’র নতুন নাম উদ্বোধন করেন শহিদ ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম
‘বিজয় ২৪ হলে’র উদ্বোধন করেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। এ সময় বেরোবি উপাচার্য বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ আবু সাঈদসহ অসংখ্য তরুণ আত্ম বলিদানের মাধ্যমে যে ভূমিকা রেখেছে, তা আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার জন্য ‘বিজয় ২৪ হলে’র নামকরণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সিন্ডিকেটের ১১০তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুটি হলের নতুন নামকরণ করা হয়।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব হলের নাম ফলক ভাঙচুর করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় ২৪ হল’ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী হল’ লিখে দেন তারা।
সারাবাংলা/এইচআই