চট্টগ্রাম ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, চট্টগ্রামের সদ্য ঘোষিত তিন কমিটি বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা অবস্থানের পর সড়ক ছেড়েছে একাংশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের ২৪ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিয়ে তারা সড়ক ছাড়েন।
এদিন বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনটির একাংশ। পরে তারা প্রেসক্লাব থেকে লালখান বাজারে মিছিল নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। দুপুর দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত তারা সড়কের একপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার মধ্যে কমিটি বাতিল না করলে তিনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করবেন।
অন্যদিকে সড়ক অবরোধের মধ্যেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও তাদের বিচারের দাবিতে গণপদযাত্রা করে কমিটিতে থাকা আরেক অংশ। বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকা থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। পরে সেটা নগরীর কাজির দেউড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরে ৩১৫, উত্তর জেলায় ১১২ ও দক্ষিণ জেলায় ৩২৭ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি। তিনটি কমিটিতে মোট ৭৫৪ জনের নাম আছে। কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এ কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটি প্রত্যাখানকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের কমিটিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। ত্যাগীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি।