যশোর বোর্ডে চেক জালিয়াতি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩১
যশোর: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেক জালিয়াতি মামলার চার্জশিট আদালত গ্রহণ এবং একই সঙ্গে পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেন ও সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে দুদকের করা আবেদন আদালতে মঞ্জুর হয়েছে।
বুধবার যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ প্রদান করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেক জালিয়াতি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছিলেন। চলতি ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি দুদকের করা চার্জশিটের উপর আদালতে শুনানি হয়। ওই সময় আদালতের বিচারক আদেশের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য্য করেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ধার্য্যদিনে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম চার্জশিট গ্রহণ এবং অভিযুক্ত পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করেন।
আদালতে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্ত হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুল তলা এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।
উল্লেখ্য, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেক জালিয়াতি করে পৌণে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম ও ঠিকাদার শরিফুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে ৫ জনের নামে সাড়ে ৭ কোাটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রথম মামলা হয়।
সারাবাংলা/এনজে