‘গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ থেকে রাবির ২ সমন্বয়কের পদত্যাগ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৮
রাবি: সদ্য আত্মপ্রকাশ করা ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদ পাওয়া দুই প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তারা এ ঘোষণা দেন। কমিটিতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আধিপত্যের প্রতিবাদে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগ করা দুই নেতা হলেন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে’র যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব এবং যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তারা দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের একাংশের নেতৃত্বে বাকের মজুমদারকে আহ্বায়ক ও জাহিদ আহসানকে সদস্যসচিব করে আত্মপ্রকাশ করে নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’। আজ ২০৫ সদস্যের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনটি। এতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মেহেদী সজীব ও ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে সালাহউদ্দিন আম্মারের নাম ঘোষণা করা হয়। নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই দুই সমন্বয়ক।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহেদী সজীব লেখেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমার নাম বলা হয়েছে। গতকাল রাতেও এ নিয়ে আমি আমার স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করেছি। এখনো বলছি, নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক নয়াফ্যাসিবাদী মনোভাবের যে উত্থান লক্ষ করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে রাজি নই।’
মেহেদী সজীব আরও লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই তিনি আজ মেহেদী সজীব হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছেন। তার স্পষ্ট বার্তা, ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যত দিন না এই দলের অংশীজনেরা বেরিয়ে আসতে পারবেন, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবেন, তত দিন পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাবেন না। এ জন্য তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যের পক্ষে থাকতে, তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই নই।’
পদত্যাগের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘নতুন ছাত্রসংগঠনটি সর্বজনীন হতে পারত। কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থানের কারণে সংগঠনটির প্রতি শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই শিক্ষার্থীদের অনুভূতির বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।‘
সারাবাংলা/এইচআই