জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রদ্ধা নিবেদন
৪ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৩ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৪
ঢাকা: সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামসহ অনান্য নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ৮টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করল এনসিপি।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে দুটি ডাবল ডেকার বাসে করে স্মৃতিসৌধে আসেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরপর স্লোগান দিতে দিতে তারা স্মৃতিসৌধের বেদিতে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এনসিপি নেতারা।
পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘২০২৪ গণঅভ্যুত্থানসহ সব লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও ফ্যাসিবাদের কারণে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছিল। আমাদের যে গণতান্ত্রিক কাঠামো, তা বারবার ভেঙে পড়েছে। আমাদের একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রথম কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আজ থেকে আমাদের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হলো।’
নাহিদ ইসলাম ছাড়াও সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সেখানে বক্তব্য দেন।
সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালে লাখ লাখ শহিদের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে, তার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য ও সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ। গত ৫৪ বছরে তা অধরা থেকে গেছে। আমরা এনসিপির নেতা-কর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ, সেই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাব।’
এনসিপির সদস্য সচিব আরও বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের অনেকগুলো প্রস্তাবের জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে; ঢাকা শহরকে গ্লোবাল সাউথের প্রধান হিসেবে দেখা—এমন অনেকগুলো স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।’
নতুন সংবিধানের কথা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, নতুন একটি সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি। একই সঙ্গে সেই গণপরিষদ নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন এমন প্রস্তাবও আমাদের আছে। অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি কার্যক্রম বিস্তৃত করবে।’
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন। এরপর সাভার থেকে রায়েরবাজারে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত করবেন এনসিপির নেতারা।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর শনিবার গভীর রাতে ২১৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সারাবাংলা/এফএন/এসডব্লিউ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা নিবেদন