‘খোদাভীতি থাকলে কোনো মানুষ শিশু হত্যা করতে পারে না’
১৪ মার্চ ২০২৫ ২৩:০৯ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ২৩:৪৬
সিলেট: খোদাভীতি থাকলে কোনো মানুষ শিশু হত্যা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত ঐতিহাসিক এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,রমজান মাস কোনআনের জন্য যুদ্ধ করার মাস, রমজান মাস কোরআনের বিজয়ের মাস। এই মাস শুধু ব্যক্তিগত নয় জাতিগতভাবে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থাকে ইসলামের আলোকে গড়ে তোলার তাগিদ দিচ্ছে। একজন রাস্ট্রপ্রধান, একজন এমপি, মন্ত্রীর মধ্যে যখন তাকওয়া জেগে উঠে তখন আপনা আপনি তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠন সহজ হয়ে উঠে। সেই সমাজে আল্লাহর ভয় এমনভাবে জেগে উঠে, যেখানে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুঁড়ে শিশুকে হত্যার নির্দেশ দিতে পারে না। গুলি করে মানুষ মেরে লাশ আগুন দিয়ে ছাই করতে পারে না।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন চালু না থাকলে সুদ ঘুষ মদ জুয়া কিছুই বন্ধ করা যায় না। আল্লাহর আইন না থাকলে ব্যক্তিগত জীবনে তাকওয়া অর্জন করলেও সেটা কোনো কাজে লাগে না। নিয়মিত তাহাজ্জুদ গোজারি হলেও সুদ ঘুষ থেকে বেঁচে থাকা যায় না। জামায়াতে ইসলামী তাই আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক সংগ্রামের ডাক দিয়েছে।
মাহফিলে আইনজীবী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, সিলেটে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক এর পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মাহফিলে দেশ-জাতির মঙ্গল ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি-সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। মাহফিলের পূর্বে দারসুল কুরআন ও মাহে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা পেশ করেন হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ।
মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘কোরআন এসেছে মানব জাতির কল্যাণের জন্য। কোরআন এসেছে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনের জন্য। রমজান কোরআন নাজিলের মাস এ মাসেই ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ইসলামের বিজয় সূচিত হয়েছিল। এখনো রমজানে কোরআনের বিজয়ের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। আগামীতে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনে বিজয়ের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
নগরীর অভিজাত আমানুল্লাহ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. ইসমাইল পাটোয়ারী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. তাজ উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর, সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ও হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি নেতা সালেহ আহমদ খসরু, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন, এনডিএফ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. আবুল হাশেম চৌধুরী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক ও প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এইচআই