বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অনেকে উসকানি দিচ্ছে: মঈন খান
১৫ মার্চ ২০২৫ ২৩:২৫
নরসিংদী: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অনেকে উসকানি দিচ্ছে, অনেকে মিথ্যা প্রচারণা করছে যেন বাংলাদেশর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। কিন্তু আমি হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি যারা এসব মিথ্যা প্রচারণার সঙ্গে জড়িত তাদের পতন হয়েছে, তাদের দ্বিতীয়বার পতন হবে।
তিনি শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নরসিংদী পলাশের ঘোড়াশাল পৌর অডিটোরিয়াম মাঠে বিএনপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, যারা আশা করছে অতীতের অন্যায় রাজত্বকে আবার বাংলাদেশে কায়েম করবে তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। সকলের কাছে আমার আবেদন আপনাদের সঠিক পথে থাকতে হবে এবং সেই সঠিক পথ থেকে এক মুহুর্তের জন্যও বিচ্যুতি হলে চলবে না। যারা অতি উৎসাহী, মাথা গরম করে আমরা কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আজকে আমরা যে সংস্কারের কথা বলি সেই সংস্কারের সব কিছু আমাদের মহানবী (সা.) ১৪ বছর আগে শিখিয়ে গেছেন। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে একটি সমাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ রাখা চলবে না।
তিনি বলেন, আমরা বিগত ১৫ বছরে দেখেছি কিভাবে অন্যায় অত্যাচার এই পলাশকে গ্রাস করেছিল। আজ আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই এখানে যদি কেউ বিগত ১৫ বছরের মতো অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন অথবা বিশৃঙ্খলা করতে চায় তাহলে কিন্তু তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমরা আইন বিশ্বাস করি, আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। আর আইনের শাসনে বিশ্বাস করি বলেই আমরা আওয়ামী লীগকে বিতারণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় গনতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান থেকে শুরু করে আমাদের সর্বনিম্ন নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। এমনকি এই পলাশের বিএনপির নেতাকর্মীরা শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে পালিয়ে গিয়ে গজারি বনে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা নির্যাতন, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রাতে ধান ক্ষেতে ঘুমাতে গিয়েছিল, তারা বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি।
ড. মঈন খান আরও বলেন, একদিকে আওয়ামী সন্ত্রাসী অন্যদিকে তাদের তুষ্ট প্রশাসন বাড়িতে গিয়ে জুলুম করেছে। ছেলে যদি বিএনপি করতো তাহলে তাকে না পেলে বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে আর যদি বাবা বিএনপি করত তাকে না পেলেকে ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের কাউকে না পেলে বাড়িঘর ঘরে ঢুকে টেলিভিশন, ফ্রিজ, বিছানা, আসবাবপত্র তছনছ করে দিয়েছে। এমন ত্রাসের রাজনীতি পলাশে কায়েম করেছিল, দুর্নীতিতে পলাশ ছেয়ে গিয়েছিল।
এ মসয় পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম.এ সাত্তারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভুঁইয়া মিল্টন, সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন জনি, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিপু, পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, মহি উদ্দীন চিসতিয়া, ঘোড়াশাল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নাজমুল হোসেন ভূইয়া সোহেল প্রমুখ।
সারাবাংলা/এইচআই