চীনে হায়ারের গ্লোবাল কমেন্ডেশন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
১৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৪
চীনের কিংডাওয়ে অনুষ্ঠিত ‘হায়ার সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন গ্লোবাল কমেন্ডেশন সম্মেলন’
ঢাকা: চীনের কিংডাওয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্নাঢ্য ‘হায়ার সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন গ্লোবাল কমেন্ডেশন সম্মেলন’। এ বছর এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেবা, সবাইকে উষ্ণ স্বাগতম’।
সম্মেলনে হায়ার তার দেশীয় ডিজিটাল পরিষেবা অভিজ্ঞতার বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণকে তুলে ধরে। পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশীয় সরঞ্জামের বিশ্বায়ন এবং একীভূত পরিষেবা মান সম্পর্কেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জানায় এই সম্মেলনের মাধ্যমে। রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হায়ার বৈশ্বিক রিসোর্সকে সংযুক্ত করে এবং ‘তিনটি একীকরণ’ পদ্ধতি চালু করে। এর মধ্যে রয়েছে- একক সেবা মান, একক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং একক মূল্যায়ন পদ্ধতি; যা নিশ্চিত করে দেশ ও বিদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য একই উচ্চমানের হোম অ্যাপ্লায়েন্স সেবা।
হায়ার স্মার্ট হোমের বৈশ্বিক সেবা নেটওয়ার্ক এখন ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে বিস্তৃত, যেখানে ১৪ হাজারেরও বেশি সেবা কেন্দ্র এবং ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি প্রকৌশলী রয়েছে যারা কার্যকর, স্বচ্ছ এবং পেশাদার সেবা প্রদান করছে।
এই সম্মেলন হায়ারের বৈশ্বিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স সেবায় আরও একটি সাফল্য নির্দেশ করে, প্রমাণ করে যে হায়ার উচ্চ-গুণমানের পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অসাধারণ সেবার মাধ্যমে বৈশ্বিক ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করে।
বিশ্বমানের সেরা অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিতে সম্মেলনে হায়ার কয়েকটি পুরস্কার ঘোষণা করে। যার মধ্যে রয়েছে- সেরা অংশীদারদের জন্য ‘গ্লোবাল লিডিং ওয়ার্ড-অফ-মাউথ অ্যাওয়ার্ড’ এবং প্রকৌশলীদের জন্য ‘গ্লোবাল টেকনিক্যাল এক্সেলেন্স স্টার অ্যাওয়ার্ড’।
হায়ার বাংলাদেশ সামিটে অংশ নেয়। এতে হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম গ্রাহক সহায়তায় নিষ্ঠার জন্য এবং তার সিনসিয়ার ফরএভার বা আন্তরিক চিরকাল দর্শনের জন্য ‘গ্লোবাল টেকনিক্যাল এক্সেলেন্স স্টার’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
পুরষ্কার বিজয়ের অনুভূতি প্রকাশের জন্য সিরাজুল ইসলাম একটি স্পর্শকাতর গল্প তুলে ধরেন। যা সংকটকালে হায়ারের সর্বোচ্চ সেবাদানের প্রতিশ্রুতি ফুটিয়ে তুলে। গত বছরের জুলাই-আগষ্টের অস্থিতিশীল সময়ে যখন সামাজিক সংকট চলছিল, মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হয়, দোকানপাট-পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়, তখনও হায়ার বাংলাদেশ দল গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সিরাজুল ইসলাম ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তার গল্প শ্রোতাদের গভীরভাবে স্পর্শ করে এবং বিশ্বব্যাপী প্রকৌশলীদের সিনসিয়ার ফরএভার বা আন্তরিক চিরকাল দর্শন রক্ষার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। এই অভিজ্ঞতা বিনিময় অন্যদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে হায়ার বাংলাদেশের সেবা কার্যক্রমের উন্নয়নে সহায়তা করে।
হায়ার সেবা স্থানীয়করণ এবং ডিজিটাল রূপান্তরকে এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশে হায়ার ‘থ্রি ট্রিপল’ সেবা কৌশল বাস্তবায়ন করছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে