ঢাকা: জুলাই বিপ্লবে হতাহত সাড়ে আট শত পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। আগামী ১৮ মার্চ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবে শহিদ এবং আহতদের সরকারের দেওয়া তালিকা সাড়ে আট শত পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব পরিবারকে ঈদ সামগ্রীক দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জেডআরএফের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়েছেন আমাদের চিকিৎসকেরা এবং সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে এই যোদ্ধাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে ফাউন্ডেশন।’’
ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ‘‘চলছে পবিত্র মাহে রমজান। আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। আমরা যারা সুস্থ আছি, ভালো আছি তারা হয়ত আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করব। কিন্তু, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আমরা যাদের চির দিনের জন্য হারিযেছি তারা কেউ আমার ভাই, কেউ আমার সন্তান। সেই ভাই হারা এবং সন্তান হারা স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে চায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। ভাগাভাগি করে নিতে চায় তাদের আনন্দ-বেদনা। সীমিত সামর্থা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে চায় প্রতিটি শহিদ ও আহত পরিবারের।’’
তিনি বলেন, ‘‘ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশনায় শহিদ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের সদস্যরা। দুর্যোগ-সংকটে, বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে যে সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রাখতে এই উদ্যোগ।’’
ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের চাঁদা এবং অনুদান আর্ত মানবতার সেবায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্চ্ছ্বাস, বন্যা খরাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকের সময় এই প্রতিষ্ঠান দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্র জনতাকে চিকিৎসা দিয়েছে। ফেনী এলাকায় ভয়াবহ বন্যার সময় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করেছে এই প্রতিষ্ঠান। আগামী দিনেও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যেকোনো বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের পরিচালক ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির সদস্য সচিব ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা. শাহ মো. আমান উল্লাহ, ডা. শেখ মনিরুদ্দিন জুয়েল, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ খান প্রমুখ।