Sunday 16 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের সেই নেত্রী কারাগারে


১৭ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৬

রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেত্রী লিপি খান ভরসাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৬ মার্চ) রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুদীপ্ত শাহীন কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকা থেকে রংপুর মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর সিএমএম আদালতে নেওয়া হলে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। পরে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক শোয়েবুর রহমান জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিপি খান ভরসাকে ঢাকার গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। লিপি খান ভরসার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা চেষ্টাসহ আন্দোলন দমনে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে সিটি বাজারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। সেখানে গুলি লেগে অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় গতবছর ১৩ নভেম্বর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টায় একটি মামলা করেন। লিপি খান ভরসা এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

লিপি খান ভরসা রংপুরের সাবেক এমপি মরহুম করিম উদ্দিন ভরসার পুত্রবধূ। তার বিরুদ্ধে ভরসা পরিবারের জমিজমা জাল জালিয়াতি করে আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। এছাড়া তিনি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। এলাকায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য টিপু মুনশির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি।

জানা যায়, তার নামে হওয়া সকল মামলা থেকে গ্রেফতার এড়াতে ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন লিপি খান। এ মামলা থেকে নাম বাদ দিয়ে তাকে সুরক্ষা দিতে রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ চান মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সার। এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিপি খান লিখিত অভিযোগ করেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে লিপি খান ভরসা তার ম্যানেজার পলাশ হাসানকে কোতোয়ালি থানায় পাঠান। এ সময় শিবলী কায়সার মামলার বাদী ম্যানেজার পলাশকে থানার ভেতরেই বেধড়ক পেটান। এক পর্যায়ে তাকে গুলি করতে সহকর্মীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে উপকমিশনার ‘অপরাধ’ থেকে প্রত্যাহার করে ‘ক্রাইম অ্যান্ড অপসে’ সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে তাকে ওএসডি করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর