Monday 17 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইনজীবী খুন, ২ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৯ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৪

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলগেটে নেওয়া দুই আসামি, চন্দন দাশ ও রাজিব ভট্টাচার্য্য। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দুই আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত এ আদেশ দেন।

তারা দুজন হলেন- চন্দন দাশ ও রাজিব ভট্টাচার্য্য।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান আসামিদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জেলগেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দেন। শুনানির সময় চন্দন ও রাজিব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চন্দন দাশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় তার জবানবন্দিতে শিবা নামে একজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। আর রাজীব ভট্টাচার্য্য তার জবানবন্দিতে ওমবাই নামে একজনের নাম জানিয়েছেন। শিবা ও ওমবাইয়ের বিষয়ে আরও তথ্য নিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছিল ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। আইনজীবী সমিতি এ হামলার জন্য ইসকন সদস্য ও সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। আইনজীবী খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আইসি/এনজে

আইনজীবী আসামি খুন জিজ্ঞাসাবাদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর