মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক দেশের জন্য একটি বিশাল অর্জন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১৭ মার্চ ২০২৫ ২০:৫৫ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ২২:১৭
ঢাকা: গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের (এমভিসি) সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমভিসি একটি বড় অর্জন। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে মহাখালীস্হ প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র (এলআরআই) প্রাঙ্গণে ১১৫টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এমভিসি গাড়ির মতো চার চাকা হলেও এটি গাড়ি নয়, এটি হচ্ছে একটি হাসপাতাল। যেখানে প্রাণী চিকিৎসার সকল কিছুই থাকছে। থাকছেন একজন সার্জনও।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সেবাটি প্রত্যন্ত খামারীদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর অন্য কোনো ব্যবহার যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, বড় বা বাণিজ্যিক খামারগুলোকে আমরা সেবা দেই। এক্ষেত্রে তাদের সেবার পাশাপাশি গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত খামারীদের কাছে পৌঁছানের ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা যাতে এ সেবার বিষয়ে জানতে পারেন, এরও উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সেবাটি ফ্রি ও ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামীণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক হলেও আছে। এখন থেকে প্রাণীর সেবায় চালু হচ্ছে এমভিসি। তবে এটির সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভেটেরিনারি ডাক্তারদের সচেতন এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মানুষের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিত করতে এই ভেটেরিনারি ক্লিনিক বা ‘প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ এর গুরুত্ব বেশি। কোনো প্রাণী অসুস্থ্য হলে তার আশ পাশের অনেক প্রাণীও অসুস্থ হতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সব প্রাণীর সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে অসুস্থ্ প্রাণী বাজারে আসতে না পারে। হাঁস মুরগি থেকে সকল গবাদি পশু ও পাখির সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফা আক্তার, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদ ও কৃষক ফেডারেশনের মুখপাত্র মো. তানজীর আলম রবিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বিভিন্ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরামর্শক, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা এবং মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক গ্রহণকারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও চালকগণ অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ এই থিমকে ধারণ করে প্রান্তিক খামারিদের দোরগোড়ায় আধুনিক ও জরুরি প্রাণিচিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) হতে তৃতীয় ও শেষ ধাপে আরও ১১৫টি এমভিসি অবশিষ্ট উপজেলাতে আজ বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে ৪৬৬টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরে এমভিসি বিতরণ করা হলো।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস