Saturday 22 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাজায় গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৫ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ১৯:২০

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও ভারতে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে ফের উত্তর গেটে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলংকময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত দুইদিনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। তাই এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতেই হবে। সেজন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুততার সাথে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।

তারা বলেন, ‘‘ভারতে উগ্রবাদী কসাই মোদির নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে নির্বিচারে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করে মোদি সরকার মুসলমানদের রক্তের নেশায় মেতে ওঠে। ভারত সরকার যদি মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্যবর্জন এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারত তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য ও বর্বর জাতি।’’

ঢাকা মহানগর উত্তর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মাছউদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকে।

বিজ্ঞাপন

মাওলানা ইমতেয়াজ আলম বলেন, ‘‘ইউরোপে, আমেরিকায় ও ইজরাইলে কি কোনো বিবেকবান মানুষ নাই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সব অন্ধ ও বধির? নিস্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরেও কি ইসরায়েলকে থামানোর মতো কেউ নাই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এতো এতো সংস্থার কী দরকার? যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘণ করে ইসরায়েল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইসরায়েলের এই বর্বরতা সম্মিলিকভাবে রুখে দিতে হবে।’’

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘‘ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য, সবগুলোতে এই গণহত্যা বন্ধে জরুরি মিটিং আহবান করে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। আমাদের যতটুকু সামর্থ আছে, সেটা নিয়েই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’’

বিক্ষোভ সভা শেষে পুরানা পল্টন মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে ইসরায়েলি ও ভারতীয় পতাকা এবং নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় অগ্নিসংযোগ করে।

সারাবাংলা/এজেড/এনজে

ইসলামী আন্দোলন গাজা গণহত্যা বিক্ষোভ মিছিল ভারত মুসলিম