মেট্রোরেলে ঈদের প্রভাব, নেই ধাক্কাধাক্কি-ঠাসাঠাসি
২৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৪ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৬
ঢাকা: ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নাড়ির টানে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। আর এরই প্রভাব পড়েছে মেট্রোরেলে। এখন প্রায় ভিড়হীন চলাচল করছে মেট্রোরেল। এ এক অচেনা মেট্রোরেল।
বুধবার (২৬ মার্চ) সরেজমিনে মেট্রো স্টেশনগুলো ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেট্রো স্টেশনগুলোতে টিকিট কাটার জন্য দুই একদিন আগেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লাগত টিকিট পেতে। এখন সেটা মাত্র ১-২ মিনিটেই পেয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এমন কি যারা টিকিট কাটছেন তারা অলস সময় কাটানোরও সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া মেট্রোর বগিগুলোতে সম্প্রতি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একজনের মধ্যে আরেকজনের চুল পরিমাণ ফাঁকা না থাকলেও এখন বিস্তর জায়গা খালি পড়ে থাকছে। আর এতে স্বস্তি বোধ করছেন যাত্রীরা।
টিকিট কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা যায়, ঈদের কারণে অফিসগুলো প্রায় ছুটি হয়ে গেছে। তাই বেশির ভাগ মানুষ বাড়ি চলে গেছেন এবং অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ এখন নেই। যেখানে ১-২ দিন আগেও যাত্রীদের টিকিট দিতে তাদের নিঃশ্বাস ফেলারও সময় পাওয়া যেত না।
সচিবালয়ে স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে উঠেছেন সুরভি আক্তার। তিনি বলেন, এই স্টেশন থেকে প্রথম চান্সে উঠতেই পারতাম না। মতিঝিল থেকেই ট্রেন মানুষে ঠাসাঠাসি হয়ে যেত। আজ লোক নাই, তাই আমারও কষ্ট হয়নি। খুব স্বস্তি লাগছে।
যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, দুপুরের পর থেকে মেট্রোতে উঠতে হিমশিম খেতে হতো। এমন ধাক্কা পেতাম যেন শরীরের হাড় সব একাকার হয়ে যাবে। খুব কষ্ট হতো। প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কি ছিল, যার কোনোটাই আজ নাই। লোকজন বাড়ি চলে যাওয়ায় ভিড়টা আজ নাই। তাছাড়া আজ সরকারি ছুটিও রয়েছে।
এদিকে, ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও রেল ও সড়কপথে কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। দূরপাল্লার বাস স্টেশন গাবতলী, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল এলাকায় ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। সড়কে এখনো তেমন একটা যানজট না থাকায় বাসস্ট্যান্ড থেকে সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাসগুলো।
সারাবাংলা/এমএইচ/এইচআই