‘পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসকে দিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট করিয়েছে’
২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৩০ | আপডেট: ২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২৭
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: ‘পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসকে দিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট করিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি অবৈধ টাকার মালিক। তাদের অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড করছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোন উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই। মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করছে, কথা বলতে পারছে। মানুষ নির্ভয়ে ঈদ পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদের দৌরাত্ম ছিল না। শেখ হাসিনার আমলে যা অসম্ভব ছিল।’
রিজভী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা। শেখ হাসিনা হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে যে নাটক করেছে, সেটা তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন। এটা ক্ষমতায় টিকে থাকতে তার রাজনৈতিক কৌশল ছিল। একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও তা উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে যেভাবে মুগ্ধ, ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তার কোনো বক্তব্যে অনুতপ্ততা নেই। অস্থিরতা তৈরি করতে দেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রশাসনের চারদিকে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে।’
রিজভী বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টা বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন কিছু উপদেষ্টা। একজন উপদেষ্টা ২০০৭ সালেও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। তিনি এবারও তা করছেন। মেহেরপুরে পেয়াঁজের দাম না পেয়ে একজন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। উপদেষ্টারা সেগুলো নিয়ে কথা বলছে না। তারা সিন্ডিকেট ভেঙে দিলে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মজুরি পেত।’
তিনি বলেন, ‘গত দুদিনে সড়কে ২০-২৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। প্রশাসন শক্তভাবে কাজ করলে এত লোক সড়কে প্রাণ হারাতো না। দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। সরকারের জবাবদিহিতা থাকা দরকার। নিজের কাজ বাদ দিয়ে কতিপয় উপদেষ্টা বিএনপির বদনাম করছেন, এটা দুরভিসন্ধিমূলক।’
রিজভী বলেন, ‘অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচিত সরকার হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ স্পষ্ট না করলে ধোঁয়াশা তৈরি হবে। ড. ইউনুসকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
সারাবাংলা/এজেড/এসডব্লিউ
