সিলেটে বাটা-কেএফসিতে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় আটক ১৪
৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১৪
সিলেট: ফিলিস্তিনের গাজায় জনগনের ওপর গণহত্যাকারী ও দখলদার ইসরায়েলের পাশবিক হামলার প্রতিবাদে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনির স্বাধীনতার দাবিতে বৈশ্বিক ধর্মঘট কর্মসূচি চলাকালে মিছিল থেকে সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. রাজন, ইমন (১৯), মো. রাকিব (১৯), মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), মিজান আহমদ (৩০), সাব্বির আহমদ (১৯), জুনাইদ আহমদ (১৯), মো. রবিন মিয়া (২০), সৈয়দ আলআমিন তুষার (২৯), মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), মো. রিয়াদ (২৪), মো. তুহিন (২৪) ও আল নাফিউ (১৯)।
সোমবার (৭ এপ্রিল) মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে একদল দুর্বৃত্ত মিরবক্সটুলায় কেএফসি, রয়েল মার্ক হোটেল, সাফরা রেস্টুরেন্ট, ইউনিমার্ট, বনফুল, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর চালায়। এর মধ্যে কেএফসি, রয়েল মার্ক হোটেল দুই দফা হামলা হয়। এছাড়া বাটার চারটি শোরুমে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে। শতাধিক দোকানে ঢুকে ইসরায়েলি কোমল পানীয় বের করে ভাঙচুর করে। বাটার শোরুমগুলোতে লুটপাটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা লুটপাটকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে পুলিশ অভিযানে নেমে এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের সুযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে একদল দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় তারা বাটা শোরুমের বেশ কিছু জুতা লুট করে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেইজ থেকে এসব বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়। এসব পোস্ট ও তথ্যের সূত্র ধরে রাতভর অভিযান চালিয়ে জুতাসহ তাদের আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা সাপেক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সারাবাংলা/এনজে