তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ভিডিওসহ গ্রেফতার ২
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪১ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১০
ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওটা বন্ধুত্বের সুযোগে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
গ্রেফতাররা হলেন, মো. হাসিব চৌধুরী (২৭) ও আতিক হোসেন ভূইয়া (২৯)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন (যার মধ্যে একাধিক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে) এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা ও চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এক মাস আগে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে পরিচয় হয় হাসিব চৌধুরীর। পরিচয় থেকে তাদের সম্পর্ক গড়ায় বন্ধুত্বে। গত ৪ এপ্রিল হাসিব তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে করে ভিকটিমকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। প্রাইভেটকারে তাদের সঙ্গে হাসিবের বন্ধু আতিকও ছিল। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে ৯টায় বাসার উদ্দেশে রওনা করে। পথিমধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক কোমল পানির সাথে মদ মিশিয়ে পান করায়। ফলে ভিকটিম কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে পূর্ব থেকে ভাড়া করা তেজগাঁও থানাধীন শাহীনবাগ ইম্পেরিয়ান হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ভিকটিমকে জোরপূর্বক আটকে রেখে সারারাত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরদিন সকালে তারা ভিকটিমকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তেজগাঁও থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
তিনি জানান, মামলার পুলিশের চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে গত ৬ এপ্রিল ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা হতে আতিক হোসেন ভূইয়াকে ও ৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা হতে হাসিব চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে আতিক হোসেন ভূইয়ার কাছ থেকে ধর্ষণের সময় তার মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। মূল আসামি হাসিব চৌধুরী দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এমএইচ