ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে প্রভাব পড়েনি বাংলাবান্ধা বন্দরে
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৫ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫২
পঞ্চগড়: ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি সুবিধা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কোনো প্রভাব পড়েনি দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায়।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) অন্যান্য দিনের মত এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রফতানি করা হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার নেপাল ও ভুটান থেকে অন্যদিনের মতই এসেছে বোল্ডার পাথর, সুগার মোলাসিস, অর্গানিক রঙসহ অন্যান্য পণ্য। এদিন ৪৩টি পণ্যবাহী ট্রাকে এক হাজার ২৪০টন পণ্য আমদানি হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাটের কাঁচামাল, আলু, টিস্যু পেপারসহ অন্যান্য পণ্যের ২২টি ট্রাকে ৪৮৩টন পণ্য নেপালে রফতানি হয়েছে।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানি নির্ভর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে অন্য পণ্যের সঙ্গে নেপালে নিয়মিত আলু রফতানি করা হচ্ছে। বুধবারও ৩১৫ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি করা হয়। গত দুই মাসে থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টার প্রাইজ, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ ও ক্রসেস এগ্রো নামে চারটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্থলবন্দর দিয়ে কয়েক দফায় তিন হাজার ১৫০ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি করে।
স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সঙ্গনিরোধ পরিদর্শক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রফতানিকারক চারটি প্রতিষ্ঠান রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুগুলো সংগ্রহ করে নেপালে পাঠায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে নেপালে আলু রফতানি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের স্থলবন্দরে আপাতত আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনো নিদর্শনা আসেনি। আজকেও আমাদের এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য ভারত ও নেপালের সঙ্গে আমদানি রফতানি হয়েছে। অন্য দিনের মত বৃহস্পতিবারও আমরা কাজ করেছি।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৯টি ট্রাক আমদানি হয়েছে এবং ২৪টি পণ্যবাহী ট্রাক রফতানি হয়েছে। এরমধ্যে দুই ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি করা হয়েছে এবং ২২টি ট্রাকে রফতানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্য নেপালে রফতানি হওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ভারতের যে নীতিমালা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমাদের এই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এর প্রভাব পড়েনি। এখানে স্বাভাবিকভাবেই আমদানি ও রফতানিযোগ্য সকল পণ্য স্বাভাবিকভাবে রয়েছে।
সারাবাংলা/এইচআই
আমদানি বাংলাবান্ধা বন্দর ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা রফতানি