খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা পরিষদের মাধ্যমে অস্তিত্বহীন প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন ( দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সারাদিন দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন এবং যাদের নামে প্রকল্প দেখানো হয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন বলে নিশ্চিত করেন দুদক, রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. জাহিদ কালাম।
তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন অস্তিত্বহীন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও রাঙ্গামাটিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও বান্দরবানে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এই বরাদ্দে একটি জনগোষ্ঠী সুবিধা পেলেও বাকিরা সুবিধা বঞ্চিত অভিযোগে আন্দোলনে নামে নানান জাতিগোষ্ঠীর লোকজন। তারা পার্বত্য বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণেরও দাবি জানান।
তদন্তে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে এবং সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে অস্তিত্বহীন প্রকল্প পরিদর্শনপূর্বক অভিযান পরিচালনাকরতঃ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন নেতৃত্বে একটা এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়। উপসহকারী পরিচালক, দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাঙ্গামাটি সারোয়ার হোসেন এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্য। গঠিত টিমকে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইপূর্বক আগামী ০২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে দিনভর তদন্তে কী পাওয়া গেছে- এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি এনফোর্সমেন্ট কমিটির প্রধান দুদকের সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন।