ইয়েমেনের তেলবন্দরে আমেরিকার বিমান হামলায় নিহত ৩৮
১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪৪ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৪
ইয়েমেনের রাস ইসা তেলবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এ হামলায় ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ১০২ জন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন এসব তথ্য জানিয়েছে। হুতি পরিচালিত সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ শুরুর পর থেকে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতি হামলার একটি।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী, রাস ইসাতে একটি তেল পাইপলাইন ও বন্দর রয়েছে, যা ইয়েমেনের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপূরণীয় অবকাঠামো’। ইয়েমেনের প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি এবং ৮০ শতাংশ মানবিক সাহায্য রাস ইসা, হোদেইদাহ ও আস-সালিফ বন্দরের মাধ্যমে প্রবেশ করে।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল হুতি জঙ্গি গোষ্ঠীর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা।
এক্সে একটি পোস্টে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বলেছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুতিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎসকে হ্রাস করা, যারা দেশবাসীকে শোষণ করে চলেছে।
এরআগে গত মাসে হুতিদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ পরিসরে হামলা শুরু করে। লোহিত সাগরের জাহাজের ওপর আক্রমণ বন্ধ না করলে হামলা থামবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা জলপথে চলাচলকারী জাহাজের ওপর কয়েক ডজন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তারা জানিয়েছে, তারা গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
হুথি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চ মাসে দুই দিনের মার্কিন হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছিলেন।
তবে ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হুতিরা রেড সি বা লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ না করলে মার্কিন হামলা চলতেই থাকবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হুতিরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে ১০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে এই দাবিতে যে জাহাজগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত। গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই হুতিদের এই হামলা শুরু হয়।
সারাবাংলা/এমপি