পাকিস্তানে কেএফসি শাখাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভে একজন নিহত হয়েছেন এবং পুলিশ অন্তত ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে কেএফসিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নামে জনগণ।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী বিবিসিকে জানান, গত এক সপ্তাহে অন্তত ২০টি কেএফসি আউটলেটে হামলার চেষ্টা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, লোহার রড হাতে বিক্ষোভকারীরা কেএফসি-তে ঢুকে আগুন দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। করাচিতে দুটি কেএফসি শাখায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৪ এপ্রিল লাহোরের অদূরে শেইখুপুরায় একটি বিক্ষোভ চলাকালে কেএফসি কর্মী আসিফ নবাজ (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
শেইখুপুরার আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা আথার ইসমাইল বলেন, মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক থাকলেও এ ঘটনায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইসলামী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিলেও কেএফসিতে হামলার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সুন্নি আলেম মুফতি তাকী উসমানী জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে বলেন, ‘ইসরায়েলি পণ্য বর্জন গুরুত্বপূর্ণ, তবে ইসলাম এমন কোনো ধর্ম নয় যা অন্যদের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদ হোক শান্তিপূর্ণ, সহিংসতা বা কারও জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি করা ইসলাম অনুমোদন করে না।’
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পাকিস্তানসহ মুসলিম দেশগুলোতে পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, হামলা ও বর্জনের ঘটনা বাড়ছে।
এ বিষয়ে কেএফসি এবং এর মূল কোম্পানি ইয়াম ব্র্যান্ডস এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।