বাংলাবান্ধা দিয়ে ৩৭৮ মেট্রিক টন আলু গেল নেপালে
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০০
পঞ্চগড়: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ফের নেপালে রফতানি হলো আলু। কয়েকটি ট্রাকে মোট ৩৭৮ মেট্রিক টন আলু রফতানি হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।
জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে কয়েকটি ট্রাকে মোট ৩৭৮ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বন্দরটি দিয়ে ২৭৩ মেট্রিক টন আলু রফতানি হয়। এখন পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হলো এই বন্দর দিয়ে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালোমানের আলু সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নেপালে রফতানি করা হচ্ছে। থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টার প্রাইজ, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ ও ক্যারোস অ্যাগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপ এই আলু নেপালে রফতানি করছে। তবে নতুন করে আরও দুটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান যোগ হয়েছে। সেগুলো হলো ঈশান এগ্রো ফার্ম ও হাবিব ইন্টারন্যাশনাল।
এই বন্দর দিয়ে নিয়মিত আলু রফতানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন ও দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের আলুর দাম পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নেপালের বাজারে বাংলাদেশের আলুর অনেক চাহিদা রয়েছে। আলুগুলো পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করে পরবর্তী সময়ে নেপালে রফতানি করা হয়। এই আলু রফতানির ফলে কৃষক-ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে।’
ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপের মালিক কে এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালো মানের আলু সংগ্রহ করে নেপালের রফতানি করি। যদি ভালো মানের আলু নেপালে রফতানি করতে পারি তাহলে আমরা সবাই লাভবান হব।’
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আলুগুলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাকযোগে এলে আমরা আলুগুলো আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। পরে সেগুলো ভারত দিয়ে নেপালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। নতুন পণ্য হিসেবে আলু রফতানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে।’
সারাবাংলা/পিটিএম