ঢাকা: গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে চায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রোকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেছেন, সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার জন্য কাজ চলমান। এগুলো চালু হলে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিডিবি চেয়ারম্যান আরও জানান, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দৈনিক ১৫০০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করছে। সবগুলো কেন্দ্র সচল হলে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব।
এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট দিয়েছে বিপিডিবি। এর বিপরীতে সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এই চাহিদা ও সরবরাহের মাঝে ঘাটতি সাড়ে ৭০০ মেগাওয়াট হতে পারে। আর সেটা হতে পারে কারিগরি ত্রুটি কিংবা লাইনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো স্বাভাবিক সমস্যা, দ্রুত সমাধান সম্ভব। তাই ৭৪০ মেগাওয়াট যে ঘাটতি থাকছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পিডিবি কর্মকর্তারা।
এদিকে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে গত ১৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি, এলপি থেকে ১ কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করে। এছাড়া কাতার ও ওমানের সঙ্গে এলএনজি আমদানির দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তার কারন উড়িয়ে দিচ্ছে পিডিবি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর খানও বলেছেন, গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং কমাতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কোনো মানুষ যেন লোডশেডিং না থাকে সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রমজান মাসে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে অফিস, ব্যাংক, বাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখা ছিল অন্যতম।