আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবিতে এনসিপি’র বিক্ষোভ
২২ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪৫
ঢাকা: আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৃহত্তর তেজগাঁও ও শেরেবাংলা নগর জোন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজধানীর খামার বাড়ি চত্বরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, ‘রাতের অন্ধকারে মুখে মাস্ক পরে মধ্যরাতে মিছিল কেনো করে আওয়ামী লীগ? সাহস থাকলে আমাদের মতো রাজপথে আসুন। বর্তমান সরকারকেও বলতে চাই। যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে দেশ ছেড়ে, সেই দেশে আবারও আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে চাই না। তাই আওয়ামী লীগকে দ্রুতই নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন।’
এনসিপির সমাবেশে যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি আবারো ফিরে আসে, তাহলে সাধারণ জনগণ আবারো আবু সাঈদের মতো বুক পেতে রাস্তায় দাঁড়াবে। স্বৈরাচারীর দোসরদের আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে খুনি হাসিনার বিচার করুন। আর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন।’
যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের আট মাস পরেও এখন পর্যন্ত জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের নামে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনের আড়ালে এখনো আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। যা এই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ গাদ্দারি। একটি গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো প্রকার পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা রুখে দেবে।’
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন না; এটি একটি ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া দল। যারাই এখন এই দলকে নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের মাথায় রাখতে হবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনরায় ঘোষিত হয়েছে ৩৬ জুলাইয়ে।’
সদস্য এম এম শোয়াইব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণহত্যাকারী দল। দিল্লির প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করাই ছিল তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। বিষের যেমন ভালো বিষ বা খারাপ বিষ বলে কিছু নেই তেমনই আওয়ামী লীগেরও ভালো লীগ বা মন্দ লীগ বলে কিছু নেই। তাদের একটাই পরিচয় গণহত্যাকারী লীগ।’ অবিলম্বে তাদের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং দল হিসেবে তাদের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান তিনি।
এ ছাড়াও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহাদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, মুশফিকুর রহমান জোহান, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হাবীব আল মানজুর, নিজাম উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম ও এনসিপি তেজগাঁও জোনের নেতারা।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই