Monday 15 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বে টার্মিনাল নির্মাণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০২ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫৬

বে টার্মিনাল নির্মাণ ও শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বুধবার ওয়াশিংটনে বিশব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক ঋণ চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ – (ছবি: সংগৃহীত)

ঢাকা: গভীর সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশ বে টার্মিনাল নির্মাণ ও শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে বিশব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক ঋণ চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে গেইল মার্টিন স্বাক্ষর করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, বাংলাদেশ বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণে সহায়তা করার লক্ষ্যে দুটি চুক্তি সই করেছে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ। দুই প্রকল্পে মোট ৮৫ কোটি ডলারের দুটি ঋণ পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

ইআরডি জানায়, বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (৬৫ কোটি ডলার) সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বাড়বে। সেই সঙ্গে পরিবহন খরচ ও সময় কমিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এই প্রকল্প। প্রকল্পে থাকছে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-সহিষ্ণু ঢেউনিরোধক এবং বন্দরে প্রবেশপথের মতো অপরিহার্য অবকাঠামো। গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হলে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। তাতে বন্দরে জাহাজ প্রবেশ ও বেরোনোর সময় কমবে। ফলে দৈনিক এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে। বে টার্মিনালে বাংলাদেশের মোট ৩৬ শতাংশ কনটেইনার ওঠা–নামা করা হবে। এতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হতে পারবেন।

অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ২০ কোটি ডলারের প্রকল্পে নগদ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ৪৫ লাখ মানুষের জীবিকার উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। এর মূল লক্ষ্য থাকবে তরুণ জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নারী ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে আক্রান্ত অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষেরা। নগদ সহায়তার সঙ্গে এই প্রকল্পে দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মযোগ্যতা ও আয় বৃদ্ধির সক্ষমতা তৈরি করা হবে এই প্রকল্পে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, টেকসই উন্নয়নের ধারায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশে মান শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে প্রতিবছর শ্রমবাজারে যে প্রায় ২০ লাখ তরুণ প্রবেশ করছেন, তাদের জন্য এই শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া এই ঋণের অংশ হিসেবে বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থেকে উত্তরণে এবং চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করা হবে। তিনি মনে করেন, এই পদক্ষেপ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারি আছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঘাত মোকাবিলা করা এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের নিশ্চিত অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।

সারাবাংলা/আরএস

বিজ্ঞাপন

বিশ্বের প্রথম এটিএম ব্যবহারকারী
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর