পাকিস্তানের আকাশে ভারতের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২৪ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১০
কাশ্মীরের পেহেলগামে স্বাধীনতাকামীদের সহায়তাকারী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মুখে পড়েছে। হামলার জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত, যার জবাবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) পালটা কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ ঘোষণা করে।
পাকিস্তান ভারতের মালিকানাধীন বা পরিচালিত সব বিমানের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে আঞ্চলিক বিমান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে, দ্বিপাক্ষিক ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পরিচালিত সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া, পাকিস্তান সরকার ভারতের সঙ্গে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিকে সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, ভারতের নাগরিকদের দেওয়া সব ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন ভিসা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে একমাত্র সচল স্থলপথ ওয়াঘা সীমান্তও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।
দুই দেশই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১ মে ২০২৫-এর মধ্যে তাদের দূতাবাসে কেবল ৩০ জন করে কর্মকর্তা রাখবে।
ভারত ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু নদ জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করেছে, যা পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে। পাকিস্তান এই চুক্তিকে ২৪ কোটির বেশি জনগণের জন্য জীবনরেখা উল্লেখ করে জানিয়েছে, তাদের জল অধিকার রোধের যেকোনো প্রচেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সিমলা চুক্তিসহ ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত থাকবে যতদিন না ভারত তাদের আচরণে পরিবর্তন আনে।
এদিকে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে পেহেলগাম হামলার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের অবহিত করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জোরালো প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
সারাবাংলা/এনজে