নোয়াখালী: নোয়াখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাই স্কুলছাত্র শাহরিয়ার হাসান রিমনকে (১৬) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগীর মা ফরিদা ইয়াসমিন ২১ জনকে এজাহারভুক্ত ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আহত শাহরিয়ার হাসান রিমন জেলা শহরের বসুন্ধরা কলোনি বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে কিশোর গ্যাং সদস্যরা শাহরিয়ার হাসান রিমনকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
ভুক্তভোগীর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রিমনের পিঠে, মাথাসহ মোট ৬টি জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তার অপারেশন ঢাকা মেডিকেল কলেজে করানো হয়েছে। বর্তমানে এখানেই চিকিৎসা চলছে। তার পিঠের আঘাতগুলো ফুসফুস পর্যন্ত চলে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। হামলাকারীরা ভেবেছিল রিমন মারা গেছে। যখন জানতে পারে সে বেঁচে আছে তখন তারা ফের হামলা করতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত যায়।
নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পর সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এজহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় আমাদের আরও অনুসন্ধান চলছে।