Tuesday 13 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেট ভাবনা ২০২৫-২০২৬: প্রসঙ্গ এডিপি

ড. মিহির কুমার রায়
৯ মে ২০২৫ ১৯:১০ | আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ১৯:১২

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। বাজেটের এই আকার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। নতুন অর্থবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হচ্ছে দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এডিপিতে বরাদ্দ কমছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের এই আকার অক্ষুণ্ন থাকলে স্বাধীনতার পর এটিই হবে প্রথম বাজেট, যেটি আগের অর্থবছরের তুলনায় আকারে ছোট হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়া এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান কমে যাওয়ার পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেট আকারে কিছুটা ছোট হচ্ছে। বাজেটের আকার কমলেও চলতি অর্থবছরের তুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। পরে রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রবণতা না থাকায় তা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়। তবে আগামী অর্থবছরের জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়ে করা হচ্ছে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করছে অর্থবিভাগ।

বিজ্ঞাপন

এবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কমছে বরাদ্দ। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। নতুন উন্নয়ন বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা, গত অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। ফলে তারা ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৩১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ পাচ্ছে ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে এ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় মাত্র ৪ হাজার ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে ১৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপির থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর থেকে ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এলজিডিকে ৪০ হাজার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সড়কে।তবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কমছে বরাদ্দ। বরাবরের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে ।

বিজ্ঞাপন

মূল্যস্ফীতির প্রভাবে গত ২ বছরে দেশে অতি দরিদ্র হয়েছে ৩৮ লাখ মানুষ। আর শিগগিরই মূল্যস্ফীতির পারদ কমছে না বিশ্বব্যাংক এমন আভাস দিয়ে বলেছে নতুন করে আরও ৩০ লাখ মানুষ অতি দরিদ্র হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অতি দরিদ্রের বড় একটি অংশ আসন্ন বাজেটে (২০২৫-২৬) ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি’র উদ্যোগ সীমিত থাকছে । চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) তুলনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমছে ৪ লাখ ২ হাজার। সেখানে এই কর্মসূচিতে নতুন করে যোগ হয়েছিল ১০ লাখ ২৬ হাজার সুবিধাভোগী যা আগামী অর্থবছরে যোগ হচ্ছে ৬ লাখ ২৪ হাজার। এছাড়া আসন্ন বাজেটে (২০২৫-২৬) সব ধরনের ভাতা সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ একশ টাকা বেড়ে ভাতার অঙ্ক (৬৫০-৯০০) টাকায় উন্নীত করেছে, যা দিয়ে দারিদ্র্যবিমোচন খুবই কঠিন। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির সংখ্যা কমানো হচ্ছে। আগামী বাজেটে ১২ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে মেটাতে বরাদ্দ থাকছে ১৯ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ আছে ১৭ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন অর্থবছরে এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বাড়ছে।

এদিকে অব্যাহত মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে গত দুই বছরে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) গবেষণা তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৭৮ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যার মধ্যে ৩৮ লাখ লোক অতি দরিদ্র হয়ে পড়েছে। আর ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ অতিমাত্রায় দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা এবং ভাতার অঙ্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিদিরা। তাদের মতে, অর্থ সংকটের কারণে বড় ধরনের উদ্যোগ থাকছে না সরকারের পক্ষ থেকে। অন্তর্বর্তী সরকারের বলয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও এ খাত ঘিরে দুর্নীতির বিষয়টি প্রথমে আলোচনায় নিয়ে আসেন সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নিজেই। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘শুধু অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সফল হবে না। সামাজিক সুরক্ষা খাতে দুর্নীতি বড় বাধা, ফলে শক্তিশালী তদারকি প্রয়োজন। এ খাতে উপকারভোগীদের তালিকায় দুর্নীতি আছে। ড্যাশবোর্ড তৈরি হলে সামাজিক সুরক্ষার কর্মসূচিগুলোর কার্যক্রম জোরালো নজরদারির মধ্যে রাখা সম্ভব হবে।

অর্থ বিভাগের হিসাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৯৯ হাজার জনকে যুক্ত করে আগামী বাজেটে ৬১ লাখ বৃদ্ধকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হবে। এতে বরাদ্দ থাকছে চার হাজার ৭৯১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, চলতি বাজেটে বরাদ্দ আছে চার হাজার ৩৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ কর্মসূচিতে ভাতার অঙ্ক ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে বিধবা ভাতাভোগীতে নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে এক লাখ ২৫ হাজার জন। এতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জন থেকে বেড়ে ২৯ লাখে উন্নীত হবে। অর্থ বরাদ্দ থাকছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আছে এক হাজার ৮৪৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তবে ভাতার অঙ্ক একশ টাকা বেড়ে ৬৫০ টাকা করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতার কার্যক্রমও বাড়ছে। উপকারভোগী ৩২ লাখ ৩৪ হাজার থেকে বেড়ে ৩৪ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত করা হচ্ছে। ভাতার অঙ্ক ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে তিন হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে এ খাতে তিন হাজার ৩২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা আছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে দরিদ্র মাকে ভাতা দেওয়া হয়। আগামী অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে এক লাখ ১৫ হাজার ৯২০ জনকে নতুন করে যুক্ত করা হবে। এতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ২০০ জন। তাদের ভাতার অঙ্ক ৫০ টাকা বেড়ে ৮৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। বরাদ্দের দিক থেকে আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে এক গণ-আন্দোলন। জুলাই অভ্যুত্থান নামে পরিচিতি পাওয়া এ গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রক্তক্ষয়ী এ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা বিগত সরকার। বিগত দেড় দশকে দেশের অর্থনীতির নীতি প্রণয়নে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের বিষয়টি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আয়ের উৎস না বাড়িয়ে ক্রমাগত টেনে লম্বা করা হয়েছে বাজেটের আকার। অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপব্যয়ের চাপে বড় হয়েছে বাজেট ঘাটতি। ঋণনির্ভরতার কারণে সরকারের ঘাড়ে চেপেছে প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার দেশী-বিদেশী ঋণের বোঝা। রেকর্ড রাজস্ব ঘাটতি, ঋণ পরিশোধের চাপ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের বেড়াজালসহ নানা চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকারের প্রথম বাজেটে জনগণের প্রত্যাশাও বিপুল। বাজেটের আকার কমিয়ে আনার প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে আইএমএফ। আর নতুন বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য ধরা হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে গ্রামীণ পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে জোর দেয়া হচ্ছে। এজন্য বাড়তি নজর দেয়া হচ্ছে রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কারসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে। বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতা। সীমিত সাধ্যের মধ্যে বাড়ানো হবে ভাতাভোগীর সংখ্যাও। প্রায় তিন বছর ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে ৯-১১ শতাংশের ঘরে। জনগণকে স্বস্তি দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকতে পারে। আর উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য থেকে সরে এসে জিডিপি প্রবৃদ্ধির । তাই এই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল বৈশিষ্ঠগুলোর অন্যতম হতে হবে বিশেষত: স্বাস্থ্যতে, কৃষি তথা খাদ্য নিরাপত্তাতে, সামাজিক নিরাপত্তায়,বনিয়োগ-কর্মসংন্থানে, , সামাজিক সুরক্ষার খাতের পরিধি বৃদ্ধিতে, দারিদ্র্য বিমোচনে ইত্যাদি । সরকার কৃষকদের/গরীবের জন্য পেনশন ভাতা চালু করতে পারে যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে এ ব্যাপারে ভারতের কেরালা রাজ্যের সফল উদাহরন রয়েছে । সর্বোপরি বাজেট হওক প্রয়োগ ধর্মী বিশেষত: গ্রামীন জনপদের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক ডিন, সিটি ইউনির্ভাসিটি ও জ্যাষ্ট সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবীদ সমিতি, ঢাকা

সারাবাংলা/এএসজি

এডিপি ড. মিহির কুমার রায় বাজেট ভাবনা ২০২৫-২০২৬ মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর