Saturday 17 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতের পানি আগ্রাসন ও ফারাক্কা লংমার্চ

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া
১৬ মে ২০২৫ ১৬:০২ | আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ১৬:০৪

ফারাক্কা লংমার্চ বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। নদীমাতৃকার দেশ বাংলাদেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী, সুরমা, তিস্তা, বরাকসহ অসংখ্য ছোট-বড় নদ-নদী বাংলাদেশকে জালের মতো ছেয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ৫৮টি আন্তর্জাতিক নদীর ৫৫টির উৎপত্তি হিমালয়সহ ভারতের অন্যান্য উৎস থেকে। বাংলাদেশের মিঠা পানির মাত্র ৭ ভাগ পাওয়া যায় এখানকার বৃষ্টির পানি থেকে আর ৯৩ ভাগ আসে সীমান্তের ওপার থেকে বৃষ্টি ও বরফ গলানোর ফলে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় লাল-সবুজ পতাকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশ আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের অব্যাহত পানি-সীমান্ত-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ আজ তার স্বাধীন অস্তিত্ব¡ নিয়ে টিকে থাকবে কিনা সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর তাদের আগ্রাসনের পক্ষে কাজ করছে শাসকগোষ্ঠীর ভেতর লুকিয়ে থাকা তাদেরই এ দেশীয় এজেন্টরা।

বিজ্ঞাপন

পানি নেই। পানি শূন্য আজ পদ্মা। এক সময়ের প্রমত্ত পদ্মা আজ ধু-ধু মরুভূমি। এর কারণই হচ্ছে ফারাক্কা। হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা। বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্তে এসে পদ্মা নাম ধারণ করে দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারত গঙ্গার পানি উত্তর প্রদেশ এবং বিহার প্রদেশে সেচ কাজের জন্য ক্রমবর্ধমান হারে প্রত্যাহার করায় পশ্চিমবঙ্গে ভাগীরথী-হুগলি নদীর পানি প্রবাহ কমে আসে। সেজন্য ভারত পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা বন্দরের নাব্য বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের সীমানার ১০ কিলোমিটার উজানে মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা নামক স্থানে বাঁধ দিয়েছে। এই বাঁধের প্রথম পরিকল্পনা করা হয়েছিল ১৯৫১ সালে। সে বছর অক্টোবর মাসে ভারতীয় পত্রপত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হলে পাকিস্তান সরকার পত্রপত্রিকার রিপোর্টকেই ভিত্তি করে এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের নিকট কঠোর ও তীব্র প্রতিবাদ জানায়। পরবর্তী ১০ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে এ পর্যায়ে দেনদরবারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। যদিও ১৯৬১ সালের পর জানা যায় যে, ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এ পর্যায়ে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ভারতের তৎ্কালীন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর কাছে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানান। ফলে বাঁধ নির্মাণ ধীরগতিতে চলতে থাকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ১৯৭৪ সালের মধ্যে ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ সমাপ্ত করে।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৪ সালের মে মাসে নতুন দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে দ্বীপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই সর্বপ্রথম বলা হয় যে, কলকাতা বন্দরের চাহিদা ও বাংলাদেশের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি গঙ্গায় না থাকায় চাহিদা মেটানোর জন্য পানির প্রবাহ বাড়াতে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করছে ভারত। ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিকে ফারাক্কা ফিডার ক্যানেলটির কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কার বাঁধ চালু করার জন্য ভারত বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয়। পরীক্ষামূলক সময়টি হবে ১৯৭৫’এর ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে এই ৪১ দিন। বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে। তারপর আর সেই ৪১ দিন শেষ হয়নি। মরহুম জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় ১৯৭৭ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল এবং ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময় একটি পানি চুক্তি সম্পাদন করেছে।

ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বীপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করলেও সেই সময় মনে হয় আজও অতিবাহিত হয়নি। শুরু হয় বাংলাদেশের দুর্দশা। পানির অভাবে ধীরে ধীরে প্রমত্তা পদ্মা হয়ে ওঠে ধু-ধু বালুচর। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ক্রমান্বয়ে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বাঁধ চালুর আগে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার পানির প্রবাহ থাকত প্রায় ৭৪ হাজার কিউসেক। বাঁধের পর পদ্মার গড়ে বছরে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহ হতো।

জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খানের মতে, ফারাক্কা বাঁধের আগে গঙ্গা হয়ে পদ্মায় গড়ে বছরে যে ৫২৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হতো, ফারাক্কা বাঁধ ও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পানি সরিয়ে নেয়ার ফলে এখন বাংলাদেশে আসে মাত্র ২০৭ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি। বলা যেতে পারে প্রায় ৬০ ভাগেরও বেশি পানি ফারাক্কার মাধ্যমে ভারত সরিয়ে নিচ্ছে। এর কারণে বছরজুড়ে পদ্মা নদী দিয়ে পলি আসে না। আবার বর্ষাকালে যখন পানি একেবারে ছেড়ে দেয় তখন অনেক বেশি পলি পড়ে, সেই পলি সমুদ্র পর্যন্ত যেতে পারে না। এভাবেই পদ্মা ধীরে ধীরে ধু ধু বালুচর এবং বিরানভূমি হয়ে যাচ্ছে, যা মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে।

তখনও বাংলাদেশের কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ ফারাক্কার ভয়াবহতা সম্পর্কে উপলব্ধি করতে না পেরেই ফারাক্কার পক্ষে ওকালতিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছিল। সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। আর সে কারণেই ফারাক্কা বাঁধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ভারত উজানের রাষ্ট্র হিসেবে ভাটির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সৎ্ প্রতিবেশী হিসেবে আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফারাক্কা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ সরকারগুলো টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পক্ষে দেশের স্বার্থবিরোধী ওকালতি করছে। যে সরকার ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না, দেশের জনগণের কল্যাণ ও জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।

ফারাক্কা, টিপাইমুখসহ ভারতের অব্যাহত পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প আছে কি? ভারত মূলত দুটি উদ্দেশ্যে পানি আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। এর একটি হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে পানিকে ব্যবহার করা আর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করা। ভারতের পানি আগ্রাসন রুখতে হলে, পানি অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দেশের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সকল রাজনীতিবিদদেরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের জনগনের ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।

পানি বিষয়ে ভারতের সকল সরকারই সকল সময় আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং আছে। তাদেও কোন আশ্বাসের বাস্তবায়ন বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশী দেখতে পায় নাই গত ৫০বছরেও। ভারতের নিকেট থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হলে প্রয়োজন মওলানা ভাসানীর মতো নেতৃত্ব। মরণবাঁধ ফারাক্কার কারণে আজ বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। নতুন করে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে সিলেটসহ দেশের আরও বৃহত্তর অংশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। ভারতের এই পানি নিয়ে অপরাজনীতি বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে এবং টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে আবারও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিণত হবে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পেলে আমাদের দেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পরতে পারে। প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত মূলত ফারাক্কা ও টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ভারতে নিকট থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির। কারণ এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই অবস্থায় পানির অধিকার আদায়ে দ্বীপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা করতে হবে। দেশের অব্যন্তরে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পানির অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা বুদ্ধিজীবীরা কী ভাবছেন বা বলছেন এটি কোনো বিষয় নয়। জনগণকেই লড়াই চালাতে হবে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটিমাত্র সমঝোতা হতে পারে আর তা হচ্ছে কোনো প্রকারেই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করা যাবে না। এ আন্দোলনে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎ্স হতে পারেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে একটি দেশপ্রেমিক ও ঈমানদার সরকার। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে; কিন্তু ভারতের নিকট থেকে পানি অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

ফারাক্কা কিংবা টিপাইমুখ বাঁধের এই সমস্যা আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামায়াত-বাংলাদেশ ন্যাপ-ইসলামী আন্দোলন-খেলাফত আন্দোলন-খেলাফত মজলিশ-ইসলামী ঐক্যজোট-এলডিপি-মুসলিম লীগ বা অন্যান্য ইসলামী দলগুলো কিংবা গণফোরাম-জাসদ-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-বাসদ-ওয়ার্কার্স পার্টি-কমিউনিস্ট পার্টি বা বামদলগুলোর দলীয় কোনো সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির।

আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ যাতে পানির ন্যায্য হিস্যা পায় সে বিষয়ে জাতীয় সংসদে দল-মত নির্বিশেষে প্রস্তাব গ্রহন করা উচিত। পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ভারত সরকারকে সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার প্রকল্প বন্ধ রাখতে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক এবং চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশকে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পানি বন্টনের অববাহিকা চুক্তি হয়েছে, সেই আলোকে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর বেসিন গুলোর দেশগুলোকে নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে বেসিনভিত্তিক আলাদা আঞ্চলিক পানি কমিশন গঠন করে বাংলাদেশের পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ফারাক্কা ব্যারেজ, তিস্তা ব্যারেজ এবং অন্যান্য বাঁধের মাধ্যমে ভারত পানি সরিয়ে নেয়ার প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের যে ১০০ বিলিয়ন টাকা বছরে ক্ষতি হচ্ছে তা ভারত সরকারের কাছে অতি শিগগিরই দাবি করতে হবে।

অন্যদিকে ভারতের অব্যাহত পানি আগ্রাসনের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করার জন্য পানি আন্দোলনকে আরও বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে হবে। এজন্য দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত প্রত্যেকটি বাংলাদেশীর এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং দাবি করতে হবে নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, বাংলাদেশ বাঁচাও। ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবসে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্সবরণ করি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে।

লেখক: কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

সারাবাংলা/এএসজি

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের পানি আগ্রাসন মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর