Friday 13 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব

সফিউল ইসলাম
১৯ মে ২০২৫ ১৬:৫১ | আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৬:৫৩

ফারাক্কা বাঁধ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত একটি বিতর্কিত কাঠামো, যা বাংলাদেশের ভূখণ্ড এবং পরিবেশের উপর সুদূরপ্রসারী ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি মূলত কলকাতা বন্দরের নাব্যতা রক্ষার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এর নির্মাণ ও জল ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য এক দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্ম দিয়েছে। এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশের কৃষি, অর্থনীতি, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক কাঠামোয় যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘকাল ধরে অনুভূত হচ্ছে। গঙ্গা, যা বাংলাদেশে পদ্মা নামে পরিচিত, এ দেশের অন্যতম প্রধান নদী। এটি শুধু একটি জলধারা নয়, বরং কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার উৎস। এই নদীর পানি সেচ, মৎস্য চাষ, নৌপরিবহন এবং গৃহস্থালীর কাজে অপরিহার্য। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে গঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করত, যা এখানকার ভূমিকে উর্বর রাখত এবং জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করত। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের পর চিত্রটি সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। শুষ্ক মৌসুমে, যখন পানির প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তখন ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যায়। এর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে মরুকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। গঙ্গার পানি হ্রাস পাওয়ায় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জমিতে পর্যাপ্ত সেচের অভাবে ফসল ফলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ধান, পাট এবং অন্যান্য রবি শস্যের ফলন কমে যাওয়ায় কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেক কৃষক তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের ধাক্কা দিচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামালের অভাব দেখা দিচ্ছে, যার ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। গঙ্গার পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ ছিল, যা স্থানীয় জেলেদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস ছিল। কিন্তু ফারাক্কা বাঁধের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে, যা জেলে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রায় চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। অভ্যন্তরীণ জলাশয় এবং উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের অভাব দেখা দেওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ছে। নৌপরিবহন বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ নদীপথে পণ্য পরিবহন এবং যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে গঙ্গার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। কিন্তু ফারাক্কা বাঁধের কারণে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে পরিবহন খরচ বেড়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধ শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, পরিবেশের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে এবং গাছপালা ও প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর। সুন্দরবনের মত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী বনভূমি লবণাক্ততার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। মিঠা পানির অভাবে এখানকার জীববৈচিত্র্য আজ সংকটাপন্ন। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী তাদের আবাসস্থল হারাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের উপরও ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব লক্ষণীয়। বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং লবণাক্ত পানির ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বিশুদ্ধ পানির জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে। আর্সেনিক দূষণের সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে, কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আর্সেনিকের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে সামাজিক অস্থিরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবিকা হারানোর ভয়ে অনেক মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে মাইগ্রেশন হচ্ছে, যা শহরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। ভূমিহীন এবং কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, যা সামাজিক বৈষম্য এবং অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। আন্তর্জাতিক নদী আইন এবং পানি বন্টন নীতি অনুযায়ী, উজানের কোনো দেশ ভাটির দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে একতরফাভাবে নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু ফারাক্কার ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের সাথে কোনো দীর্ঘমেয়াদী ও ন্যায্য পানি বন্টন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময়ে স্বল্পমেয়াদী চুক্তি হলেও, তা বাংলাদেশের পানির চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাস এবং তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা, যার সমাধান সহজে সম্ভব নয়। তবে এর ক্ষতিকর প্রভাব লাঘবের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি ন্যায্য পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করা অপরিহার্য। এছাড়া, বিকল্প জল ব্যবস্থাপনার কৌশল অবলম্বন করা, যেমন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ভূগর্ভস্থ পানির রিচার্জ এবং নদীর নাব্যতা পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির স্বার্থে ফারাক্কা বাঁধের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করা এখন সময়ের দাবি। এই সমস্যা সমাধানে সরকার, বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। তা না হলে, এই বাঁধ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক দীর্ঘস্থায়ী অভিশাপ বয়ে আনবে।

ফারাক্কা বাঁধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকট তৈরি করেছে। এই বাঁধের কারণে সৃষ্ট জল ব্যবস্থাপনার ত্রুটি কেবল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্যা নয়, বরং এটি সমগ্র দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির তীব্র অভাব এবং বর্ষাকালে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি এই দুটি পরস্পরবিরোধী পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। গঙ্গার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের নদ-নদীগুলির স্বাভাবিক জীবনচক্র ব্যাহত হচ্ছে। অনেক ছোট নদী ও খাল শুকিয়ে যাচ্ছে, যা স্থানীয় বাস্তুসংস্থান এবং জীববৈচিত্র্যের উপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করছে। মিঠা পানির অভাব কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালনকেও কঠিন করে তুলেছে। গবাদি পশুর জন্য পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং চারণভূমির সংকোচন গ্রামীণ অর্থনীতিতে আরও একটি নতুন সংকট যোগ করেছে। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনযাত্রাও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মিঠা পানির অভাব এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ উপকূলীয় কৃষিজমিকে অনুর্বর করে তুলছে। চিংড়ি চাষের প্রসারের কারণে লবণাক্ততা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ধান চাষের জন্য অনুপযুক্ত। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক কৃষক তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। লবণাক্ত পানির কারণে সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা জনস্বাস্থ্যকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। একসময় যে নদীগুলি বাণিজ্য এবং যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল, আজ সেগুলো নাব্যতা হারানোর কারণে পরিত্যক্ত নৌপথে পরিণত হয়েছে। এর ফলে পণ্য পরিবহন খরচ বেড়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ব্যাহত হচ্ছে। নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, যা সামাজিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধের একটি উল্লেখযোগ্য বিরূপ প্রভাব হলো মরুকরণের বিস্তার। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মাটি তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারাচ্ছে। এর ফলে উর্বর জমি ধীরে ধীরে বালুময় প্রান্তরে পরিণত হচ্ছে। গাছপালা জন্মাতে পারছে না, এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। মরুকরণের এই প্রক্রিয়া জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বিশুদ্ধ পানির সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে। আর্সেনিক দূষণের সমস্যা আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটির নিচের বিষাক্ত উপাদানগুলি পানির সাথে মিশে যাচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয় দীর্ঘমেয়াদী এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, মাটির উর্বরতা হ্রাস, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং মরুকরণের বিস্তার—এই সবকিছুই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশের জন্য একটি বড় হুমকি। এই পরিবেশগত পরিবর্তনগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। ফারাক্কা বাঁধের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাবের পাশাপাশি এর সামাজিক প্রভাবও কম গুরুতর নয়। জীবিকা হারানোর ভয়ে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন একটি বড় সামাজিক সমস্যা। শহরের সীমিত সম্পদ এবং সুযোগের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে, যার ফলে বস্তি বৃদ্ধি, অপরাধ প্রবণতা এবং সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে। স্থানচ্যুতি মানুষের পুনর্বাসন এবং তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফারাক্কা বাঁধের সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। গঙ্গা একটি আন্তর্জাতিক নদী, এবং এর পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উজানের দেশগুলির দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত। বাংলাদেশের ন্যায্য পানির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ভারতের সাথে দীর্ঘমেয়াদী এবং কার্যকর আলোচনা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নদী আইন এবং পানি বন্টন নীতির আলোকে একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি।

ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণকে বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে, তেমনি অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ জল ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পুকুর ও জলাধার খনন, ভূগর্ভস্থ পানির সঠিক ব্যবহার এবং নদীর নাব্যতা পুনরুদ্ধারের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কৃষি ক্ষেত্রে পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতি এবং বিকল্প ফসলের চাষের উপর জোর দিতে হবে। ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত। এর অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রভাব অত্যন্ত গভীর ও সুদূরপ্রসারী। এই সমস্যার সমাধান সহজ নয়, তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা অপরিহার্য। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। ফারাক্কা বাঁধ শুধু একটি বাঁধ নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য এক জীবন্ত সংকট। এই সংকটের সমাধান কেবল পানি বন্টনের ন্যায্য চুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন সামগ্রিক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই সংকটের কতটা সফলভাবে মোকাবিলা করা যায় তার উপর।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী

সারাবাংলা/এএসজি

ফারাক্কা বাঁধ মুক্তমত সফিউল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর