সামনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে ঈদুল আজহা যাকে কোরবানির ঈদ বা গ্রামে বকরা ঈদ হিসাবে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের মত অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই কোরবানির জন্য গরুকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। পছন্দের তালিকায় গরু শীর্ষে। কোরবানির ঈদের বেশি দিন বাকি নেই। যারা কোরবানি দেবেন তারা পশুর দরদাম নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। অনেকেই গ্রামে গৃহস্থদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু ছাগল দেখছেন। আবার অনেকে যোগাযোগ করছেন খামারে। দেশে এবারো কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে নেই দুশ্চিন্তার ছাপ। বিদেশ থেকে কোনো পশু আনার দরকার নেই বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বরং তারা বলছে, চাহিদার তুলনায় বেশি গরুছাগল আছে দেশে। গৃহস্থ, খামারি ও ব্যাপারিরা এগুলো যন্তে পালন করছেন। এরমধ্যে পশুর হাটের প্রস্তুস্তি শুরু হয়েছে।
কতটুকো সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়?
আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদে মহান আল্লাহতায়ালার সন্তষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট পশু জবেহ করা হয়। ইসলামে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ইবাদত। এই ইবাদত সামার্থ্যবান নর-নারীর ওপর ওয়াজিব। কোরআন ও হাদিস দ্বারা কোরবানি ওয়াজিব হওয়া প্রমাণিত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা: কাউসার, আয়াত: ২) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১২৩) ইসলামের ভাষায় সামর্থ্যবান বলতে বোঝায় যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে। নিসাবের অর্থ, যার কাছে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রুপা আছে, সে-ই নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। একইভাবে যার কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ বা এমন প্রয়োজনাতিরিক্ত জিনিস আছে, যার মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ বা বেশি হয়, সে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
বাজার ব্যবস্থাপনা:
এরমধ্যে পশুর হাটের প্রস্তুস্তিতি শুরু হয়েছে। এবারো আছে বাহারি নামের গরু যেমন গরুমিস্টার বাংলাদেশ, রাজাবাবু, জিদান পালোয়ান, কমান্ডো, বিএল, গোল্ড কয়েন, বুড়োমহিষ- পাঠান ও সুলতান। তবে এখনই দাম হাঁকছেন না পশুর মালিকরা। অচিরেই পশু বিক্রি শুরু হবে বলে মনে করছেন ব্যাপারীরা। তবে গো-খাদ্যের বাড়তি দামের জন্য গত কয়েক বছরের মতো এবারো কোরবানির পশুর দাম বাড়তি হতে পারে বলে মনে করছেন খামারিরা। ঢাকায় ১৫টি অস্থয়ী এবং দুটি স্থয়ী হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। শেষ মুহূর্তে শাজাহানপুর ও কমলাপুরে দুটি অস্থায়ী হাট বাড়তে পারে। ঢাকার বাইরে প্রতিটি উপজেলায় আছে পশুর হাট। রাজধানীতে এখনো পশুর হাট না বসলেও অনলাইনে শুরু হয়ে গেছে কেনাবেচা। ক্রেতাদের পছন্দের পশু বাছাইয়ের সুবিধার্থে দেশি-বিদেশি প্রজাতির নানা ধরনের গরু-ছাগলের সমারোহে মুখরিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইউটিউব ও ফেসবুকে বিশাল আকৃতির লাখ লাখ টাকা দামের মোটা-তাজা গরুর ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে লাখ-লাখ ভিউ। সাধারণত, বড় বড় পশু সংগ্রহেই আগ্রহ দেখা যায় অধিকাংশ ক্রেতার।
কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর মতেএ বছর কোরবানিযোগ্য সর্বমোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এবার হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতি রয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের কোরবানির ঈদে জবাই করা হয়েছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু। এর মধ্যে ছিল ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯ ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩টি অন্যান্য পশু (উট, হরিণ ইত্যাদি)। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কোরবানিকৃত পশুর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি বা ৩.৬৬ শতাংশ বেশি। দেশের সবচেয়ে পরিচিত পশুর ফার্ম রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক এগ্রো ফার্মএর ম্যানেজার বলেছেন তাদের সংগ্রহে ১,৮০০ গরুআছে। বিদেশি ব্রাহামা জাতের গরু সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা এবং দেশি গরু সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি এই গরুর ওজন ১ হাজার কেজির বেশি, উচ্চচতা ৭১ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য সাড়ে ৭ ফুট। তিনি বলেন, এবার সাদেক এগ্রোর আকর্ষণ জিদান, পালোয়ান, কমান্ডো, বিএল, গোল্ড কয়েন ও মিস্টার বাংলাদেশ। এর মধ্যে গোল্ড কয়েন ১৫ লাখ এবং মিস্টার বাংলাদেশ ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে। জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহে ২ লাখ ৪ হাজার ৯২৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৬০ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২৪ সালে কোরবানিতে জবাই হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৭টি পশু। সেই হিসাবে এ বছরও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার অতিরিক্ত ৫০ হাজার ৩১১টি কোরবানিযোগ্য পশুপালন করা হয়েছে। তা হয়েছে খামার ও পারিবারিকভাবে এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে। নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায়ও গরুপাঠানো হবে। এবার জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৯টি। আর কোরবানির জন্য মোট পশু প্র¯ রয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯০টি। এর মধ্যে গরু ৯৬ হাজার ৫৪৩টি, ছাগল ৭০ হাজার ৩১৯টি, ভেড়া ৯ হাজার ৫৮৭টি ও মহিষ রয়েছে ২৪১টি। অতিরিক্ত রয়েছে ৫০ হাজার ৩১১টি পশু। জেলার ৫ উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১২ হাজার ১৫৯ জন।
ঈদুল আজহার বানিজ্য ও অর্থনীতি:
দেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও একটি বিশাল জায়গা দখল করে আছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের এ উৎসবের উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক না হলেও অর্থনীতিতে এর ভূমিকা অনেক। কোরবানি উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী যে লেনদেন হয়, অর্থনীতিতে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সঠিক পরিকল্পনা ও হিসাব না রাখার কারণে এ লেনদেন থেকে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। ধারণা করা হয়, কোরবানি কেবল গবাদিপশুর বেচাকেনার অর্থনীতি। প্রকৃতপক্ষে কোরবানি হলো বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক তৎপরতা, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির চাকায় আরও গতি সঞ্চার করে। এই ঈদে একদিকে যেমন গবাদিপশু ক্রয় করেন কোরবানিদাতারা, তেমনি অন্যদিকে খামারি বা প্রান্তিক কৃষকরা গবাদিপশু বিক্রি করে তাদের প্রয়োজনীয় সওদা করেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় মসলার বিরাট বাজার, কোরবানির পশুর খাবার, জবাই করার ছুরি-চাকো, মাংস কাটার সরঞ্জামাদি, কোরবানির পশুর মাংস কাটা ও বণ্টনের জন্য কর্মীদের আয়-রোজগার, কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়। এসব মিলিয়ে চলে এক বিরাট অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ, সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতির প্রভাব। কাজেই দেশের অর্থনীতিতে কোরবানির অবদান অনস্বীকার্য। এ মহা কর্মযজ্ঞকে কেন্দ্র করে লাখো-কোটি মানুষের অস্থায়ী কর্মসংস্থান এবং আয়-রোজগারের ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে দেশের জিডিপিও সমৃদ্ধ হয়। ২০২৪ সালে শুধু কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় উপলক্ষ্যে লেনদেন হয় ৬৯ হাজার ১৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা, যার সিংহভাগই যুক্ত হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। এছাড়া গত বছর অনলাইন প্ল্যাটফরমে ৪ হাজার ৭৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের ৫.০৫ লাখ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে, প্রতিটি গরু-মহিষ, দুম্বা, ছাগল ও উটের জন্য বিক্রয়মূল্যের ৫ শতাংশ হারে রাজস্ব দিতে হয়। এবার শুধু ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ থেকেই সরকারের রাজস্ব পাওয়ার কথা প্রায় ৩০ কোটি টাকা। অন্য পশু মিলিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা। এছাড়া এ বছর কোরবানি হওয়া ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষের প্রতিটি চামড়ার মূল্য গড়ে ১ হাজার টাকা ধরলে এর মূল্য হয় প্রায় ৫৬১ কোটি টাকা। আবার ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়ার প্রতিটির চামড়ার মূল্য ১০০ টাকা ধরলেও এ বাবদ হয় ৬৮.৫০ কোটি টাকা। কোরবানি উপলক্ষ্যে গরু ও ছাগলের চামড়া মিলিয়ে এই পুরো টাকা যাচ্ছে সরাসরি গরিবদের হাতে।অন্যদিকে প্রতিবছর ঈদুল আজহায় বছরে উৎপাদিত মোট চামড়ার প্রায় ৬০ শতাংশ সংগৃহীত হয়। চামড়াশিল্প দেশের প্রধান রপ্তানি খাতগুলোর অন্যতম। আয়ের দিক থেকে দেশে তৈরি পোশাক খাতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হলো চামড়া। শিল্প আয়ে এ খাতের অবদান ২ শতাংশ আর রপ্তানির ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। দেশীয় জিডিপিতে চামড়াশিল্পের অবদান প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এ বৎসর সরকার প্রতি বর্গফুট লবনযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দাম ২২ টাকা থেকে ২৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ঈদের পর অন্তত ১৫ দিন পর্যন্ত কাঁচা চামড়া স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ, হাট বাজার ব্যবস্থাপনাসহ তিন মাসের জন্য কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় দশ দিনের আগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না কোরবানির ঈদে সুষ্ঠু চামড়া ব্যবস্থাপনা ও পশু পরিবহনে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের হেল্প লাইন নম্বর ৯৯৯ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও বিশেষ কন্ট্রোল সেল গঠন করা হবে।
সাহিত্য ও ধর্মের দৃষ্টিতে বলা যায়, সর্বপ্রথম আমাদের কোরবানি হওয়া উচিত অহংকার, লোভ, হিংসা ও অপবিত্র চিন্তার। মহান আল্লাহ বলেন, “তোমাদের কোরবানির মাংস বা রক্ত তাঁর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া।” এই তাকওয়ার আলোয় হৃদয় প্রজ্বলিত হোক। প্রতিবেশীর ক্ষুধা, আত্মীয়ের দুঃখ, সমাজের নিপীড়িত মানুষের কান্না-এসব আমাদের কোরবানির পূর্ণতা নির্ধারণ করে। আমরা যারা কলম চালাই, যারা সমাজের কথা তুলে ধরি, তাদের কোরবানিও কম নয়। সত্য বলার সাহস, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম চালানো, নিপীড়িতের পাশে দাঁড়ানো-এই সবই ঈদুল আজহার অন্তর্নিহিত শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ। এই ঈদে, আমরা যেন শুধু মাত্র পশু নয়, বরং আমাদের অন্তরের পশুত্বও বিসর্জন দেই। হিংসার বদলে দেই ভালোবাসা, বিদ্বেষের বদলে মানবতা, আত্মপ্রবঞ্চনার বদলে আত্মসচেতনতা। তবেই কোরবানির রক্ত আমাদের রক্তে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটাবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলি একটি নির্মল, উদার ও সহমর্মিতাপূর্ণ সমাজ-এই হোক আমাদের কোরবানির আসল ফসল।
লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক ডিন, সিটি ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা ও সাবেক জ্যাষ্ট সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবীদ সমিতি, ঢাকা