Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পর্দার আড়ালে থেকেই যায় বিরুদ্ধ শক্তিরা


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৯

আমার লেখার পাঠকের মধ্যে যেমন আমার পরিচিতজন ও অপরিচিতজনও আছেন, তেমনি আমার খুব কাছের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরাও আছেন। অপরিচিতজন পাঠকের কাছ থেকে আমার লেখার কোনো প্রতিক্রিয়া না পেলেও, আমার পরিচিতজন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া মাঝে মধ্যে আমার কানে আসে। কিংবা ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে বন্ধুরা যেসব কথাবার্তা বলেন, তা আমার নজরে আসে। আমার বন্ধুবান্ধবদের ধারণা, আমার লেখায় অনেক সময় সমাজের নেতিবাচক দিকগুলো আসে না। আবার আরেক দল বন্ধুবান্ধবরা মনে করেন, আমার লেখার মধ্যে বিভিন্ন অনাচারের কথাগুলো এমন ভাবে আসে, যেন আমাদের সমাজের চারপাশে ভালো কোনো কিছু ঘটে না কিংবা ঘটেনি। আমি আমার লেখায় সকল সময় সমাজের অনিয়মগুলোর চিত্র আমার ক্ষমতা বলে যতটুকু পারি, তা তুলে ধরার চেষ্টা করি। তাতে যদি কারো মন খারাপ হয়ে যায় কিংবা কারো মন আনন্দে দিশেহারা হয়, তাতে নিশ্চয়ই আমার মতো নগণ্য একজন লেখকের কোনো দোষ কিংবা দায় থাকতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

পাঠকরা নিশ্চয়ই জানেন, আজ আমরা কোন অবস্থার মধ্যে বসবাস করছি । আজ একদিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, একশ্রেণির মাথামোটা রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, আমরা যেন মেধাহীন কিংবা জ্ঞানপাপীদের করতলগত হয়ে বসবাস করছি। অন্যদিকে ধর্ষকদের উলঙ্গ নৃত্য দেখে কেন জানি বলতে ইচ্ছে করে, ধর্ষকরা আমাদের সব ভালো বিষয়-আশয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের রাজত্ব কায়েম করার জন্য বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠছে । আবার মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম দেখে মনে হয়, পর্দার অন্তরাল থেকে একটা বিরুদ্ধ শক্তি বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য ধর্ষণের উৎসব কিংবা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিরোধী রাজনীতিবিদরা এসব ব্যাপারে তেমন জোরালোভাবে কোনো কিছু বলেন না। তাদের টার্গেট একটাই, আর তা হলো বর্তমান সরকারকে যেনতেনভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানুষের অধিকারের কথা বলেন কিংবা মানুষের ভালো থাকার ব্যাপারে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা এ কথা বুঝেন না গণতন্ত্র কখনো ধর্ষকদের ধর্ষণ কর্ম থেকে বিরত রাখতে পারে না। আবার গণতন্ত্র মাদক ব্যবসায়ীদেরকে তাদের মাদক ব্যবসা থেকে হটাতে পারে না। অনেক মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়। যা সংখ্যায় ২৫০ থেকে তারও অধিক হবে। মাদক ব্যবসায়ীরা বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে ঠিকই, তাই বলে কি মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়েছে? অনেকেই মনে করে থাকেন মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়নি, বরং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেনসিডিল, ইয়াবা ঠিকই রাষ্ট্রের সীমান্ত পার হয়ে আমাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। সেখানে গণতন্ত্র আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের মাদকের নীল ছোঁবল থেকে রক্ষা করতে পারছে না।

বিজ্ঞাপন

আমার লেখা পড়ে অনেকেই ভাবতে পারেন আমি কি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী নই কিংবা আমি কি স্বৈরতন্ত্রের পক্ষপাতী। এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, আর কথাটি হলো, কোনো মত কিংবা বিষয়ের চর্চা করতে গেলে প্রথমই যে কাজটা করতে হয়, তা হলো যে বিষয় কিংবা মত নিয়ে চর্চা করা হবে, তাকে গ্রহণ করার যোগ্যতাও আগে অর্জন করতে হবে। মূলত আমরা, বলতে গেলে বলতে হয়, আমাদের মধ্যে যারা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে চলাফেরা করেন, তারা মনে করেন গণতন্ত্র হলো সেই পদ্ধতি, যে পদ্ধতির মাধ্যমে যেমন ইচ্ছা চলাফেরা করা যায় কিংবা অন্যের ক্ষতি করে যা ইচ্ছে করা যায়। আমাদের একশ্রেণির বিরোধী রাজনীতিবিদরা আছেন, যারা মনে করেন রাষ্ট্রের সকল সমস্যা কোনো সমস্যা নয়। একমাত্র সমস্যা হচ্ছে যে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাটা। আজ এই যে দেশের মধ্যে দুর্বৃত্তরা দেশের উন্নয়ন কাজকে নষ্টামির মাধ্যমে কলঙ্কিত করছে , তা নিয়ে কারো যেন মাথা ব্যথা নেই। তারা কেবল কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, সেই রাজনীতিতেই ব্যস্ত আছেন। যে গণতন্ত্র মানুষের মুখে খাবার দিতে পারে না কিংবা যে গণতন্ত্র মানুষকে ঘর-দরজা দিতে পারে না, সেই গণতন্ত্রের চর্চা করে আমাদের কী লাভ।

বর্তমান সরকার উত্তরবঙ্গের মতো জায়গায় গরীব শীতার্ত মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। যেখানে আমরা ছোট বেলায় শুনতাম যে, উত্তরবঙ্গের মতো জায়গায় কার্তিক মাস থেকেই নীরব দুর্ভিক্ষ চলে। আজ সেই উত্তরবঙ্গে নীরব দুর্ভিক্ষ বলতে কিছু নেই। সেখানে এখন সবার মুখে খাবার আছে। এই যে উত্তরবঙ্গের দরিদ্র মানুষের মুখে আজ খাবার জুটছে, তা হচ্ছে বর্তমান সরকার প্রধানের আন্তরিকতার ফল। উত্তরবঙ্গে কার্তিক মাস হতে যে নীরব দুর্ভিক্ষ দেখা দিত, তা এখন অতীতের গল্প। সেখানকার বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাদের মুরুব্বীরা দুঃখের কথা বলতে গিয়ে, তা গল্প হিসেবে বলে থাকেন।

তাই বলছিলাম, বিরুদ্ধবাদী নেতাদের উচিত হবে এমন সব কথা না বলা, যেসব কথা বলার জন্য জনগণের ক্ষতি হয়ে থাকে। দেশের মানুষ তাদেরকে তাদের কথাবার্তার জন্য হাসির পাত্র মনে করতে পারে। রাষ্ট্র বিজ্ঞানীর ভাষায় রাজা যেখানে ভালো হয়, তাহলে যেমন সেখানে আইনের প্রয়োজন হয় না। তেমনি করে রাজা যদি খারাপ হয় সেখানেও আইনের প্রয়োজন হয় না। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন করার জন্য যেমন ভাবে জনগণকে ঘরবাড়ি বানিয়ে দিচ্ছেন, তা বর্তমান সরকারের আন্তরিকতারই ফল। তা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। শুধু আমাদের নেতিবাচক নেতারা জানেন না।

বিজ্ঞাপন

বরবাদের আইটেম গানে নুসরাত
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬

কলকাতায় অভিষেক হচ্ছে অপূর্ব’র
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৮

আরো

সম্পর্কিত খবর