Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গৌরবের পতাকা এগিয়ে চলার শক্তি


১ মার্চ ২০২১ ২২:২৩

কোনো জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় জাতীয় পতাকা। ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ জনপদ বাংলাদেশেরও রয়েছে সার্বভৌমত্বের ধারক, লাল-সবুজের সমুজ্জ্বল পতাকা। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লক্ষ শহিদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতীক হিসেবে নীল আকাশে অবিরাম উড়ে চলেছে জাতীয় পতাকা। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ যা প্রথম উত্তোলিত হয় দেশাত্মবোধের বাহক হিসেবে, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

গৌরবোজ্জ্বল সেই ইতিহাস; পতাকা মুক্তি ও স্বাধীনতার সর্বোচ্চ অহংকার। ২ মার্চ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন দিবস । ১৯৭১ সালের এইদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আব্দুর রব। এর আগে ১ মার্চ ছাত্ররা গঠন করে ‘স্বাধীনবাংলা সংগ্রাম পরিষদ’। যার সদস্য ছিলেন আ স মা আব্দুর রব ছাড়াও রুহুল কুদ্দুস মাখন, শাহজাহান সিরাজ।

বিজ্ঞাপন

সকাল ১১ টায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সারারাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইকবাল হলের (বর্তমান শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ১০৬ নম্বর রুমে পতাকার ডিজাইন করেন শিবনারায়ণ দাস, যিনি তৎকালীন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও পাক সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে ২ মার্চের পতাকা উত্তোলন ছিল অভূতপূর্ব এক অর্জন। যা বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনকে ত্বরান্বিত এবং স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

পতাকা দেশাত্মবোধের, জাতীয়তা বোধের অর্জিত চিহ্ন, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যা বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছে। তাই পতাকা অহংকার, বাঙালিত্বের প্রতীক নিঃসন্দেহে। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমরা কথাগুলো বলার স্বার্থেই বলি। স্বাধীন দেশে পতাকা খামচে ধরা শকুনদের ষড়যন্ত্র বা উপস্থিতি অন্তত সেটি প্রমাণ করে। স্বাধীনতা অর্জিত হলে ও থেমে নেই তাদের লালসাময় কর্মকাণ্ড। ৭৫-এ জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের নীল-নকশার সূচনা। লজ্জাজনক হলেও সত্যি দেশের সপক্ষে থাকা অনেক সুযোগসন্ধানী প্রভাব প্রতিপত্তি কিংবা ক্ষমতার লোভে হাত মিলিয়েছে তাদের সঙ্গে। জাতির পিতার হত্যাকারীদের করেছে পুরস্কৃত, ইনডেমনিটির মতো কালো আইন দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পবিত্র সংবিধানকে। ধ্বংস করেছে বাঙালি সংস্কৃতিকে, নির্বিচারে হত্যা করেছে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যুদ্ধাপরাধীদের সুকৌশলে করা হয়েছে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। নিজ অস্তিত্ব রক্ষার্থে দেশের কোটি জনতাকে রক্ষাকারী সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড করেছে ধ্বংস। গোলাম আজমের মতো দেশদ্রোহীদের দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্মান, গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে লাখো শহিদের কষ্টার্জিত পতাকা। ঠিক সেখানেই এক প্রকার বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে জাতীয় পতাকা তথা জাতির সঙ্গে। আখের গোছানোর সংস্কৃতি আর প্রতিহিংসামূলক বিচার কাঠামো নানা লড়াইয়ের আড়ালে প্রতিনিয়ত ছিঁড়ে খাচ্ছে জাতির পতাকাকে।

প্রকৃতপক্ষে, ভাঙা কিংবা গড়ার মাধ্যমেই এগোতে হয় প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে। দুর্ভাগ্যক্রমে, বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছিল অস্বাভাবিকতায় আলোশূন্য অন্ধকার ঘরের মতো। তাইতো, সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেনের কণ্ঠ রূপ নেয় বাস্তবের মাটিতে, কী শোনার কথা ছিল, কী শুনছি, কী দেখার কথা ছিল, কী দেখছি, কী ভাবার কথা ছিল, কী ভাবছি!

বিজ্ঞাপন

বরবাদের আইটেম গানে নুসরাত
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬

কলকাতায় অভিষেক হচ্ছে অপূর্ব’র
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৮

আরো

সম্পর্কিত খবর