Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জামাল নজরুল ইসলামকে কি মনে রেখেছে তার দেশ?

ইমরান ইমন
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৬

বাঙালি বিশ্ববিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশ্বতত্ত্ববিদ। বিশ্বদরবারে লাল-সবুজের বাংলাদেশকে যারা স্বমহিমায় তুলে ধরেছেন তাদের মধ্যে জামাল নজরুল ইসলাম একজন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাকে চেনেন না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। আজ তার ৮৫তম জন্মবার্ষিকী।

জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থান ঝিনাইদহ হলেও তার শিকড় চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। চাকরিসূত্রে বাবা ঝিনাইদহ থাকতেন, সেখানেই জন্ম তার। বংশগত দিক থেকে ছিলেন অভিজাত পরিবারের সন্তান। তৎকালে ঢাকার নবাব বাড়ির পাশাপাশি যোগাযোগ ছিল জর্ডানের বাদশার পরিবারের সাথে। তাদের কলকাতার বাসায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের যাতায়াত ছিল। কবির নামের সাথে মিল রেখেই বাবা-মা তার নাম রেখেছিলেন ‘জামাল নজরুল ইসলাম’।

বাবা মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার সাব-জজ। মা রাহাত আরা বেগম একজন সাহিত্য অনুরাগী লেখিকা। গানও গাইতেন বেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকটি উর্দুতে অনুবাদ করে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন তিনি।

শৈশবে কলকাতার একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন তিনি। সেখান থেকে চলে আসেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তির সময় তার মেধা দেখে অভিভূত হন প্রধান শিক্ষক। মেধায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ডাবল প্রমোশন দিয়ে তুলে দেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে। এখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে চলে যান পাকিস্তানের লরেন্স কলেজে। সেখান থেকে এ লেভেল, ও লেভেল সম্পন্ন করে ভর্তি হন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি সম্পন্ন করে চলে যান লন্ডনের বিশ্ববিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে ‘এপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স এন্ড থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স’ এর উপর পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি দুইবার বিএসসি করে ফেলেন (লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজে দ্বিতীয়বার বিএসসি করেছিলেন)। ছোটবেলায় যেমন ডাবল প্রমোশন পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিলেন, তেমনি পোস্ট ডক্টরাল করার সময়ও ডাবল প্রমোশন পেয়েছিলেন।

বিজ্ঞানে উচ্চমানের দক্ষতা বা খুব বড় ধরনের অবদান থাকলে ডক্টর অব সায়েন্স (ডিএসসি) প্রদান করা হয়। এ ধরনের ব্যক্তিরা হলেন শিক্ষকদের শিক্ষক, সেরাদের সেরা। জামাল নজরুল ইসলামও ১৯৮২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ (ডিএসসি) ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

পারিবারিকভাবে জামাল নজরুল ইসলামরা ছিলেন সমৃদ্ধ এক পরিবার। জামাল নজরুল ইসলামের মা রাহাত আরা ছিলেন উর্দু ভাষার গুণী কবি। তার মামা ছিলেন বিখ্যাত রবীন্দ্র গবেষক আবু সয়ীদ আইয়ুব (যিনি রবীন্দ্রনাথের প্রেমে পড়ে বাংলা ভাষাকে বেশ রপ্ত করেছিলেন আর বাংলা ভাষায় লিখেছিলেন কয়েকটি অসাধারণ বই)। তার নানা ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের প্রথম মুসলিম অধ্যক্ষ শামসুল ওলামা কামালউদ্দিন। বোন সুলতানা জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজে অগ্রদূত। ভগ্নিপতি কর্নেল নুরুজ্জামান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার। আর ফুফাতো ভাই ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।

তিনি এতোই প্রতিভাবান ছিলেন যে, বিশ্বদরবারে বিজ্ঞানী মহলে জে.এন. (জামাল নজরুল) ইসলাম ‘জিনিয়াস ইসলাম’ নামে পরিচিত ছিলেন। আমাদের জামাল নজরুল ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, ‘জেএন ইসলাম আমার রুমমেট, বন্ধু এবং আমরা ছিলাম পরস্পর পরস্পরের শিক্ষক। জামাল নজরুল ইসলাম সেরা। আমি তার কাছে কিছুই না (He is only greatest! I am nobody to reach his Highness)’।

প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো- ‘কৃষ্ণবিবর’, ‘মাতৃভাষা ও বিজ্ঞান চর্চা’, ‘অন্যান্য প্রবন্ধ’, ‘শিল্প সাহিত্য ও সমাজ’। ‘দ্য আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স’ই তার শ্রেষ্ঠ বই, যা ১৯৮৩ সালে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সারা বিশ্বের কসমোলজিস্টদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। অল্প সময়ে বইটি বিশ্বের (১০০-এর অধিক) বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়। পরের বছর ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকেই প্রকাশিত হয় ‘ক্লাসিক্যাল জেনারেল রিলেটিভিটি’। তার গবেষণা আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় বিরাট অবদান রেখেছে। তিনি এই ধারায় গবেষণা অব্যাহত রেখে পরবর্তীকালে লেখেন ‘ফার ফিউচার অব দ্য ইউনিভার্স বা মহাবিশ্বের দূরবর্তী ভবিষ্যৎ’। জেএন ইসলামের ‘দ্য আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স’ লেখা হয়েছে ১৯৮৩ সালে, আর হকিংয়ের ‘অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ লেখা হয়েছে ১৯৮৮ সালে। দুটি গ্রন্থ তুলনা করলে নিঃসন্দেহে জেএন ইসলামের বইটি শ্রেষ্ঠতর বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, হকিংয়ের বই যেভাবে আলোচিত হয়েছে, সেভাবে আলোচিত হয়নি জেএন ইসলামের সে বইটি। যেখানে খোদ হকিং জেএন ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছেন।

২০০১ সালে যখন পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার একটা গুজব ওঠেছিল, তখন জামাল নজরুল ইসলাম অংক কষে বলেছিলেন পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছুটে চলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ কখনও এক সরলরেখায় এলে পৃথিবীর ওপর তার প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এবং সে গবেষণায় জেএন ইসলাম বলেছিলেন, সে রকম ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন দেশপ্রেমর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নিজের আয় থেকে অর্থ জমিয়ে দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকহানাদার বাহিনীর অত্যাচার বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডের লাখ টাকা বেতনের চাকরি এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে মাত্র ২৮ শত টাকা বেতনের চাকরি নিয়ে তিনি চলে আসেন জন্মভূমি বাংলাদেশে। যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
গণিত বিভাগে। এখানে এক বছর অধ্যাপনা করার পর গবেষণার কাজে এবং পারিবারিক প্রয়োজনে আবার লন্ডনে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় জেএন ইসলামের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণার জন্য বাইরে গেলে কর্তৃপক্ষ ছুটি প্রদান করে এবং ফিরে আসা পর্যন্ত চাকরি বলবৎ থাকে। এর জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দিচ্ছিল না। উপায় না দেখে চাকরি ছেড়ে চলে যান তিনি। দুই বছরে সেখানে গবেষণা সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮৪ সালে লন্ডনের বাড়িঘর বিক্রি করে স্থায়ীভাবে পরিবার নিয়ে দেশে চলে আসেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বেতন বাড়িয়ে তিন হাজার টাকায় উন্নীত করে আর মাঝখানের সময়টিকে শিক্ষা ছুটি হিসেবে গ্রহণ করে।

দেশে থাকা প্রসঙ্গে এক জায়গায় জেএন ইসলাম লিখেছেন, ‘স্থায়ীভাবে বিদেশে থাকার চিন্তা আমার কখনোই ছিল না। দেশে ফিরে আসার চিন্তাটা প্রথম থেকেই আমার মধ্যে ছিল, এর ভিন্নতা ঘটেনি কখনোই। আরেকটা দিক হলো বিদেশে আপনি যতই ভালো থাকুন না কেন, নিজের দেশে নিজের মানুষের মধ্যে আপনার যে গ্রহণযোগ্যতা এবং অবস্থা সেটা বিদেশে কখনোই সম্ভব ছিল না।’

দেশের মাটিতে জামাল নজরুল ইসলামের মতো মানুষকে ভোগান্তি ও অবমূল্যায়নের শিকার হতে হয়েছে। পরিস্থিতি কেমন নেতিবাচক ও বিব্রতকর ছিল, সে সম্পর্কে একটু ধারণা পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদার্থবিজ্ঞানী এ এম হারুন অর রশিদের একটি লেখায়। ২০১৩ সালে জামাল নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তাকে স্মরণ করে ‘কালি ও কলম’ সাহিত্য ম্যাগাজিনে সে সংখ্যায় তিনি উল্লেখ করেছেন, “জামালের সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠতা হয় ১৯৮৪ সালে, যখন তিনি কেমব্রিজ থেকে চট্টগ্রামে চলে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। একদিন তিনি টেলিফোনে আমাকে লন্ডন থেকে জানালেন যে, তিনি বাংলাদেশে চলে আসতে চান। আমি বলেছিলাম, এটা নিশ্চয়ই খুব ভালো সিদ্ধান্ত। তবে তিনি যদি তার দরখাস্তটি অবিলম্বে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন, তাহলে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিতে পারি। তারপর তিনি যা বলেছিলেন তা আমি শুনতে মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। তিনি বললেন, তিনি ঢাকায় যাবেন না, তিনি চট্টগ্রামে যাবেন। কেননা সেখানে রয়েছে তার পৈতৃক বাসভবন। আমি তাকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম যে, মনে হয় না চট্টগ্রামে তিনি খুব ভালো ছাত্র পাবেন এবং হয়তো সেখানে তার গবেষণাকর্ম ব্যাহতই হবে। কিন্তু তিনি সে কথা মোটেই কানে তুললেন না। তার কথা ছিল একটাই, আমি যেন তার দরখাস্তটি নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে অবিলম্বে দেখা করি। আমি তাই করেছিলাম। এক সকালে ট্রেনে চট্টগ্রামের টিকিট কিনে চট্টগ্রাম পৌঁছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাকে বলেছিলাম, জামাল নজরুল ইসলাম এ দেশের সম্পদ, তাকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা আপনাদেরই সৌভাগ্য। উপাচার্য করিম সাহেব আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, জামাল নজরুল ইসলামের জন্য একটি অধ্যাপক পদ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অবিলম্বে সৃষ্টি করে তাকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।”

অধ্যাপক এ এম হারুন অর রশিদ আরও লিখেছিলেন, “দুঃখের বিষয়, ঢাকায় ফিরে এসে কয়েকদিন পরে খবর পেলাম যে, কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পদ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। তাই কিছুদিন পরে গণিত বিভাগেই একটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তাও আমি দ্বিতীয়বার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করার পর। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং অকুণ্ঠ সহযোগিতায় অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে সমর্থ হয়েছিলেন।”

আজ বাঙালি বিশ্ববিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের জন্মদিন। যে দেশকে ভালোবাসে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে বিদেশের বিলাসবহুল জীবন ও সম্মান ছেড়ে তিনি দেশে চলে এসেছেন, সে দেশ ও দেশের মানুষ তাকে কি মনে রেখেছে, করেছে কি স্মরণ?

বর্তমান প্রজন্ম কি জেএন ইসলামকে চেনে? তাকে নিয়ে কোনো আয়োজন নেই দেশের মিডিয়া পাড়ায়, তার জগদ্বিখ্যাত গবেষণা নিয়ে আলোচনা নেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, তার বিশ্ববিখ্যাত বইগুলো পাওয়া যায় না এদেশের লাইব্রেরিতে। এমনকি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়িয়েছেন সে বিশ্ববিদ্যালয় কি তাকে মনে রেখেছে, করেছে কি স্মরণ? আমাদের একেক করে সব নষ্টদের দখলে চলে গেল! আমাদের এখানে গুণীদের কদর নেই, অযোগ্য আর নষ্টদের দৌরাত্ম্য বেশি—আর এদেরই মূল্যায়ন। এজন্যই ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেদেশে গুণী জন্মাতে পারে না’।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

ইমরান ইমন জামাল নজরুল ইসলামকে কি মনে রেখেছে তার দেশ? মুক্তমত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর