খরতাপ এবং একজন হিট অফিসারের বাল্যশিক্ষা
২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৫
প্রচন্ড খরতাপে জনজীবন অতীষ্ঠ। শুয়ে শান্তি নেই, বসে শান্তি নেই। দাঁড়িয়েও স্বস্তি নেই। ঘরের ভেতরে গরম, বাইরে দাবদাহ। ঘরে গিন্নী অগ্নিশর্মা। বাইরে বাজারে আগুন। ব্যাংকে টাকা গায়েবের হলিখেলা। সেখান থেকে পোড়া ছাইয়ের সতাপ পোড়া গন্ধ বেরুচ্ছে। অফিসে বসের মেজাজ ফোর ফোরটি। কোথাও গাছ নেই। তাই ছায়া নেই। যদিওবা আছে তাও ন্যাড়া, অতিশয় কৃষকায়। যাদের এসি আছে তারা ভাগ্যবান। আর সিলিং ফ্যান যাদের সম্বল তাদের মরণ ধুকে ধুকে। বিদ্যুৎ বিলের চোখ রাঙ্গানী তো আছেই। তার উপর আছে থেকে থেকে দমকা হাওয়ার স্প্রে। শান্তি নেই, স্বস্তি নেই কোথাও। আর যাদের এসি, ফ্যান নেই তারা তাল পাতার সেপাইকে দাবড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি নিচ্ছে। যাদের এসবের কিছু নেই তাদের কোন উপায় নেই। তাই চিন্তাও নেই। গরম তাদের কাছে চরম পাওয়া আর দারিদ্র্য ভাগ্যের লিখন। ব্রিটিশ আমলে এবং এর পরেও এদেশে অফিসে ও স্কুল-কলেজে সিলিং ফ্যানের জায়গায় পাটির তৈরি আয়তকার পাখা টানিয়ে তার মাঝ বরাবর রশি টেনে উদোম গায়ে একজন অনতিদূরে বসে টানাটানি করত। তাতে হাওয়া তৈরি হত আর নিচে থাকা মানুষরা শীতল পরশ পেত। প্রথা হিসেবে সেটা মন্দ ছিল না। কিন্তু ফ্যানের আবিষ্কার ও লোকালয়ে বিদ্যুতের অনুপ্রবেশের কারণে অমানবিক বলে বিবেচিত এই প্রথা একসময় উঠে যায়। বাসা-বাড়ী বা অফিস-আদালতে তা আবার পুন:প্রবর্তন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার।
কথা যখন উঠলোই তখন কাজের কথায় আসি। গত বছর হঠাৎ একদিন খবরের কাগজ জুড়ে এক সুশ্রী তরুণীর ছবি সমেত রিপোর্ট ছাপা হলো। পাবলিক হুমড়ি খেয়ে পড়লো। কে এই রহস্যময়ী রূপবতী? জানা গেলো তিনি আমাদের সদ্য নিয়োগ পাওয়া চীফ হিট অফিসার। চারিদিকে গপসপ শুরু হয়ে গেলো। সাথে তত্ত্ব-তালাশও হলো প্রচুর। জানা গেলো তিনি নগরের গরম কমাবেন বা কমানোতে বুদ্ধি-পরামর্শ প্রদান করবেন। চারিদিকে ধন্য ধন্য রব পড়ে গেলো। সবার মুখে এক রা, কে এই নারী? কি তার পরিচয়? নিন্দুকেরা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করলো। তিনি আমাদের ঢাকা উত্তরের নগর পিতার কন্যা। তারা ঝাঁপিয়ে পড়লো গেলো গেলো বলে। কেউ কেউ স্বজনপ্রীতির শীতল পরশ অনুমান করে নিলো। কন্যার পিতা ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন অফিসিয়ালি জানালো ‘ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না’ জাতীয় কথা। আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হলো এটি কর্পোরেশনের কোন প্রকল্প না। এতে সরকারের কোন রাজস্ব বিয়োগ-সংশ্লেষ নেই। বরং এটি বিদেশি প্রকল্পাধীন। তাই কোন স্বজনপ্রীতি হয়নি। যিনি নিয়োগ পেয়েছেন তিনি যোগ্য হিসেবেই পেয়েছেন। এতে লাভ বই ক্ষতির লেশ মাত্র নেই। দেশে ডলার ইনফ্লো হবে প্রচুর। পাবলিকের সন্দেহ কোনক্রমেই দূর হয় না। তাদের প্রশ্ন বিদেশিরা তারে চিনিলো কেমনে? সে যা-ই হোক, নেট জগতে এই তরুণী ভাইরাল হতে সময় নেয় নি। ভাইরাল হতে তাকে কোন কোশেশও করতে হয়নি। ফেসবুকে কোন অডিও-ভিডিও ডাউনলোড করতে হয় নি। আর এতেই হয়েছে কাল। যুবকেরা তারুণ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। হাজারো মন্তব্যে ফেবু পেইজ টইটম্বুর। সেসব মন্তব্য কৌতুহল উদ্দীপক ও আদিরসে ভরপুর। তার কিছু শ্রাব্য। বেশির ভাগই অশ্রাব্য। আমাদের কোন কিছুই বেশিদিন হিট লিস্টে থাকে না। নানা রঙ্গের এদেশে রঙ্গের ডিব্বা আর শেষ হয় না। জুয়েল আইচের কারিশমার মত কেবলই তা ঠিকরে বেরিয়ে আসে। তাই সেই হিট অফিসার সে যাত্রায় পার পেয়ে যান।
এবার আবহাওয়াবিদদের ঘন ঘন সতর্ক বার্তাতে ও গরমের স্টেজ রিহার্সেল দেখে আগেই আঁচ করা গিয়েছিলো এবারের গরম ছ্যাকাপোড়া করে ছাড়বে। বিদেশে উষ্ণতা ক্রমবর্ধমান হওয়ায় আমাদের আশংকা আরো বেড়ে গেছে। গরম মানেই মধ্যপ্রাচ্য। খরা মানেই আফ্রিকা। তাই আমরা আর দশটা সমস্যার মত গরম নিয়ে আর গরম হই নি। সময়ান্তরে গরম লজ্জাশরম ফেলে স্ব মূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছে ঠিকই। এখন গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়। কোথাও স্বস্তি নেই। রাজনীতির সিলেবাসে গরম নিবারণের কোন চ্যাপ্টার নেই। সরকারের প্রায়োরিটিতে গরমের মত চরম অবস্থা স্থান করে নিতে পারেনি। সরকার জানে গরম এখন সর্বত্র। মাঠে-ময়দানে, ঘরে-বাইরে, বাজার-ঘাটে। এহেন অবস্থায় পাবলিকের স্মৃতি পটে আবারো ঝিলিক দিয়ে উঠেছে সেই সুন্দরী চীফ হিট অফিসারের চাঁদ বদন। নেট দুনিয়ায় এ নিয়ে নানা কিছিমের কতশত কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। অবশেষে সেই হিট অফিসার মাঠে বিরাজমান গরমকে আরো গরম করতে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন। কিছু টিপস দিয়েছে দেশবাসী তথা নগরবাসীকে।
ছেলেবেলায় বাল্যশিক্ষা পাঠ ছিলো শিশুদের অবশ্য পাঠ্য। হিট অফিসারের এরূপ বক্তব্য বাল্যশিক্ষার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। ছেলেবেলার বাল্যশিক্ষা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। সর্বমান্য সেই পুস্তিকার কথা এখনো বয়স্করা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকে। কিন্তু আমাদের এই চীফ হিট অফিসারের বাল্যশিক্ষা পাবলিক খাচ্ছে না। বরং মিডিয়ার করা নিউজ দেখে পাবলিক এটাকে গরম তেলে ফোঁড়ন কাটার মত মনে করছে। পাবলিকের প্রশ্ন এই একবছরে তিনি দেশের তথা নগরবাসীর গরম কমাতে কি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? আর কি কি তার ঘটে আছে? তার মুখ থেকে, ভিডিও ও সাংবাদিকদের বরাতে যা জানা গেলো তা বাল্যশিক্ষার মত সরল সন্দেহ নাই। কিন্তু ওজনে এতই হাল্কা যে তার কথা শুনে পাবলিক এখন লাফিং গ্যাসে আক্রান্ত।
দেখা যাক, সেই চীফ হিট অফিসার এই একবছর গভীর তপস্যা করে কি পরামর্শ বটিকা উপহার দিয়েছেন আমাদের? নগরবাসীকে তিনি বলেছেন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ব্যাগে ফ্যান রাখুন, পানির বোতল রাখুন, টুপি রাখুন, ছাতা মাথায় চলাচল করুন। পাবলিক যেন হাওয়া খায়। তারা যেন নির্বোধ। তারা যেন এসব প্রতিকার উপায় জানে না। প্রশ্ন উঠেছে, এই নগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। অধিকাংশেরই আর্থিক সামর্থ লজ্জাজনক। স্বচ্ছল, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পক্ষে একটা ছাতা, পানির বোতল, ফ্যান, ক্যাপ ইত্যাদি যোগাড় করা সম্ভব। কিন্তু পরিবার প্রতি যদি গড়পড়তা ন্যুনতম চারজন লোক থাকে তাহলে মধ্যবিত্তের সামর্থ-রেখা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আর বাকীরাই বা যাবে কোথায়? এগুলোই কি একবছরের গবেষণাজাত প্রেসক্রিপশন? তবে তিনি আরো বলেছেন নগরে অনেক অনেক গাছ লাগাতে হবে। লাগাবে কে? তার পিতা মানে আমাদের নগর পিতা? কই সেরকম কোন আশ্বাসও তো পাওয়া যায় নি গত এক বছরে। দৃশ্যমান উদ্যোগ তো পরের ব্যাপার। মূলা দেখতে সুন্দর। সাদা মূলার বাইরে রংগীন মূলাও শোভাবর্ধক। মূলা খেতে সুস্বাদও। তবে হজমে এবং নিম্নচাপের কারণে তা মোটেই পরিবেশ বান্ধব না, বরং বড়ই অস্বস্তিকর। কিন্তু মূলা দেখানো খুব সহজ। পাবলিক মূলা দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারা মুখ থেকে রা বের করার আগেই বুঝে ফেলে কোন মূলার কি অর্থ?
যাদের সামর্থ আছে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গরম হতে বাঁচার জন্য নিজ উদ্যোগে সামর্থ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েই বেরোয়। কিন্তু যাদের সামর্থ নেই? তাদের কী হবে? চীফ হিট অফিসারের এরূপ বাল্যশিক্ষা পাঠ দান গরমে অতীষ্ঠ নগরবাসীর সাথে মশকরার শামিল। পাবলিক জানতে চায় লক্ষ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে তিনি কি এই গবেষণাই করেছেন? তার গবেষণার রেজাল্ট কি? স্বল্পকালীন, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘকালীন পরামর্শই বা কি? ইত্যবসরে এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমাদের গরম-যাতনার এতটুকু উপশম হয় নি। সামনের দিন গুলোর কথা ভাবতে গা শিউরে উঠে। পাবলিক জানে তাদেরকে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কথা বলা হবে, ক্লাইমেট চেঞ্জের ছবক দেওয়া হবে, কার্বন এমিশনের চিত্র তুলে ধরে জ্ঞান দেওয়া হবে। উঁচু উঁচু গ্লাস হাউস নির্মানের কথা চোখে আংগুল দিয়ে দেখানো হবে। এগুলোতো অনেক পুরোনো গপ্প। নতুন ব্যবস্থা কি? উপশম তরিকা কি? হিট অফিসারের বাল্যশিক্ষার জন্য এত অর্থ অপচয়ের দরকার নেই। সরকারের স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ, প্রচার যন্ত্র ও প্রশাসন রয়েছে কী জন্য তাহলে?
নগরীতে লক্ষ লক্ষ ভাসমান মানুষ আছে যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। থাকলেও ঝুপড়িতে পশু- খোঁয়াড়ের মত গাদাগাদি করে পড়ে থাকে। তাদের কি হবে? তারা ছাতা পাবে কই, ফ্যান কিনবে কোত্থেকে? সুপেয় পানি-ই যাদের ভাগ্যে জোটেনা তারা কিভাবে ব্যাগে করে পানির বোতল নিয়ে ঘুরবে? অবশ্য তাদের ক্যাপ না থাকলেও টুপী বা গামছা, আঁচল বা ওড়না আছে- এটা ঠিক।
আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে- এটা অবশ্যই স্বীকার্য। সম্পদের অপ্রতুলতা, আয়ের সুষম বন্টনের অনুপস্থিতি, মৌলিক চাহিদার অলভ্যতাও রয়েছে। সবাইকে এক ফ্রেমে এনে এক বটিকা সেবনের সামর্থ্য সরকারের নেই এটাও সত্য। কিন্তু পাবলিককে নিয়ে উপহাস, পরিহাস করার অধিকারও নেই। চীফ হিট অফিসার একক ভাবে গরমকে প্রশমিত করার ক্ষমতা রাখেন না এটাও সত্য। কিন্তু তার প্রাজ্ঞতা আমাদেরকে স্বস্তি দিতে সহায়তা করবে এই আশা আমাদের ন্যুনতম প্রত্যাশা। আমরা তাকে নিয়ে আর পরিহাস না করি। যারা তাকে নিয়োগ করেছেন, যাদের সাথে কাজ করার জন্য তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তারা সবাই উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসুন। সবাই মিলে একশন প্ল্যান তৈরি করে যার যার করণীয় ভাগ করে কাজ শুরু করে দিন।
তা নাহলে হিট অফিসার নিয়ে বিতর্ক থামবে না। এর ঢেউ তার পিতা তথা আমাদের নগর পিতাকেও দারুণভাবে খোঁচাতে থাকবে। কর্তৃপক্ষ তাদের দায় কোনভাবেই এড়াতে পারবেন না। গ্লোবালাইজেশন আর কার্বন এমিসনের দোহাই দিয়েও পার পাওয়া যাবে না। গরম যত বাড়বে রোগশোক তত বাড়বে। জনস্বাস্থ্য ততই হুমকির সম্মুখীন হবে। ব্যাপক জনগোষ্ঠীর হিটজনিত নানাবিধ ব্যাধি সামাল দেওয়ার মত আমাদের সক্ষমতা ও প্রস্তুতিও বোধকরি তেমন নেই। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিকে ছুটির আওতায় এনে পরিস্থিতির তীব্রতা খানিকটা হলেও সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে ঘরে থাকার উপদেশ প্রদান পরিহাসের মত শোনাবে। এ বিষয়ে আমাদেরকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা একা হিট অফিসারের কাজ না। লোভনীয় চাকরির ফেরে পড়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন সত্য কিন্তু জনমনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব কতদূর পর্যন্ত গড়াবে তা তিনি যত দ্রুত ও পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন ততই সবার জন্য মঙ্গল। সর্বক্ষেত্রে অপ্রস্তুত আমাদের দুর্দশার বোঝায় নতুন এই উপদ্রব আরেক ডাইমেনশন নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পথ যত শীঘ্র সম্ভব বের করার উদ্যোগ গ্রহণ অতি আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে বিলাসিতা যেমন সাজেনা তেমনি উদাসীনতাও কাম্য না।
চলমান এই খরতাপে জুয়েল আইচকে ডেকেও কোন লাভ হবে না। আগামীকে টার্গেট করুন। দেশ থেকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, কার্বন এমিশন, ক্লাইমেট চেইঞ্জ এসব পাত্তাড়ি গুটিয়ে চলে যাবে না। আগামীতে তা আরো গুণিতক সক্ষমতা নিয়ে হাজির হবে। তাই আর বাল্যশিক্ষা না। এবার কাজের কাজ করুন। গাছ লাগান, লেক সংস্কার করুন, নতুন জলাশয়ের তালাশ বা উদ্ধার করুন, গণ স্নানাগার বৃদ্ধি করুন, নতুন নতুন পার্ক স্থাপন করুন, এগুলোর রক্ষাণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিন, তদারকি বাড়ান। মোটকথা উদ্যোগ ও অগ্রগতির চিত্র সর্বসমক্ষে দৃশ্যমান করুন। আসুন, আগামীর পথে এখনই যাত্রা শুরু করে দেই। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
সারাবাংলা/এসবিডিই
আনোয়ার হাকিম খরতাপ এবং একজন হিট অফিসারের বাল্যশিক্ষা মুক্তমত