Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে আসলে কে জিতল, হারল কে? [পর্ব-২]


১২ মে ২০২১ ২০:৫৭

বিজেপির দীর্ঘদিনের ‘হিন্দুস্তান হিন্দুদেরই’ এই কৌশলের ছত্রছায়ায় তাদের রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনে খুব একটা আশাব্যঞ্জক ফল আসেনি। এমনকি এই মিলিনিয়ামের শুরুর দিকেও অগ্রগতি ছিল সামান্যই। এ কারণেই বিজেপির ‘মহাভারত’ প্রতিষ্ঠার তত্ত্ব দীর্ঘদিন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা দলটির মূলনীতি হিসেবে বিবেচনা করেননি।

ব্যাপারটি পরিষ্কার উদাহরণের মাধ্যমে বোঝা যাবে। প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী ও এল কে আদভানির টিম স্ট্রাকচারটাও কিন্তু কিছুটা আজকের মোদী-অমিত শাহের মতোই ছিল। আদভানি দল গোছাতেন। আঞ্চলিক মিত্র গড়ায় মন দিতেন। বাবরী মসজিদ থেকে শুরু করে যত ধরণের হিন্দুত্ববাদী এলিমেন্ট রাজনীতিকরণ করা যায়, তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আদভানি। অন্যদিকে বাজপেয়ী ছিলেন লিবারেল ফ্রন্ট। সর্ব ভারতীয় নেতার চেহারায় ভূষিত এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজেপির প্রধান মুখ।

বিজেপি বুঝতে পারে— উন্নয়ন, সংখ্যালঘু তোষণ, হালকা পাতলা ভারতীয় সংবিধান মেনে সেক্যুলার ভাব ধরে বসে থাকা, প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের মূল ভিত্তিকে ঠিক রেখে  ও প্রতিপক্ষের দুর্নীতি আর অনিয়মকে ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করে বড় জোর একবার দুইবার ক্ষমতায় আসা যাবে। কিন্ত তাতে ক্ষমতা ধরে রাখাতো দূরের কথা, আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে দরদামেও সুবিধা করা যাবে না।

মোদি-অমিত শাহের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি অনেকটা এরকমই হয়েছে। মোদির নিজের কালো অতীত আছে। ভয়ংকর কালো অতীত। কিন্তু সেগুলো ঝেড়ে ফেলে দিয়ে তিনি মামুলী চা ওয়ালা থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উত্তরণের পথে ধাপে ধাপে নিখুঁত কৌশলে এগিয়েছেন। ‘আপ কি দরকার, মোদি কা সরকার’ বলে বিজেপি মোদিকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনে জিতেছে। দলের ইশতেহার ছাড়িয়ে মোদিই হয়ে উঠেছিলেন এক যোগ্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিবিম্ব। অন্তত নির্বাচনী কৌশল তাই ছিল। কিন্ত রাজনৈতিক কূটকৌশলের কৌশলপত্র রয়ে গেল অমিত শাহের ব্রিফকেসেই। গত পর্বের ত্রিপুরা, আসাম, উত্তর প্রদেশসহ ভারতের নানা জায়গায় ‘মেজরিটি ভোট’ ঐক্যবদ্ধ করার মূল নকশা এবং কৃতিত্ব অমিত শাহের।

আগে বাজপেয়ীর বিজেপি ভোটের রাজনীতিতে হিন্দুত্ববাদকে বাস্তবিক প্রয়োগ করার মতো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিল না। একারণে ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’ বা উন্নয়নের মডেল দেখিয়ে, বিশাল মধ্যবিত্তের ভোট পকেটে পুরে এবং কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্ত পরের লোকসভা নির্বাচনে হেরেই বিজেপি বুঝতে পারে— উন্নয়ন, সংখ্যালঘু তোষণ, হালকা পাতলা ভারতীয় সংবিধান মেনে সেক্যুলার ভাব ধরে বসে থাকা, প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের মূল ভিত্তিকে ঠিক রেখে রাজনীতি ও প্রতিপক্ষের দুর্নীতি আর অনিয়মকে ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করে বড় জোর একবার দুইবার ক্ষমতায় আসা যাবে। কিন্ত তাতে ক্ষমতা ধরে রাখাতো দূরের কথা, আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে দরদামেও সুবিধা করা যাবে না। ঠিক তখন থেকেই বিজেপির ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতির’ এই কূটনীতির শুরু।

আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে দরদামে অঞ্চল বাদ দিয়ে বিজেপি এখন হরহামেশাই জাতীয় রাজনীতিকে ব্যবহার করছে। কিংবা সঠিকভাবে বলা চলে জাতীয় রাজনীতির নামে ধর্মকে ব্যবহার করছে।

মিডল ক্লাস ভারতীয়দের আপাত পছন্দের ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’র দল খোল পাল্টে হয়ে গেল ভারতের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ‘জয় শ্রীরামের’ দল। নতুন বিজেপি। নতুন কৌশল কাজে দিল ২০১০ পরবর্তী প্রত্যেকটি লোকসভা ও রাজ্যসভা নির্বাচনে। আপাতদৃষ্টিতে হেরে যাওয়া রাজ্য বাংলা বা দিল্লিতেও বিজেপির রাজনৈতিক ফুটপ্রিন্ট ব্যাপকভাবে জোরালো হলো। ভোট ও সমর্থন শূন্য থেকে চার পাঁচ গুণ বেড়ে গেল। আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে দরদামে অঞ্চল বাদ দিয়ে বিজেপি এখন হরহামেশাই জাতীয় রাজনীতিকে ব্যবহার করছে। কিংবা সঠিকভাবে বলা চলে জাতীয় রাজনীতির নামে ধর্মকে ব্যবহার করছে। আজকের প্রবল প্রতিপক্ষ মমতাও এক সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ভবিষ্যতে যে আবারও হবেন না সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়ে বিজেপি বাবরী মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের আইনি অনুমতি আদালত থেকেই পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। গো মাংস নিয়ে সারা ভারতজুড়ে সংখ্যালঘু হত্যা ও নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ের অভিযোগ বিজেপি নাকচ করেনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (এনআরসি) প্রণয়নের মাধ্যমে জোর করে সংখ্যালঘু ভারতীয় নাগরিকদের ভারত থেকে বের করে দেওয়ার পলিটিকাল এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিজেপি আপাতভাবে সফল। যদিও কাউকে এখনও বের করে দিতে হয়নি। কিন্ত ওই এক ধর্মের গর্জনেই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যে অন্তত পরবর্তী এক দশকের জন্য রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে গেছে। ‘হিন্দুরা হিন্দুস্তানের’ হিস্যা বুঝে পাচ্ছে বলে প্রচারণা বাড়ছে সাধারণ বঞ্চিতদের মাঝে। মিজোরাম সীমান্তে রোহিঙ্গা সমাবেশ থেকে মিয়ানমারও সরে এসেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমারের পাশে ভারত। জান্তা সরকার নিয়েও তেমন টু শব্দ করেনি মোদি সরকার। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি পাড়ায় পাড়ায় হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রকাশ্য ক্যাম্পেইন করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। আর নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সরকারি চাকরি, সামাজিক নিরাপত্তা আর আর্থিক প্রণোদনার বিশাল প্যাকেজ ছাড় দিয়ে তাদেরও ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকাতলে নিয়ে এসেছেন অমিত শাহ। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের রাজনৈতিক মুখপাত্রদের পায়ের তলায় যে মাটি নেই সেটা প্রথম পর্বেই আলোচনা করা হয়েছে।

এখন এই হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদের ও মিশেল ঘটিয়েছে বিজেপি। সেই যে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় ভগৎ সিংয়ের বাম যুব মোর্চা বলেছিল, যদি ন্যায়, বর্ণ-ধর্মহীন ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে স্বাধীন ভারত গঠিত না হয়—তাহলে ইংরেজরা চলে গেলেও ভারত একটা সাদা চামড়াহীন, দেশীয় শোষকদের ক্রীড়নকে পরিণত হবে। বিজেপির বর্তমান অবস্থান সেই সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে। ধর্ম ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করে যা কিছু প্রগতিশীল সবকিছুকে ভারতবিরোধী প্রমাণের চেষ্টায় বিজেপি আজ অনেকটাই সফল।

বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ক্ষমতাসীন দলটিকে অনেকেই পোল্যান্ডের জাস্টিস অ্যান্ড ল পার্টি, হাঙ্গেরির ফিডেশজ পার্টি বা এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির মতো কুখ্যাত কর্তৃত্ববাদী পার্টিগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন।

রাষ্ট্রের মূল অঙ্গ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আঘাত হানছে বিজেপি। বিরোধীদলীয় নেতা ঘোষণায় অনীহা, রাজ্যসভাকে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে পাশ কাটিয়ে অর্থ বিল (Money bill) পাস করানো এবং একের পর এক বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোতে রাজ্যপালদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিষ্ঠা করা বিজেপির কৌশলের মূল অস্ত্র হয়ে উঠেছে। যেভাবে কাশ্মীরে সব নিয়ম নীতি ও কাশ্মীরি জনগণের প্রতিনিধিদের অগ্রাহ্য করে, সংবিধানে আঁচড় ফেলে বিজেপি কেন্দ্রের শাসন জারি করেছে, এমন উদাহরণ ভারতীয় ইতিহাসে বিরল। কাশ্মীরিদের সঙ্গে কমবেশি সব কেন্দ্রীয় সরকারই অন্যায় আচরণ করেছে। মোদি-অমিত শাহের মতো কেউ বুক ফুলিয়ে মাইক বাজিয়ে তার একক কৃতিত্ব দাবী করেনি। ভারতীয় রাজনীতিতে যে ধরনের আচরণ দলটি করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে, তাতে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ক্ষমতাসীন দলটিকে অনেকেই পোল্যান্ডের জাস্টিস অ্যান্ড ল পার্টি, হাঙ্গেরির ফিডেশজ পার্টি বা এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির মতো কুখ্যাত কর্তৃত্ববাদী পার্টিগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন। বিরোধীদের দমন-পীড়ন, নিম্ন আদালতে সংবিধান ভূলন্ঠিত করে প্রভাব খাটিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা আর পুলিশি অপতৎপরতা চালিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ‘দৌড়ের উপরে’ রাখার ক্ষেত্রে বিজেপি এখন নতুন মাত্রা যোগ করছে। নির্বাহী বিভাগ, সংসদ-মন্ত্রিসভা ও আদালত— তিন জায়গাতেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জন করেছে অমিত শাহের ব্রিফকেইস ও তার ল্যাপটপ।

অদ্ভুত এবং আশঙ্কার বিষয় হলো, এই সবকিছুতে ভারতীয় জনগণের নিয়মতান্ত্রিক সায় আছে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়, আর মাঝে মাঝে হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনগুলোতেও তেমন কেউ বিজেপির পথের কাঠা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। কংগ্রেসের চরম ভরাডুবির কারণে বিজেপিকে কেন্দ্রে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউই নেই। আসাম ও কেরেলার পরাজয়ে কংগ্রেস করোনায় ঠেকাতে অব্যবস্থাপনার কোনো সুবিধাই নিতে পারল না। উল্টো বাংলায় সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন হয়ে গেল। কেরালার মতো ব্যাপক শিক্ষিত রাজ্যেও সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার রুখে দিতে সিপিএমকে বিজেপি বাধ্য করেছে। হাজার হাজার ভক্ত সাধকদের এই ইস্যুতে উস্কে  দিয়ে তাদের ‘মহাপ্রভু’ আসনে বসে গেছে বিজেপি। একজন প্রার্থীকে দিয়ে পর্যন্ত বলিয়েছে, ‘মুসলমান ভোট তার যত কম হয় ততই ভালো’।

কেরেলায় এবার আঞ্চলিক ইস্যুতে এককালের চরম প্রভাবশালী কংগ্রেসের আওয়াজ পাওয়াই যায়নি। এসব কিছুর প্রভাব জাতীয়ভাবে কংগ্রেসের উপর পড়বে। মহারাষ্ট্রের মতো জায়গায় শিবসেনা, যারা মূলত বিজেপির রাজনীতিই করে— তারাও পরবর্তীতে কোনো জোট গঠন করতে চাইলে আগে এনসিপি’কে ডাকবে, কংগ্রেসকে নয়। কারণ কংগ্রেস বর্তমান জোটে এনসিপিরও পেছনে। দল ব্যাপকভাবে পুনর্গঠন আর প্রকৃত ইস্যু নিয়ে জনগণের কাছে যেতে না পারলে রাহুল গান্ধী আর কংগ্রেস উভয়েরই চরম ভরাডুবি নিশ্চিত। আর এ সবকিছুই বিজেপির অবস্থানকে প্রথমত কেন্দ্রে এবং কেন্দ্রে বসে ফেডারেল শক্তিমত্তা আর কৌশল খাটিয়ে রাজ্যে সুসংহত করতে সহায়তা করবে। যেসব রাজ্যে বিজেপি আপাতত হেরেছে, সেগুলোতেও তারা খুব স্পষ্ট বার্তা দিতে পেরেছে। যে বাংলার নির্বাচন নিয়ে এই আলোচনা শুরু, সেখানে বিজেপির ভোট ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশ হয়েছে। এই নির্বাচনে তৃণমূলের সব ভোট তাদের নয়। বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে কংগ্রেস আর বামদের ভোটও মমতা পেয়েছেন। কিন্ত বিজেপির ৩৮ শতাংশ ভোট নিখাদ বিজেপিরই। এই বিশাল উত্থান আগামীতে বাংলায় মমতার জন্য যে বিশাল মাথাব্যথার কারণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মমতা কি লড়াই চালিয়ে যাবেন, নাকি পরবর্তী লোকসভায় চুক্তিতে যাবেন তার জবাব সময়ই বলে দেবে।

ভারত এখন হিন্দুস্তান হওয়ার পথে আক্ষরিক অর্থেই ‘স্টেট স্পন্সর্ড’ এবং ‘স্টেট ডমিনেটেড’। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ চলছে একদম খোলামেলাভাবে, কোনো লুকোছাপা না রেখেই।

এই শক্তিশালী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন বিজেপি-ই কি ভারতের ফ্র্যাঙ্কেন্সটাইন? তাহলে বাংলায় আসলে কী হলো? সেক্যুলার, সমতাভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ভারতের ধারণা কি তবে অস্তাচলে?

সে আলোচনার জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতায় ঈদ পালন করুন। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

(আগামী পর্বে সমাপ্য)

লেখক: ম্যানেজিং এডিটর, সারাবাংলা ডটনেট

আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে আসলে কে জিতল, হারল কে? [পর্ব-১]

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর