পার্বত্য চটগ্রামের পর্যটনে চাই পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৫১
আজ ২৭ শে সেপ্টেম্বর, বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩। প্রতিবছর নতুন প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে হাজির হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিবস উদযাপনের অর্থ সেই প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারন করা এবং পরবর্তী সময়গুলোতে তা লালন করা। বিষয়টি কিন্তু শুধু ঐ দিনটির জন্য সীমাবদ্ধ নয়। বরং ঐ দিন থেকে আগামীতে অংশীজনেরা পর্যটনের প্রতিটি পদক্ষেপে যাতে এই বিষয়টি মাথায় রাখে , ধারণ করে এবং লালন করে সেই জন্যই এটি নির্ধারন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় Tourism and Green Investment। বাংলায় যেটা দাঁড়িয়েছে, ‘পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ’। প্রতি বছরের ন্যায় United Nations World Tourism Organization (UNWTO) অর্থাৎ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা, এই বছরও এই প্রতিপাদ্য বিষয়টি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জাতিসংঘের সদস্য রাস্ট্র হিসেবে আজ বাংলাদেশও এই দিবসের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করছে। এই বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিপাদ্য বিষয়ের দিকে এবার একটু আলোকপাত করা যাক।
আপনারা জানি, কোভিড-১৯ (করোনা মহামারী) পর্যটন খাতকে অনেকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়ে গেছে। পক্ষান্তরে পর্যটন নিয়ে নতুন করে ভাবার একটা সুযোগও তৈরী করেছে। ‘এজেন্ডা ২০৩০’ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (SDG) সফলভাবে অর্জনে পর্যটনে বিনিয়োগকে নতুন আঙ্গীকে দেখা হচ্ছে। যার ফলে মহামারীর ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য পর্যটনে বিনিয়োগকে অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা। পর্যটনে এই বিনিয়োগকে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। এটি হবে মানুষের জন্য, ধরিত্রীর জন্য এবং সম্মৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ। পর্যটনের বিনিয়োগের মাধ্যেমে মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে তালমিলিয়ে টিকে থাকার থাকার সক্ষমতা অর্জন করবে, টেকসই পৃথিবী বিনির্মানে সাহায্য করবে এবং উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহনে সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা যাবে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, পর্যটনের এই বিনিয়োগ হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে, সদস্য রাস্ট্রসমূহের মধ্যে, পর্যটন গন্তব্যের মধ্যে, ব্যবসাগুলোর মধ্যে, সরকারের মধ্যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে, উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে, প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন যা নতুন পর্যটন বিনিয়োগে কৌশলগতভাবে সবাইকে একত্রিত করবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এবং দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে মানুষের পাশে থাকা যাবে, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামোর দিকে নজর দিয়ে এই ধরিত্রীর জন্য কাজ করতে হবে এবং উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যেমে সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে।
এই ৩ টি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে আরেকটু গভীরে গিয়ে নজর দেয়া যাক । প্রথমত বলা হচ্ছে, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়ার মাধ্যমে মানুষের জন্য বিনিয়োগ করা দরকার। আমরা জানি শিক্ষা হচ্ছে আমাদের মৌলিক অধিকার। সমাজ, অর্থনীতি কিংবা প্রত্যেকের এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি চালিকাশক্তির মত। কিন্তু সঠিক বিনিয়োগ ছাড়া এটা অনেকটা অকার্যকর। করোনাকালীন সংকট পর্যটন অর্থনীতির কাঠামো সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। SDG-4 (Quality Education) অর্জনের জন্য পর্যটন শিক্ষায়ও মনযোগ দেয়া আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সকল ক্ষেত্রে নারী শিক্ষায় ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ খুবই জরুরী। বাস্তবতা হলো এই, সঠিক মেধা ছাড়া টেকসই পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করা দুরহ বিষয়।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, পর্যটন হলো পৃথিবীর প্রথম সারির অন্যতম কর্মসংস্থান যোগানকারী একটা খাত। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পৃথিবীব্যাপী প্রতি ১০ জন কর্মজীবির মধ্যে ১ জন পর্যটন খাতে কর্মরত। এটাই প্রমান করে যে, এটি কর্মসংস্থান যোগানের অন্যতম খাত এবং গ্রামীন উন্নয়নে যার অবদান অনেক বেশী । অধিকন্তু, পর্যটন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিত গ্রুপ বিশেষ করে নারীদের সহযোগিতা করেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। যেখানে পুরো অর্থনীতিতে ৩৯ শতাংশ নারী সেখানে পর্যটন খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের ৫৪ শতাংশই নারী। তাছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তি মালিকানাদের জন্য পর্যটন একটি সহজ খাত। তা সত্বেও ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকায় আর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অভাবে ৫০ শতাংশ তরুণদের পক্ষে পর্যটন খাতে কাজ করা সম্ভব হয়না। বৈশ্বিক পর্যটন খাতের চাহিদার দিকে তাকালে দেখা যায়, ২০৩০ এর মধ্যে লক্ষাধিক হসপিটালিটি গ্র্যাজুয়েট দের প্রয়োজন হবে এবং বিশেষ কারিগরী প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়বে। যার কারণে মানুষের জন্য বিনিয়োগ করা অতীব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে যারা এই পর্যটন খাতের জন্য মূল ভিত্তি হয়ে কাজ করবে।
এবার দেখা যাক, এই ধরিত্রীর জন্য বিনিয়োগের বিষয়ে কি বলা হয়েছে। পর্যটনের সবুজায়ন তথা পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই ধরিত্রীর জন্য বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম মনে করে, জলবায়ুর চলমান সংকট উত্তরণের অংশ হিসেবে পর্যটন খাত তার দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটনে এই সবুজায়ন তথা পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম শুধু ধরিত্রীর জন্য নয় টেকসই উপায়ে টিকে থাকার ক্ষেত্রে পর্যটনের নিজের জন্যও প্রয়োজন। পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনী শক্তি ‘এজেন্ডা ২০৩০’ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
ভবিষ্যতের দিকে তাকালে দেখা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে ২৪.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে যার মধ্যে হোটেল ও রিসোর্টের ক্ষেত্রে ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার তবে শর্ত হলো যদি কার্বন নির্গমন কমানো যায় কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রনের শর্তে পর্যটন খাতে আরও অধিক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিয়ন্ত্রনের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ তে উত্তীর্ন হওয়ার লক্ষ্যে পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই যা এই ধরিত্রীকে আরো সুন্দর করার জন্য গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে।
‘সমৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ’ এর দিকে তাকালে দেখা যায় উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে এই বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব। ডিজিটালাইজেশন এবং উদ্ভাবনী প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণ এবং নারীদের সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই সকল প্রোগ্রামে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং পর্যটন খাতে উদ্ভাবনীর সুযোগ সৃষ্টি করা খুবই জরূরী। অপরদিকে বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মানে নারীর ক্ষমতায়ন একটি অপরিহার্য বিষয়। আর পর্যটন খাতে এটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার একটা বড় সুযোগ রয়ে গেছে। তাই নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তাই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার বিবৃতির মূলে উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটনের দিকে একটু নজর দেয়া যাক। বলা হচ্ছে মানুষের জন্য বিনিয়োগ নিশ্চিত করা জরুরী যে বিনিয়োগ হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং দক্ষতা উন্নয়নে। একটা বিষয় স্পষ্ট যে, পার্বত্য চটগ্রামের পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীর একটা বড় অভাব রয়ে গেছে। যার ফলে ট্যুরিস্ট বা অতিথিদের সেবা প্রদানের মান অনেক ক্ষেত্রে কাংখিত মাত্রায় পৌঁছতে পারেনা। হসপিটালিটি সেক্টরে ‘হার্ড স্কিলের’ পাশাপাশি ‘সফট স্কিলের’ ঘাটতি দৃশ্যমান। এটি দূর করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ খুব একটা দেখা যায়না। কোন প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসেনা। সেবার মান নিয়ে অতটা মনযোগ নেই বললেই চলে। সেবা প্রদানকারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক বা আভ্যন্তরিন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা খুব একটা নজরে আসেনা। তাই অতিথি সন্তোষ্টির বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে গেছে। কিন্তু সেবার মান বৃদ্ধিতে দক্ষ কর্মীর বিকল্প নেই। আর দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই। তেমনি পর্যটনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও শিক্ষিত ও দক্ষকর্মী বাহিনীর বিকল্প নেই। তাই এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে একাত্বটা জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সেবা প্রদানকারীদের দক্ষতা উন্নয়নে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে। তবেই মানুষের জন্য বিনিয়োগ সম্ভব হুবে।
আর পার্বত্য চটগ্রামের ধরিত্রীর জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা বরাবরের মতই অপরিহার্য। পাহাড়, নদী, লেক, প্রকৃতি, সংস্কৃতি, পরিবেশ, প্রতিবেশকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি না থাকলে পর্যটন কখনো কোন সুফল বয়ে আনতে পারবেনা। পক্ষান্তরে প্রকৃতি প্রদত্ত সমস্ত কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে অচিরেই। তাই এখানেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে পর্যটনের সকল অংশীজনকে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রকৃতিকে দুষিত করে চলেছি। কোন জেলাতেই ভাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। অথচ একটু দায়িত্বশীল হলে কত সুন্দর হতে পারতো পার্বত্য চটগ্রামের পর্যটন ব্যবস্থাপনা। এই কার্যকর ব্যবস্থাপনার দিকে সকল অংশীজনকেই মনযোগ দিতে হবে। তবে নীতি নির্ধারণী ফোরাম থেকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়াটা জরুরী এবং সাধারন জনগনকে অবশ্যই সম্পৃক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিবেশ-প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা সেদিকে গভীরভাবে মনযোগ দেয়া আবশ্যক। আর নতুন বিনিযোগকারীদের পরিবেশ-প্রতিবেশ এর কথা মাথায় রেখেই বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
পাশাপাশি সমৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগেও আমাদের দায়িত্বশীল হওয়া আবশ্যক। নারী ও তরুন উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। সামাজিক কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন খাতে নারীদের অংশগ্রহণ খুব একটা চোখে পড়েনা। কিন্তু নারীরা পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে এই খাতে সম্পৃক্ত হবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তবে এই ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের সমন্বিত আর সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। অন্যান্য খাতের মত নারীর ক্ষমতায়ন আর সমান সুযোগ তৈরী করা ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে সমৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ সম্ভব নয়। তাই সকল অংশীজনের দায়িত্বশীল ভুমিকার মাধ্যেমেই সম্ভব হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নিশ্চিত করা।
লেখক: চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সারাবাংলা/এসবিডিই
খোকনেশ্বর ত্রিপুরা পার্বত্য চটগ্রামের পর্যটনে চাই পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ মত-দ্বিমত