Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ ফজলুল হক মণি’র বহুমাত্রিকতা

মো. আসাদ উল্লাহ তুষার
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৪১

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মুক্তিযুদ্ধের বীর সংগঠক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো পঁচাশি। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বেঁচেছিলেন। বাংলাদেশের জন্মের বেদনার সব সংগ্রামে যিনি ছিলেন সামনের কাতারে। অল্প বয়স থেকেই নেতৃত্বের সব গুণাবলী তার মধ্যে ছিল। তিনি ছিলেন সৃজনশীল একজন সংগ্রামী মানুষ। দৃঢ়চেতা, অকুতোভয়, নির্লোভ, নিরহংকার, অনন্য সাধারণ ব্যাক্তিত্ব যাকে বলে তেমনই একজন মানুষ ছিলেন শহিদ শেখ ফজলুল হক মণি। যিনি ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর বাবা মায়ের কোল আলো করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, লেখক, সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। অবশ্য রাজনীতিবিদ হিসেবেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম প্রধান গেরিলা বাহিনী মুজিব বাহিনী তার নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত এবং পরিচালিত হয়। ছাত্র জীবনে ছাত্র হিসেবেও ছিলেন তুখোড়। রাজনীতির হাতেখড়িটা তখনই হয়েছিল। ঢাকার নবকুমার স্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে এসএসসি, ১৯৫৮ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৬০ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ এবং আইনে ডিগ্রি লাভ করেন।

বিজ্ঞাপন

ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬০-১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ১৯৬২ সালে কুখ্যাত হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি গ্রেফতার হন এবং ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর আবদুল মোনেম খানের কাছ থেকে সনদপত্র গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানান এবং সরকারের গণবিরোধী শিক্ষানীতির প্রতিবাদে সমাবর্তন বর্জন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ডিগ্রি প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তী সময়ে তিনি মামলায় জয়লাভ করে ডিগ্রি ফিরে পান। ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং দেড় বছর কারাভোগ করেন।১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়ে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয় এবং তিনি কারারুদ্ধ হন। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের মুখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকা দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তিনি ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যুগপৎ তিনি তেজগাঁ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭৩ সালের ২৩ আগস্ট তিনি সাপ্তাহিক সিনেমা পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৭৪ সালের ৭ জুন তার সম্পাদনায় দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস প্রকাশিত হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি এর সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।

মুক্তিযুদ্ধে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন শেখ ফজলুল হক মণি। মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্বালেই তিনি হাজার হাজার ছাত্র-যুবককে সংগঠিত করে মুজিববাহিনী গঠন করে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। তিনি নিজে যেমন রণাঙ্গনে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন ঠিক একইভাবে লেখনির মাধ্যমে এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিজয় সুনিশ্চিতে এগিয়ে গেছেন। তার ছিল গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন দূরদর্শী একজন সংগঠক। তিনি ছিলেন নেতা তৈরির কারিগর। তার হাত ধরে অসংখ্য নেতা তৈরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যারা সামনে থেকে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন বা এখনো দিচ্ছেন। প্রাজ্ঞ, মেধাবী, বিনয়ী, বন্ধুবাৎসল শেখ মনি ছিলেন যুব সমাজের প্রাণের স্পন্দন। তিনি ছিলেন অকুতোভয় ও স্বাধীনচেতা ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন মেধাবী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপন ভাগ্নে হলেও রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সুবিধা তিনি নেননি। মেধা ও নিজ যোগ্যতা বলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে অন্যান্য পদ অলংকৃত করেছেন। কোনোদিন এমপি-মন্ত্রী হননি। নিজে এমপি বানিয়েছেন। কিন্তু নিজে সংগঠক হিসেবে থাকতেই পছন্দ করতেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার হাতেই উপমহাদেশের অন্যতম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী সময়ে প্রথম কংগ্রেসেও নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তৎকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সৎ, শিক্ষিত তরুণ মেধাবী সাবেক ছাত্রনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নিয়ে যুবলীগের প্রদীপ্ত যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই যাত্রা নানা চড়াই-উৎরাই পার করে এখনো বাংলাদেশের যুবসমাজের গৌরবদীপ্ত নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। যুবলীগ আজ তারই সুযোগ্য সন্তান, ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্ট ঘাতকের বুলেটের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া সৎ, সুশিক্ষিত, সজ্জন, মেধাবী শেখ ফজলে শামস পরশের সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু এবং তিনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই সুযোগ্য সন্তান শেখ পরশ সে স্বপ্ন বাস্তবায়নেই দৃঢ় পায়ে এগিয়ে চলছেন।

শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি বেঁচে থাকলে যে দেশের সঠিক নেতৃত্ব দিতেন সেটা বুঝতে পেরেছিল ঘাতকেরা। ক্ষমতার কোনো সংস্পর্শে না থাকলেও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে হওয়ার কারণে এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যাতে দলের এবং দেশের নেতৃত্ব দিতে না পারেন সেজন্যই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিসহ তাকে হত্যা করে। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তার দুই অবুঝ শিশু সন্তান ছয় বছরের শেখ ফজলে শামস পরশ ও চার বছরের শেখ ফজলে নূর তাপস। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নজির হয়তো আর দু’টি নেই। একজন অন্তঃসত্ত্বা মাকে তার দুটি সন্তানের সামনে বুলেট ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ঘাতকেরা। এই নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সেদিন হয়তো আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল। কিন্তু ঘাতকদের মনে কোনো ভয় বা দয়া-মায়া জাগেনি। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গিয়েছিলেন তার দুই শিশু সন্তান পরশ ও তাপস। তাদের সেই বেঁচে থাকা কি বেঁচে থাকা? শিশুকালে পিতা/মাতাহীন এই এতিম শিশুদের পরবর্তীতে কি পরিমাণ দুঃখ-কষ্ট এবং ঘাতকদের ও তাদের পৃষ্ঠপোষক তৎকালীন অবৈধ মোস্তাক-জিয়া-এরশাদ সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তা ছিল অবর্ণনীয়, হৃদয় বিদারক।

কিন্তু মানুষের ভালবাসায় আজ তারা সুশিক্ষিত যোগ্য মানুষ হিসেবে সফলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শহিদ শেখ ফজলুল হক মণি ও আরজু মণির দুই সন্তান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তাদের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ আজ শহিদ পিতারই হাতে গড়া বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিয্যবাহী যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুযোগ্য চেয়ারম্যান। কনিষ্ঠ সন্তান শেখ ফজলে নূর তাপস তিন বার জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে এখন রাজধানী ঢাকার নগর পিতা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র। দু’জনই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পিতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির আদর্শ ধারণ করে দলের এবং দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শহিদ শেখ ফজলুল হক মণি ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত, শোষণহীন, সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন ধর্মান্ধতা মুক্ত, শিল্প-সংস্কৃতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশের। কিন্তু পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের পরে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলদার জিয়া-এরশাদরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে দেশকে পতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দীর্ঘ একুশ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ সেবার সুযোগ পেলে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান শেখ হাসিনা। কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু, শেখ মণিসহ পনেরই আগস্টের খুনিদের বিচার কাজ সম্পন্ন করেন। দুঃখজনকভাবে পরবর্তী সময়ে খালেদা-নিজামীর সরকার ফের ক্ষমতায় এসে রায় বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি ও দীর্ঘসূত্রিতা করেন। কিন্তু সব চক্রান্ত ষড়যন্ত্র পরাস্ত করে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসালে খুনিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।

শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মেধাবী, চৌকস নেতা ছিলেন। তিনি অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে পেতেন। তিনি গতানুগতিক রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে পারতেন। স্বাধীনতার পর পর উগ্র-বামপন্থি ও কট্টরপন্থি যারা সদ্য স্বাধীন দেশের আগ্রগতি উন্নয়ন সহজে মেনে নিতে পারতেন না তাদের বিষয়ে এবং তাদের সতর্ক করে মূল ধারায় ফিরে এসে দেশের কাজে নিয়োজিত হওয়ার পরামর্শ দিতেন। সেজন্যই হয়তো সদ্য স্বাধীন ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশের যুব সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে তার নেতৃত্বেই যুবলীগের পথ চলা শুরু হয়েছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে ১১ নভেম্বর সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন। তিনি জানতেন যুব সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। তিনি সব সময়ই দেশের কথা চিন্তা করতেন মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তাই শেখ মনি কে হত্যা করলেও খুনিরা তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে; ততদিনই ইতিহাসের পাতায় এ নামও অম্লান, অক্ষয় হয়ে থাকবে। এখন যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহিদ শেখ ফজলুল হক মনি বেঁচে থাকতেন তাহলে অনেক আগেই দেশ উন্নত হয়ে যেত। তারপরেও দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসায় তার দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের সুবেহ সাদেকের সময় সমস্ত বিশ্ব বিবেক ও মানবতাকে পদদলিত করে জাতির পিতার কিছুক্ষণ আগেই শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শহীদ আরজু মনিকে তাদের দুই শিশু সন্তানের সামনে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে স্তব্দ করে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেদিন খুনিরা শহীদদের জীবন প্রদীপ শেষ দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তাদের আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে শেষ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিদের দেখানো পথেই আজ হাঁটছে তাদের প্রিয় স্বদেশ। শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার দেখানো পথে রয়েছেন বাংলাদেশের লক্ষ কোটি যুবক তরুণ। যারা তার দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই তরুন প্রজন্মের প্রত্যাশা। জন্মদিনে শেখ ফজলুল হক মণির প্রতি অতল শ্রদ্ধা।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

সারাবাংলা/এসবিডিই

মত-দ্বিমত মো. আসাদ উল্লাহ তুষার শেখ ফজলুল হক মণি’র বহুমাত্রিকতা

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর