নির্বাচন ট্রেন মিস: বিএনপির ভবিষ্যৎ কোন পথে?
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১৫
৭ জানুয়ারি ভোট গন্তব্যে চলতে শুরু করেছে নির্বাচনী ট্রেন। মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে এ ট্রেনে চড়া মিস করেছে বিএনপি। এখন আর কোন সুযোগ নেই। তার মানে তাদের এবং তাদের সমমনা সঙ্গীদের ছাড়াই ভোট হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে ২৯টি দলের ১ হাজার ৯৬৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আছে ৭৪৭ জনের বিশাল স্বতন্ত্র বহর। দেশের বড় তিন দলের মধ্যে বিএনপি ছাড়া বাকী ২টি দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি ৩০৪ জন করে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমাদানকে কেন্দ্র করে পুরো দেশই এখন নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। বিএনপি এখন কি করবে? তাদের ভবিষ্যৎ কি?
যে কোন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন – ভোট প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাংবিধানিকভাবে, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে , শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় যাওয়ার বৈধ পদ্ধতি ভোটে জয়। কোন দলের অনড় লক্ষ্য থাকে যদি নির্বাচনে জিততেই হবে,ক্ষমতায় যেতেই হবে, তবে সেটি গণতান্ত্রিক মানসিকতা নয়। গণতন্ত্রে বিরোধী দলেও থাকতে হয়। ক্ষমতাসীন দলের অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে রাজপথে প্রতিবাদী হতে হয়। জেলে যেতে হয়। কেউ যদি স্বৈরাচারী হয় হয় তবে একসময় সেই নেতা -দল-সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ হয়। জনতা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা বিরোধী দলের পাশে এসে দাঁড়ায়।
পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের ইতিহাস তারই সাক্ষী। পাকিস্তানী স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে আটমাস ক্ষমতায় ছিলেন। আর ২৩ বছরের মধ্যে সাড়ে তেরো বছর ছিলেন জেলে। আন্দোলনের সিংহভাগ সময় ক্ষমতায় বাইরে থেকে, জেলে থেকেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন এই জনপদের অবিসংবাদিত নেতা। জেতা যাবে না জেনেও প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এখনকার চেয়েও অনেকবেশি প্রতিকূল পরিবেশে সত্তুরের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জাতি তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছিল। তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। ২টি আসন ছাড়া বাকী সবকটি আসনে আওয়ামীলিগকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিল।
সে নির্বাচন বয়কট করেছিলেন মওলানা ভাসানী ও তার দল ন্যাপ। ন্যাপ ছিল পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। তারা সময়ের দাবী অনুধাবন করতে পারেন নি। জনতার ভাষা পড়তে পারেন নি। মানুষের আশা, আকাংখার কথা বুঝতে পারেননি। নির্বাচন বয়কটের পরিণতিতে তাদের ভুগতে হয়েছে। ভাসানীর সেই ন্যাপ আজ কোথায়?
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্বাচন বয়কট একটি বড় ভুল। কারণ রাজপথের চিৎকারের চেয়ে সংসদে সোচ্চার ভাষা অনেক বেশি শক্তিশালী। জনতা দেখতে পায় তাদের আশা আকাঙখার পক্ষে, দাবীর পক্ষে, অন্যায় অবিচারের বিপক্ষে তাদের হয়ে কেউ কথা বলছে। কিন্তু সংসদে নেই যে দল তার প্রতি মানুষের সে আস্থাটি তৈরি হয় না।
নির্বাচনে অংশ নিলে দলের কর্মী-নেতারা উজ্জীবিত হয়, আশাবাদী হয়, সক্রিয় হয়। তৃণমূল পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী হয়। কোন নেতা যখন নির্বাচনে দাড়ান তাকে ভোট না দিয়ে বিপক্ষকে ভোট দিলেও জনতা তাকে একজন জননেতা হিসেবে বিবেচনা করে। নির্বাচনে না দাঁড়ালে সে ইমেজটি গড়ে উঠে না। সব মিলিয়ে নির্বাচন বয়কটের ফলাফলটি দাঁড়ায় ভাসানী ন্যাপের হারিয়ে যাওয়ার মতো । অন্যদিকে জনগণের আশা-আকাংখা-প্রত্যাশার ভাষা বুঝতে না পারলে এবং বিরুদ্ধ অবস্থান নিলে পরিণতি হয় মুসলিম লীগের মতো।
আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশে ফেরার পর চরম বিরুপ পরিস্থিতিতেও দলটি কোন নির্বাচনই বয়কট করেনি। জয়-পরাজয়ের কথা না ভেবে গণতান্ত্রিক ধারার মধ্যে থেকে সব কটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ফলে ৭৫ পরবর্তী সময়ে দলটিকে সমুলে বিনাশের সর্বাত্মক চেষ্টার পরও আওয়ামীলীগের অস্তিত্বে টান পড়েনি। বরং গণতান্ত্রিক ধারার সংগ্রামে তৃণমুল পর্যায় থেকে সর্বস্তরে দল আরো শক্তিশালী হয়েছে।
কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট, ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে মাঝপথে সরে দাঁড়ানো এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার মধ্য দিয়ে বিএনপি কোন ভবিষ্যতের পথে যাচ্ছে? নেতা-কর্মীরা কেন দল করে? কেন জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও আন্দোলন-সংগ্রাম করে? কেন নির্যাতন ভোগ করে? জেলে যায়? মামলায় জড়ায়? কারণ একটিই – তাদের দল, তাদের নেতারা ভোটে জিতবে। সেও একদিন নেতা হবে। নির্বাচনে দাঁড়াবে। কিন্তু বিএনপি তো স্থানীয় নির্বাচন,জাতীয় নির্বাচন সবই বয়কট করছে। তাহলে তাদের নেতা কর্মীরা কোন আশায় দলের সঙ্গে থাকবে? এবার অনেকেই দল থেকে চলে গেছেন। হ্যাঁ সংখ্যাটি হয়তো বেশি নয়। কিন্তু সংকেতটি ভাল নয়। এখনও অনেকেই হয়তো আশাবাদী একটা কিছু হবে। নির্বাচন হয়তো হবে না। বিদেশীদের সহায়তায় যেকোন কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু তারা যখন দেখবে যথাসময়ে ভোট হয়েছে। মানুষ সে ভোটে অংশ নিয়েছে, পৃথীবি সে নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের দল ছাড়াই সংসদ বসছে, সরকার গঠিত হচ্ছে তখন তারা কি করবে? তখন তারা আর দলীয় শৃংখলার, বহিস্কারের ভয় পাবে না। নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে বা তারা নতুন দলে ভীড়ে যাবে। বিএনপির অবস্থা হবে তখন মওলানা ভাসানীর ন্যাপের মতো।
কিন্তু এবারই সুযোগ ছিল দলকে গুছিয়ে শক্তিশালী করে তোলার। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলের বলিষ্ঠ অবস্থান নেয়ার। কিন্তু ভুল নীতি, ভুল পরিকল্পনা, ভুল লক্ষ্যের কারণে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে নেই। ভুল বলাটাও বোধহয় ভুল হবে। কারণ মনে হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বের একটা অংশ কখনও নির্বাচন চায়নি। কারণ নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠনের মতো সংসদীয় আসন না পেলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হওয়ার মতো আসন পেত। কিন্তু তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আইনী এবং শারীরিক কারনে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাহলে বিএনপির সংসদ নেতা হবেন কে? এ দুজনের অনুপস্থিতিতে তখন বিকল্প নেতৃত্ব দাড়িয়ে যেত । সম্ভবত এ কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চায়নি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন। তারা চেয়েছে বিদেশীদের সহায়তায় তৃতীয় পক্ষের তত্বাবধায়ক সরকার। আশা ছিল সেই সরকার শীর্ষ নেতাদের মামলা, রায় বাতিল করবে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বৈধতা পাবেন।
কিন্তু এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তাদের প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকার, তাদের এই অনড় দাবীটি আইন সম্মত ছিল না। বিদেশীরা যেখানে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনের কথা বলছেন সেখানে তাদের পক্ষে বিএনপির অনৈতিক দাবীর প্রতি সমর্থন জানানোর সুযোগ ছিল না। এ কারণে বিদেশীদের কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দেয়া কিংবা কেয়ারটেকার সরকারের কথা একবারও উচ্চারণ পর্যন্ত করে নি। সরকারী দল যে প্রস্তাবটি অনেক আগেই দিয়েছিল শেষ পর্যন্ত বিদেশীরা সেই শর্তহীন আলোচনার কথাই বলেছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগ বারবার বলেছে এবারের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমুলক। এটি না বলে এবং না করে কোন উপায় নেই। কারণ যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘ যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে তাতে আগের মতো নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সহিংস ঘটনা মূল্যায়নে পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অবস্থান করবে। আর নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল। দুই মাসের মিশন নিয়ে ঢাকায় এসেছেন চার সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ দল।
সেই সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য মিডিয়ার সন্ধানী চোখ। এ সবকে উপেক্ষা করে এবার অন্যরকম নির্বাচন করা হলে পরিণতি ভাল হবে না সেটি সংশ্লিষ্ঠরা ঠিকই জানেন। বিএনপি দুরদর্শী হলে এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারতো। নির্বাচন কমিশন যেন নিরপেক্ষ বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে পারে সে জন্য বিএনপি বিদেশীদের অনুরোধ করতে পারতো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের জন্য তাদের বিভিন্ন পরামর্শ,দাবীর কথা জানিয়ে।
এবার নির্বাচন কমিশন অনেক সক্রিয় এবং আইন প্রয়োগে যথেষ্ঠ কঠোর। শামীম ওসমান কিংবা নিক্সন চৌধুরীর মতো জাদরেল নেতাকে যেমন তেমনি সাকিব আল হাসানের মতো জনপ্রিয় নতুন নেতাকেও নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের জন্য শোকজ করেছে। তাদেরকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হয়েছে। বিধি ভঙ্গের জন্য ছাত্রলীগের নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। কোন প্রার্থীকেই এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে ছাড় দেয়নি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাপারে নজরদারী করতে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। ভোটের দু’দিন পর পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রশাসনের ব্যাপারে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পক্ষপাতিত্ব বা প্রভাব বিস্তারের আশংকা নিয়ে অভিযোগ ছিল। নির্বাচন কমিশন কিন্তু সে দিকে নজর দিয়ে একটি নজীরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা সব থানার ওসি এবং ইউএনওকে বদলীর নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে দুজন ডিসিকেও বদলি করেছে। অতীতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওসি ও ইউএনওকে বদলী করা হয়েছে কিন্তু সবাইকে কখনও করা হয়নি।
একটি ভাল নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে সূষ্ঠু, সুন্দর, আবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারটি। বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কমিশনকে শক্তিশালী করে তোলার ব্যাপারে বড় ভুমিকা রাখতে পারতো।
কিন্তু এখন বিএনপির করার আর কি আছে? বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং মানুষ এখন নির্বাচন মুখী। দেশজুড়েই নির্বাচনের আবহ। মানুষের ভাষা কি বিএনপি পড়তে পারছে? সর্বাত্মক হরতাল-অবরোধ পালনের উদাত্ত আহ্বান সত্বেও শহরে শহরে যানবাহনের জ্যাম। আমজনতা কি আছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর কর্মসূচির সঙ্গে? দীর্ঘদিন একটি সরকার ক্ষমতায় আছে। মানুষের অনেক অভিযোগ আছে। উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। মানুষ জানে এর কিছু কারণ যা নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করেছে। আবার এর পিছনের কিছু কারণ জানে যা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তাদের ক্ষোভ আছে। কিন্তু পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, বিশাল বিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, শত সড়ক, শত সেতু, অসংখ্য অবকাঠামো তাদের জীবনে যে কিছু স্বস্তি এনে দিয়েছে সেটিও তারা অনুধাবন করে। যেভাবে চলছে সেভাবে উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আগামীতেও এগিয়ে যাবে সেটিতেও তাদের আস্থা জন্মেছে। তারা অশান্তির জীবন চায় না। শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়।
বিএনপি এখন যদি নির্বাচন প্রতিহত করতে চায় এবং ২০১৩, ২০১৪, ২০১৮ মতো জ্বালাও পোড়াও, ভাঙ্গুচুর, আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মতো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘ যেমন এখন নির্বাচন নিয়ে নজরদারী করছে নিশ্চয়ই তারা এমন সন্ত্রাসের দিকেও নজর রাখবে।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষক
সারাবাংলা/এসবিডিই
নির্বাচন ট্রেন মিস: বিএনপির ভবিষ্যৎ কোন পথে? মত-দ্বিমত মাহমুদুল হাসান শামীম