গতিহীন প্রশাসন, দিশাহীন পুলিশ
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৮
সবার মধ্যেই কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দেখা যাইতেছে। কোন কিছুতেই যেন গতি নাই। সবাই যে যাহার মত যতি টানিয়া বসিয়া আছে। ইহাতে কাহারো কোন ক্ষতি হইতেছে না। সরকারি অফিসে হাজিরা নিশ্চিত হইতেছে। মাস শেষে একাউন্টে বেতন ঢুকিতেছে। শুধু ধান্ধা করা যাইতেছে না, পাছে ধরা খাইয়া আজীবনের জন্য চৌদ্দ শিকের মধ্যে কাটাইতে হয়। মালামাল যাহা কামাই রোজগার হইয়াছে উহাও জব্দের তালিকায় পড়িয়া যাইতে পারে। তাহার চাইতে অফিসে বসিয়া বসিয়া পরস্পর পরস্পরের মধ্যে শলাপরামর্শ করাই উত্তম। টিভি স্ক্রলে চোখ রাখিলেই সর্বশেষ কোপ কাহার উপর পড়িল তাহা জানা যাইতেছে। আর খবরের কাগজে পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন পড়িয়া নয়টা পাঁচটা পার করিয়া দিতে বিশেষ অসুবিধা হইতেছে না। এইরূপ অফিস কর্মের আরেকটা ফায়দা হইলো একে অন্যের মতিগতি পর্যবেক্ষণ করিতে পারা যায়। আজকাল ফোনালাপ অনিরাপদ। ম্যাসেজিং ফাঁস হইয়া যাওয়ার আশংকাও রহিয়াছে। তাই, সামনাসামনি ডায়ালগই নিরাপদ।
সাম্প্রতিক কালের অফিস পাড়ার এইরূপ দৃশ্য ‘পরিচিতি’ পাইতেছে। উপদেষ্টা মহোদয়রা হুংকার দিতেছেন। বলিতেছেন কাজ না করিলে, সহযোগিতা না করিলে সরকার বিকল্প দেখিতে বাধ্য হইবে। ইহাতে দুর্বল চিত্তের কর্মচারীরা হয়ত নড়িয়া চড়িয়া বসিয়াছেন কিন্তু যাহারা ভীষণরূপে বেনিফিসিয়ারি তাহারা ইতিউতি চাওয়াচাওয়ি করিতেছেন। দেখিবার চেষ্টা করিতেছেন কোথা হইতে আশার আলোর ছিটাফোঁটা দৃষ্টিগোচর হয় কিনা? অনেকে, যাহারা বিগ ফিস, স্বপদে বসিয়া মুচকি হাসিতেছেন। ভাবিতেছেন, লম্ফঝম্প করাই সার। কাজের গতি আর বৃদ্ধি পাইবে না। সরকারি বাস্কেটে যে জনবল গত পনের বছরে নাদুসনুদুস হইয়া বড় হইয়াছে তাহাদেরকে যতই উলটপালট করিয়া কাটিয়া ছাঁটিয়া বাছাই করাই হোক না কেন তাবত লোকই তো তাহাদের। বাহান্ন-তেপ্পান্নর ফারাক এই যা।
বর্তমান প্রশাসন লইয়া চলিতেছে আড়াল- আবডাল খেলা। ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাত দিয়া গোল করিয়া আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করিয়াছিলো। তেমনি, এখন প্রশাসন লইয়া কোন গোষ্ঠী কোন হাতে খেলিতেছে তাহা বুঝা যাইতেছে না। তবে কিছু যে একটা ঘুটুঘুটু চলিতেছে তাহা নিশ্চিত। নইলে ইধারকা মাল উধার করিয়া যাহা করা হইতেছে তাহা এক পাত্র হইতে অন্য পাত্রে পাত্রস্থ করিবার মতই নামকাওয়াস্তে। পদায়ন হইতেছে পরক্ষণেই বাতিল হইতেছে। কাহারা যেন ছক কষিয়া এইরূপে খেলিতেছে। তিন মাস হইতে চলিলো প্রশাসন গোছগাছের কোন সুস্পষ্ট পজিটিভ আলামত দৃশ্যমান হইতেছে না। জনমানসে হতাশা বৃদ্ধি পাইতেছে। কেননা সেবা দপ্তরসমূহ ঝিমাইয়া পড়িয়াছে। আধিকারিকগণ কাজে আগ্রহ হারাইয়া ফেলিয়াছেন। বেতন ভাতার বাইরে কোনরূপ ইনসেন্টিভ নাই। তাই কাজে গতি আসিবে কিভাবে? বেতন তো মুদীমালের দোকান কর্মচারীও পাইয়া থাকে। এই যদি হয় প্রশাসনের অবস্থা তাহা হইলে সরকারের সার্বিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত হইবে কি করিয়া? ইহা পাবলিক বুঝিতেছে, কিন্তু সরকারের অভ্যন্তরীণ আধিকারিকরা বুঝিতে পারিতেছেন কিনা তাহা বোধগম্য হইতেছে না।
একই অবস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে। ৫ আগস্টের পর পুলিশ পালাইয়া গিয়াছিলো। বেশিরভাগ ফিরিয়া আসিয়াছে সত্য কিন্তু ট্রমা এখনো কাটে নাই। সাহস ফিরিয়া পায় নাই। মনোবল নেগেটিভ হইতে পজিটিভ করিবার চেষ্টা হইতেছে। কিন্তু কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব পরিলক্ষিত হইতেছে তাহাদের বডি ল্যাংগুয়েজে। তাহারাও বেতন পাইতেছে, রেশন পাইতেছে। চাকরিও টিকিয়া আছে। তবে কালকেই নট হইয়া যাইবে কিনা, আটক-ফাটক হইবে কিনা কে বলিতে পারে? এইরূপ যাতনা লইয়া কি ডিউটি করা যায়? কথা সত্য, অত্যন্ত যৌক্তিক। কিন্তু এইরূপ মনস্তত্ত্বের কারণ কি?
ইহা লইয়া গবেষণা করিবার দরকার নাই। যাহারা গেলো রেজিমের বেনিফিসিয়ারি, ফ্রন্ট ফুটে থাকিয়া ব্যাট হাতে বুমবুম আফ্রিদি স্টাইলে ছক্কার পর ছক্কা হাঁকাইয়া যাবতীয় রেকর্ড ভঙ্গ করিয়া তারকা বনিয়া গিয়াছে তাহারা দেশান্তরি হইয়াছে, অনেকে এখনো পলাতক। আর যাহারা এখন বৈরী পরিবেশে ব্যাট-প্যাড-গ্লোভস হাতে ব্যাটিং করিতে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে ক্রিজে নামিয়াছে তাহারা আছে গ্রেফতার আতংকে, চাকরি খোয়াইবার ভয়ে। সঙ্গত কারণেই তাহাদের কাছ হইতে সহী নিয়তে কাজ আদায়ের আশা করা বোকামী ছাড়া আর কিছু না। আর যাহারা গেলো রেজিমে অত বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় না থাকিলেও সাইলেন্ট কিলারের মত আখের গুছাইয়া লইয়াছেন, তাহারা মতিউর কা-ের মত যার যার ছাগল সামলাইতেই ব্যস্ত। শারিরীক প্রেসার, মানসিক যাতনা, অন্তরাত্মার ধুকপুকানি আতংক লইয়া স্বাভাবিক দিনাতিপাত কি সম্ভব? তাই, সকলে মিলিয়া তীর্থের কাকের মত বসিয়া বসিয়া আশা করিতেছে যদি রাত পোহাইলে আবার সব কিছু আগের মত হইয়া যাইত! ভাবিতেও কত সুখ, যদি আবার সেই বটতলা হাটখোলা আগের মত জমিত! বসন্ত বাতাসের ফ্রেগেন্টে তনুমন জুড়াইয়া যাইত! তাই পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল যখন পাড়ায়-মহল্লায় আতংক ছড়ায় তখন তাহাদেরকে নিজেদের লোক, সাচ্চা সৈনিক বলিয়াই মনে হয়। ছাত্ররা যখন সচিবালয়ে উপুর্যুপরি হানা দেয় তখন আশা জাগে, মনে হয় এই বুঝি টুপ করিয়া কেউ এলো। যখন আনসার বাহিনী বেপরোয়া দাপাদাপি করে সচিবালয় আর রাজধানী তছনছ করিয়া দিচ্ছিল তখন তো নিশ্চিত বিজয়ের পূর্বাভাস প্রায় উঁকি দিচ্ছিল। কেউ কেউ আনসার বাহিনীর তাণ্ডবে অতিশয় উৎফুল্ল হইয়া ধরিয়াই লইয়াছিল এই বুঝি হারানো সিংহাসন পুনরুদ্ধার হইলো। একই ধারায় গার্মেন্টস, পল্লীবিদ্যুৎ, হেনতেন সংস্থা যখন মাঠে নামে, গলা ছাড়ে, হাত উঁচায় তখন প্রাণে ক্ষনিকের জন্য হইলেও প্রশান্তির প্রলেপ অনুভূত হয়। এই এই করিয়া মিডিয়া ক্যু, জুডিশিয়াল ক্যু, পল্লীবিদ্যুৎ ক্যু প্রভৃতি যতই উদ্ভাসিত হয় ততই তাহাদের সুপ্ত আশা ঝিলিক মারিয়া উঠে। ভাবিতেছি এইরূপ একটা জনপ্রশাসন লইয়া সরকার কি অর্জন করিবে আর পাবলিকই বা কিরূপে সেবাধন্য হইবে?
ইহা হইতে আমাদের শিক্ষণীয় কি? যদিও আমরা কোন কিছু হইতেই শিক্ষা লইতে চাইনা। শিক্ষণীয় অবশ্যই আছে। রাষ্ট্রীয় বিপর্যয়ের এইরূপ ভয়ানক দৃশ্য আমরা বিগত ৫৩ বছরে দেখি নাই। মোঘল আমল হইতে শুরু করিয়া ব্রিটিশ রাজত্বকালেও এমন বিপর্যয়ের কথা শুনি নাই। লক্ষ্মণ সেন পিছন দরজা দিয়া পালাইয়া যাইবার পরবর্তী প্রশাসনিক ও আইন-শৃংখলা অবস্থা কিরূপ হইয়াছিল তাহা ইতিহাসবেত্তাগণ বলিতে পারিবেন। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলার এই ধ্বস দ্রুত রোধ করিতে না পারিলে আমাদের অভ্যন্তরীণ দশা দীর্ঘস্থায়ী দুর্দশায় পরিণত হইবে। তাই, অনতিবিলম্বে প্রশাসনকে গুছাইতে হইবে। বর্তমান প্রশাসনের সৎ, দক্ষ ও উদ্যোগীদের লইয়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিতে হইবে। তাহাদের দেখভাল করিবার জন্য শীর্ষ পদে সরকারের বাইরে থাকা এককালের আধিকারিকদেরকে আসীন করিয়া দায়িত্ব নির্ধারণ করিয়া দিতে হইবে। অধস্তনরা তাহাদের কৃতকর্মের জন্য বিধিগতভাবে দায়ী থাকিবেন। আর উপরস্তরা সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করিবেন। ব্যত্যয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে। সকলকেই আশ্বস্ত করিতে হইবে ভালো কাজ করিলে ভয়ের কিছু নাই। উপরন্তু শিষ্টের পুরস্কার রহিয়াছে। এরপর স্বল্পমেয়াদী অভীষ্ট নির্ধারণ করিয়া সেই অনুযায়ী অগ্রসর হইতে হইবে। পাশাপাশি মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি অভীষ্ট নির্ধারণ করিতে হইবে। বসিয়া বসিয়া গপসপ করিয়া বেতন ভাতা লইবার দিন শেষ হইয়া গিয়াছে। জনগণ সেবা প্রত্যাশা করে এবং তাহা সহলভ্য হিসাবে দেখিতে চায়।
পুলিশে দ্রুত জনবল নিয়োগ করিতে হইবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার মান অক্ষুন্ন রাখিয়া স্বল্প সিলেবাসে স্বল্প সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করিতে হইবে। প্রশিক্ষণকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করিতে হইবে। যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা, প্রক্ষিণের ফলাফল ও পদের প্রকৃতির সহিত সামঞ্জস্য করিয়া পদায়ন করিতে হইবে। পাশাপাশি মুরগীর রাণীক্ষেত রোগের মত যাহাদের ঝিমানি রোগ ধরা পড়িবে তাহাদেরকে আইন অনুযায়ী বিদায়ের ব্যবস্থা করিতে হইবে। একই ব্যবস্থা প্রশাসনের ক্ষেত্রেও কঠোরভাবে প্রয়োগ করিতে হইবে। বিসিএস এর সিলেবাস রিভিউ করিয়া উহার কলেবর কমাইয়া পদ্ধতির দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস করিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করিতে হইবে। এইরূপ প্রক্রিয়া প্রজাতন্ত্রের সকল দপ্তরের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করিতে হইবে। ইহার ফলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হইবে। নতুন জনবল লইয়া নতুন বাংলাদেশ নতুন উদ্যোমে অগ্রসর হইতেভপারিবে। ‘প্রশাসন’ গতি পাইবে। ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব কাটিয়া যাইবে। ঝিমুনি রোগ তিরোহিত হইবে। আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক প্রশাসনের স্থবিরতা ও প্রতিবন্ধকতা কাটাইয়া উঠিবার জন্য ইহার বিকল্প নাই। এইরূপ করিতে পারিলে, অন্তত ভালমত শুরু করিতে পারিলে জনমনে সরকার প্রশ্নে আস্থাহীনতা দূর হইবে। সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরিয়া আসিবে। সরকারও রাষ্ট্রের অন্যান্য অংগে প্রয়োজনীয় নজর দিতে পারিবে।
উপরে যাহাই বলিলাম তাহা শ্রুতিমধুর শুনাইলেও কাজটা কিন্তু খুব কঠিন। তবে আসাধ্য নয়। আন্তরিকতা থাকিলে, পরিকল্পনা স্বচ্ছ হইলে ও সঠিকভাবে অভীষ্ট নির্দিষ্ট করিতে পারিলে ইহা মোটেই দুরুহ হইবে না। শংকা এই জায়গাতেই। আমরা শুরু করি আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে কিন্তু কিয়ৎপরিমাণ অগ্রসর হইয়া নানারূপ ফন্দিফিকির করি। সুষ্ঠুভাবে শেষ করি না। আমরা অপরকে নসীহত করিতে বড়ই পারঙ্গম। কিন্তু নিজে ইহার অনু পরিমাণও অনুশীলন করি না। আমরা যতটা না কাজের কাজ করি তাহার চাইতে আওয়াজ করি বহুগুণ। প্রদর্শন করি ততোধিক। কাজ করিতে যাইয়া প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবিলা না করিয়া উহাকে অজুহাত হিসাবে তুলিয়া ধরিয়া ক্ষান্ত দেওয়ার অভিসন্ধি করি। সর্বোপরি, আগেরটাই ভালো ছিলো রোগ অবলোপন করিতে না পারিলে আগামীতে নতুন নতুন স্টাইলে সরকারের ভেতর বা বাহির হইতে নানা অভিসন্ধি চলিতেই থাকিবে। তখন না আবার জনগণও বিভ্রান্ত হইয়া, মনের খেদে জিকির করিতে থাকে, আগেরটাই ভালো ছিলো।
গত রেজিমে ঋণ করিয়া ঘি খাইবার চর্চা হইয়াছিলো। উহাতে সংশ্লিষ্ট সকল মহামহিমদের সায় ছিলো। অর্থনীতিতে মেগা প্রকল্পের চটকদারিত্বে বিগ বাজেট প্রকল্পের আধিক্য বাড়িয়াছিলো। অর্থনীতিতে প্রচুর অর্থের যোগানের মাধ্যমে হাত বদল ও আত্মসাৎ হইয়াছে। ইহার সুফল দলীয় পদাধিকারীরা, ব্যবসায়ী, আধিকারিক ও ফোপর দালালরা ভোগ করিয়াছে। তাহারা লালে লাল হইয়াছে। ইচ্ছামত লুটপাট করিয়াছে, পাচার করিয়াছে, দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়িয়াছে। ক্লেপ্টক্রেসি টিকাইয়া রাখিবার জন্য তাহারা নিম্নশ্রেণীর সহায়ক শক্তির লোকদেরকেও ঢালাওভাবে লুটপাট, আত্মসাৎ ও তছনছ করিবার সুযোগ দিয়াছে। ফলে পিওন, ড্রাইভার, চামচা, দলীয় ক্যাডার, টোকাইরাও চার শ কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক বনিয়া গিয়াছে। জনগণ ইহা দেখিয়া- শুনিয়া মানিয়া লইতে বাধ্য হইয়াছে। এই অবস্থা অনাদিকাল যে চলিতে পারে না তাহা আমরা অজস্র জীবনের বিনিময়ে চাক্ষুষ করিয়াছি। যাহারা এইসব কু-কর্মকে শৈল্পিক রূপ দিয়াছে তাহাদের অবস্থা দেশবাসী কৌতুহলের সহিত উপভোগ করিতেছে। তাহাদের জন্য কোন মায়া নাই, আছে প্রবল ঘৃণা ও জনরোষ। আর তাহাদের বশংবদ ভৃত্য যাহারা এখনো হৃত সিংহাসন পুনরুদ্ধারের দিবাস্বপ্ন দেখিতেছে আর নানাভাবে কলকাঠি নাড়িতেছে দেশবাসী তাহাদেরও পরিণতি দেখিবার জন্য উদগ্রীব হইয়া আছে। অতএব সাধু সাবধান। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই