মো. ওবাইদুল হক রাসেল। এ্যামাস ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নাম শুনেই বোঝা যায়, জুতা তৈরি করে থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষত্ব হলো— তাদের জুতা তৈরি হয় পাট থেকে। পড়ালেখা শেষে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায় যুক্ত হলেও স্বপ্ন ছিল গ্রামের মানুষের জন্য কিছু করা। একইসঙ্গে দেশের পাট শিল্পকে বিশ্ববাসীর কাছে নতুন করে তুলে ধরার স্বপ্নও দেখতেন তিনি। ২০১৬ সালে তাই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় গড়ে তোলেন পাটের জুতা তৈরির কারখানা। ২০১৭ সাল থেকেই সে কারখানায় তৈরি পাটের জুতা দেশের বাইরে রফতানি করছেন। রাসেলের ভাষায়, যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, রফতানি বাণিজ্যের বদৌলতে তার সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে।
ওবাইদুল হক রাসেলের স্বপ্নপূরণের অংশীদার হয়ে ভাগ্য বদলেছে এলাকাবাসীরও। স্থানীয় ৮০ জন এখন এ্যামাস ফুটওয়্যারের স্থায়ী কর্মী। এছাড়া এলাকার প্রায় চারশ নারী ওই কারখানার জুতা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। কারখানা থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সে কাজের জন্য তৈরি করে নেওয়া হয়েছে তাদের। তাই পাটের জুতায় ভাগ্যবদল নিশ্চিত হয়েছে কালীগঞ্জের এসব মানুষেরও।
এ্যামাস ফুটওয়্যারে তৈরি হয় নানা ধরনের পাটের জুতা। একেকটি জুতা তৈরিতে রয়েছে ছয়টি করে ধাপ। তাতে হরেক রঙের, হরেক নকশার বৈচিত্র্যপূর্ণ সব জুতার দেখা মেলে। সেগুলোর গন্তব্য ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার জুতা রফতানি করা হয় এই কারখানা থেকে।
ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান
- এ্যামাস ফুটওয়্যারে তৈরি হচ্ছে পাটের জুতা
- কারখানায় ছয়টি ধাপ পেরিয়ে তবেই তৈরি হয় জুতা
- এই কর্মযজ্ঞে কারখানায় নিযুক্ত আছেন স্থানীয়রাই, তাদের সংখ্যা ৮০ জন
- কারখানার স্থায়ী কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন নারী
- তবে এর বাইরেও এলাকার প্রায় চারশ নারী বিভিন্নভাবে এই কারখানার জুতা উৎপাদনে যুক্ত
- সবার পরিশ্রমে তৈরি হয় এমন সব বাহারি জুতা
- নানা রঙ ও নকশার জুতাগুলোর গন্তব্য সুদূর ইউরোপ
- এমন অর্জন নিয়ে তাই গর্ব করতেই পারেন ওবাইদুল হক রাসেল