Tuesday 10 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. কামাল এসে থামালেন সবাইকে


২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৩৬ | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: কাউন্সিলের একদিন আগে আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণপত্র যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর দফতরে দফতরে পৌঁছতে শুরু করেছে, ঠিক তখন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন অবস্থান করছিলেন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে।

ফলে আওয়ামী লীগে জাতীয় কাউন্সিলে যাওয়ার ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একেকজন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কেউ বলছিলেন, ‘যাওয়াটাই আমি শ্রেয় মনে করি। কেউ বলছিলেন, যেতে তো আপত্তি নেই, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বোধ হয় যেতে পারব না। কেউ বা বলছিলেন, আমন্ত্রণপত্র দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে গেলেও এখনো হাতে এসে পৌঁছেনি। সুতরাং এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ কেউ ছিলেন যাওয়ার পক্ষে। কেউ বা না যাওয়ার পক্ষে। তবে বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য তিন শরিক দলের নেতাদের কথাবার্তায় অনুমান করা যাচ্ছিল, তারা আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার পক্ষেই ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাচ্ছে না বিএনপি, যেতে পারে গণফোরাম

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রধান শরিক গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর কাছে। জবাবে সারাবাংলাকে তিনি বলেছিলেন, ‘ড. কামাল হোসেনসহ আমাদের তিনজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমি সম্মেলনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক। আমি মনে করি রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে সেখানে যাওয়া উচিত। তবে আজ রাতে ড. কামাল হোসেন দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সারাবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমি অসুস্থ। বোধ করি যেতে পারব না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমার নামে একটি আমন্ত্রণপত্র আমাদের চেয়ারপারসনের অফিসে পৌঁছে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু সেটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। সুতরাং এই মুহূর্তে এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে আ. লীগের সম্মেলনে দাওয়াত

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াও আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বক্তব্য দেন মিডিয়াতে।

কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। জোটের এই দুই শীর্ষ নেতার ফোনালাপের পর শরিকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছানো হয় যে, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ যাবে না।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন রাতে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ যাবে না।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভবনে ডেকে যেসব দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দাওয়াত দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপির চারজন, গণফোরামের তিনজন, জেএসডির দুইজন এবং নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের একজন দাওয়াত পান।

আ. লীগের জাতীয় সম্মেলন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর