হামজা যেতে পারলে আমি কেন পারব না!: সামিত সোম
৩ মে ২০২৫ ১৭:১৬ | আপডেট: ৩ মে ২০২৫ ১৭:১৮
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে খেলে যাওয়ার পর থেকেই যেন নতুন প্রাণ পেয়েছে দেশের ফুটবল। তাকে দেখে আরও অনেক প্রবাসী ফুটবলারই খেলতে আগ্রহী হয়েছেন। তাদের মধ্যে আপাতত সবচেয়ে বড় নাম কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম। লাল সবুজের জার্সিতে খেলতে রাজি হয়েছেন, গতকাল (শুক্রবার) টরন্টোর বাংলাদেশি কনস্যুলেটে আবেদনও করেছেন বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।
অবশ্য শেষ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের হয়ে সামিতের খেলা না খেলা নিয়ে আলোচনা চলছিল ফুটবল মহলে। যদিও তখন তার কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। পাসপোর্ট প্রাপ্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি ক্রীড়া সাংবাদিক আবু সাদাতকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সামিত জানিয়েছেন, হামজাকে দেখেই বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ব হয়েছেন তিনি।
পাসপোর্টের আবেদনের পর বাংলাদেশের হয়ে খেলার পথে অনেকটাই এগিয়ে রইলেন সামিত। নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এক্সাইটিং। এখানে এসে সবকিছু বাস্তব হয়ে যাচ্ছে। আশা করি ভালোভাবে পাসপোর্টের কাজ এবং ফিফার অনুমোদন পেয়ে যাব। তারপর খেলতে পারব বাংলাদেশের জন্য।’
কানাডায় বেড়ে ওঠা সামিত, এতদিন পর কেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন? এর নেপথ্যে তার ভাবনাটা কী ছিল? এই প্রশ্নের জবাবে সামিত জানালেন বাংলাদেশের ফুটবলের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ছোঁয়া দেখতে পেয়েই প্রভাবিত হয়েছেন তিনি।
সামিত বলেন, ‘কিছু জিনিস দেখেছি যে, বাংলাদেশের খেলা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। হামজা চৌধুরীও এখন খেলছে, সে যেতে পারলে আমি কেন যেতে পারব না! হামজা অনেক বড় খেলোয়াড়। এ ছাড়া বাংলাদেশ দলের ফুটবলার তারিক কাজী, জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ, সায়েদ ওদেরকে আগে থেকে জানি। সে কারণে আমারও আগ্রহ ছিল। সবসময় অপেক্ষা করছিলাম, ভেবেছি যে ঠিক সময়ে খেলব।’
আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেই সামিতকে পাবার আশা করছে বাফুফে। সামিত নিজেও বেশ মুখিয়ে আছেন সেই ম্যাচের জন্য। ইতোমধ্যে দেশের ভক্ত-সমর্থকদের অনেক শুভেচ্ছা বার্তাও পাচ্ছেন তিনি।
তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সামিত বলেন, ‘খুব বেশি ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমি খুশি।’
এর আগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত, জন্ম নিবন্ধনের কাজটাও শেষ করেছেন সামিত। সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্রও পেয়ে গেছেন তিনি বৃহস্পতিবার। এখন বাকি আছে কেবল ফিফার ।প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন। সেই ছাড়পত্র পেলেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারবেন ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
সারাবাংলা/জেটি