টস হেরে আগে বোলিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধারটা পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও হাসান নাওয়াজ। শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে বড় চ্যালেঞ্জই দিয়েছে পাকিস্তান।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ২০১ রান তুলেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২০২ রান। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কাজটা মোটেও সহজ নয়।
বুধবার (২৮ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে বোলিং করার আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। শুরুটা রঙিন ছিল বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারে শেখ মাহেদির স্পিনে ক্যাচ তুলে দেন সাইম আইয়ূব। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ ফর্মে থাকা ফখর জামান।
পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাকিস্তান চাপেই পরে যায়। তবে সেই চাপ কাটিয়ে তুলতে দেরি করেননি অধিনায়ক সালমান আলি আগা ও মোহাম্মদ হারিস। তৃতীয় উইকেটে দারুণ একটা পারর্টনারশিপ করেছেন দুজন। মোহাম্মদ হারিস ১৮ বলে ৩১ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
এরপর তরুণ হাসান নাওয়াজকে নিয়ে দলকে টানছিলেন সালমান আলি। দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। সালমান আলি ৩৪ বলে ৮টি চার ১টি ছয়ে ৫৬ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তরুণ হাসান নাওয়াজ ফিরেছেন ২২ বলে ৪৪ রান করে। এই দুজন ফেরার পর বাকি সময়ে ঝড় তুলেছেন শাদাব খান।
শুরুতে রান তুলতে পারছিলেন না। রিশাদ হোসেনকে দুই ছক্কা এক চার হাঁকিয়ে হাত খোলেন। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৫টি চার ২টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন শাদাব। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে থেমেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, শামীম পাটোয়ারী ও তানজিদ হাসান সাকিব।