আর্জেন্টিনার দায়িত্ব চাইছেন মারিও কেম্পেস
৬ জুলাই ২০১৮ ১৩:০৮
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকে আর্জেন্টিনার বিদায়ের আগে ও পরে কোচ জর্জ সাম্পাওলির দায়িত্ব, ম্যাচ পরিকল্পনা সাজানোর অদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এমনকি জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও তাকে বরখাস্ত করতে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ জানিয়েছিল। বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার এই কোচকে এখনও বরখাস্ত করা হয়নি। নতুন খবর, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাবেক স্ট্রাইকার মারিও কেম্পেস।
এরই মধ্যে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। শুধু ম্যারাডোনা নন, আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড পেরু জাতীয় দলের কোচ রিকার্ডো গারেকা এবং আর্জেন্টিনার সাবেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রিভারপ্লেটের কোচ মার্সেলো গালার্দো। গারেকার কোচিংয়ে এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে পেরু খেলেছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া আর ডেনমার্কের বিপক্ষে।
এখানেই কোচের দৌড় থেমে থাকেনি। শেষ খবর বলছে, সাম্পাওলি যেকোনো মুহূর্তে পদত্যাগ করতে পারেন বা তাকে ছাঁটাই করা হতে পারে। তার জায়গায় নতুন কোচ হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন সদ্যই ইংলিশ প্রিমিয়ারে ম্যানচেস্টার সিটিকে শিরোপা পাইয়ে দেওয়া স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা।
এদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৩ বছর বয়সী মারিও কেম্পেস জানান, আর্জেন্টিনার জাতীয় দলকে কোচিং করানো মোটেই সহজ নয়। কারণ, আপনার দিকে খেলোয়াড়রা ছাড়াও পুরো দেশ তাকিয়ে থাকবে। তারপরও আমি চাইছি নিজ দেশের কোচ হতে। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন চাইলে আমি জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে রাজী আছি।
কেম্পেস খেলোয়াড়ি জীবনে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত। জাতীয় দলের জার্সিতে ৪৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ২০টি। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৫৫৫টি ম্যাচ, যেখানে তার গোল সংখ্যা ৩০০টি। ১৯৯৫ সালের পর থেকে কেম্পেস সাতটি ক্লাবকে কোচিং করিয়েছেন। তবে, ২০০২ সালের পর থেকে তিনি কোনো ক্লাব কিংবা জাতীয় দলকে কোচিং করাননি।
এদিকে, সাম্পাওলিকে বরখাস্ত করাও সহজ নয় আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সঙ্গে চুক্তি আছে তার। তার আগে সাম্পাওলিকে বরখাস্ত করলে ফেডারেশনটিকে গুনতে হবে ২০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের যে আর্থিক দুরবস্থা, তাতে এ মুহূর্তে ২০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার সাধ্য নেই তাদের। তাই সাম্পাওলি টিকে যেতে পারেন পরের বছর ব্রাজিলে হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার আসর পর্যন্ত।
সারাবাংলা/এমআরপি