বোলারদের দাপটে আফগানিস্তানকে ১৯০ রানেই আটকে দিলেও পরে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা হলো হতশ্রী। মাত্র চারজন ব্যাটার পারলেন দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে, ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি একজনও। বাংলাদেশের পুরো ব্যাটিং ইনিংস জুড়েই চলল যাওয়া-আসার মিছিল! ফলাফল মাত্র ১০৯ রানেই গুটিয়ে গেল মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৮১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে ওয়ানডে সিরিজটাও হারাল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জিতেছিল আফগানিস্তান। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিততেই হবে মেহেদি মিরাজের দলকে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) আবুধাবিতে ১৯০ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ২৮.৩ ওভারেই। প্রথম ওভারেই ফিরেছেন ওপেনার তানিজদ হাসান তামিম। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংসের পঞ্চম ওভারে যখন রান আউট হয়ে ফিরলেন বাংলাদেশের রান তখন ২৫।
এরপর ফর্মে থাকা সাইফ হাসান আর তাওহিদ হৃদয় মিলে জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন। ২৩ বলে ২২ রান করে ফেরা সাইফ সেই আভাসের সত্যতা মিলাতে পারেননি। দলীয় ৫০ রানে মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরেছেন ৭ বলে ৪ রান করে। খানিক বাদে রশিদ খানের বলে তাওহিদ হৃদয় সরাসরি বোল্ড হলে এরপর আর সেভাবে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন হৃদয়।
বাকি সময়ে জাকের আলী অনিক (১৮), নুরুল হাসান সোহানরা (১৫) রশিদ খানের বিপক্ষে রীতিমতো অসহায়ই ছিলেন। ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
রশিদ খান ৮.৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৫টি উইকেট। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৭ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে ভালো বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৪০ বল খেলে ৯৫ রান করেছেন। বাকিদের সুবিধা করতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা।
৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ৩৫ ও রিশাদ হোসেন ৩৭ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।