টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে নিজেদের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলল টাইগাররা তাতে অম্ল-মধুর স্মৃতি। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে। সিরিজ শেষে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, এই দলটা বিশ্বকাপের জন্য প্রায় প্রস্তুত।
চলতি বছর বাংলাদেশ রেকর্ড পরিমান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন টাইগাররা। জয়ও রেকর্ড পরিমান। লিটন বললেন, বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে তিনি দলে বারবার পরিবর্তনও করেছেন। চলতি সিরিজেও যা অব্যাহত ছিল।
লিটন বলেন, ‘আমরা প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু পরিবর্তনও করেছি। যেমন আজ (মঙ্গলবার) শেষ ওভারটি মোস্তাফিজকে দিয়ে করাইনি, সাইফউদ্দিনকে দিয়েছি। দুই ম্যাচ না খেলে থাকা একজন খেলোয়াড় চাপে কীভাবে বোলিং করে, তা দেখতে চেয়েছি। আমার মনে হয়, দলের প্রায় সব দিকেই আমরা কিছু না কিছু চেষ্টা করেছি। এই দলটা প্রায় প্রস্তুত পরের বিশ্বকাপের জন্য।’
লিটন প্রস্তুত বললেন মিডল অর্ডার নিয়ে চিন্তা থেকেই গেছে। তাওহিদ হৃদয় অনেকদিন অফ ফর্মে থাকার পর এই সিরিজে অবশ্য রানে ফিরেছেন। কিন্তু পাঁচ-ছয় নম্বর পজিশনে রানখরা অনেক দিনের।
জাকের আলী অনিক, নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর কেউই রানে নেই। লিটন অবশ্য তাতে চিন্তিত নয়। অফ ফর্মে থাকা ক্রিকেটাররা বিপিএলে রান পাবেন আশা লিটনের, ‘আমি খুব একটা চিন্তিত নই (৬ নম্বর পজিশন নিয়ে)। প্রতিটি সিরিজে সবাই রান করবে, এমন তো নয়। আপনি দেখেছেন (তৌহিদ) হৃদয় এই সিরিজে ভালো করেছে। আমি চাই তারা বিপিএলে রান করুক, এবং সেটা বিশ্বকাপেও যেন ধরে রাখতে পারে।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে তাতে সন্তুষ্ট লিটন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি চাইছিলাম দল যেন চাপের পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিততে শেখে। প্রথম ম্যাচে আমরা চাপ কাটাতে পারিনি, কিন্তু লড়াই করে সিরিজ জিতেছি। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমরা ভালো ফিল্ডিং ইউনিট নই, কিন্তু এই সিরিজে কিছু দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছে ফিল্ডাররা। অন্তত ফিল্ডিং বিভাগে উন্নতি দেখিয়েছি। এক বছরে এত টি-টোয়েন্টি খেলার পর আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা আরও পরিপক্ব হয়েছে।’